চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতুকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে ধানমন্ডি থানা থেকে নিয়ে আসে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন আরো জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশের একটি দল রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার কাছে তাকে হস্তান্তর করে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি নাশকতা মামলা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ প্রহরায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে চর ছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিজ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, ছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)। এ সময় তাদের ৭ মাস বয়সী বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার পর পরই ত্রিপল খুলের রহস্য উদ্ধার করতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়ির একটি পাকা ভবনে বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার বাসায় কাজ করতে এসে বাড়ির গেইট বন্ধ দেখতে পায়।
পরে তিনি জেসি আক্তারের জায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ।
পরে জেসমিন আক্তার বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রুমের মেঝেতে মা জেকি আক্তার ও বড় ছেলে মাহিনের লাশ এবং পাশের বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের লাশ দেখতে পায়। এ সময় প্রবাসী শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, আমরা জেসি আক্তার ও তার বড় ছেলে মাহিনের রক্তাক্ত লাশ মেঝে থেকে ও ছোট ছেলে মহিনের লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ভোরের দিকে পূর্ব পরিচিত অথবা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে বাড়ি থেকে কোন মালামাল খোয়া যায়নি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে আটক করেছি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন ) মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঘটনার তদন্তকাজ করছি। রহস্য উদঘাটনে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিন, শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও অ্যাড: লোকমান হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা করে ৯০ হাজার টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস চৌধুরীকে ৫ হাজার টাকা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আগামী ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
২০ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন, ও পোষ্টার ঝুলিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় দায়ে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৩০ হাজার করে ৯০ হাজার ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৫ হাজার এবং এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার সুযোগে বেশি দামে শুকনাে খাবার বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী শহরের আনন্দ বাজারে (চিড়া-মুড়ি-গুড়ের মার্কেট) অভিযান চালিয়ে দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার না থাকা ও অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ৭ হাজার টাকা করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় জরিমানার পাশাপাশি দোকানিদেরকে সর্তকও করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা বন্যা কবলিত। বন্যার্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, সমিতি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে শুকনা খাবারের (চিড়া-মুড়ি-গুড়) সহ প্রয়োজনীয় কিছু পন্যের বেচা-কেনা বেড়ে যায়। এই সুযোগে কয়েকটি পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সরকারি শিশু পরিবারের উদ্যোগে ২৬ মার্চ রবিবার সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মিসেস আছমা আক্তার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের গুলিতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ভ্রাতৃত্ব কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ১০টি পদে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদেই পরাজিত হন তারা। শুধু জয়লাভ করেছে সিনিয়র সহ-সভাপতি, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ও ৪নং সদস্য পদে। নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল। গতকাল ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ মধ্যরাতে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া এই ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ১৫টি পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন জয়লাভ করেন। বৃহস্পতিবার বাকি ১৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আবদুর রহমানের সঙ্গে একই ফোরামের বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম কামরুজ্জামান মামুনের মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এছাড়াও সভাপতি পদে আরও দুইজন অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনী ফলাফলে একেএম কামরুজ্জামান মামুন ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান পান ২৪৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল ৩৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পান ১৫৪ ভোট।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শামসুল হক লিটন, সহ-সভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে আশরাফুল ইসলাম খান (চমন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সম্পাদক পাঠাগার পদে জিল্লুর রহমান, সম্পাদক তথ্য-প্রযুক্তি পদে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক, অডিটর পদে রেজুয়ানুর রহমান রনি, সদস্য পদে জহিরুল ইসলাম, শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, শাহ সুলতান রকি ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জয়লাভ করেছেন।