ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিহ্নিত চার ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 March 2025, 42 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিহ্নিত ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের কান্দিপাড়া বাবুর বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কান্দিপাড়া মাইমল হাটির মো. রিগ্যান পাঠান (৩৫), একই এলাকার সানজু রাজ (২২), শহরের কাজীপাড়া দরগাহ মহল্লার মো. সায়েম (২০) ও কাউতলী এলাকার তুষার মিয়া (১৯)।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা শহরের চিহ্নিত ছিনতাকারী। গ্রেফতারকৃত রিগ্যান পাঠানের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ৯টি মামলা এবং অন্য তিন জনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

আশুগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫জন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন গ্রেফতার Read more

আখাউড়ায় মোটরসাইকেল কেনার সপ্তাহ পর সড়ক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গাছের সাথে ধাঁক্কা লেগে Read more

কসবায় ঘরে মিলল স্ত্রী ও শ্যালিকার…

চলারপথে রিপোর্ট : সামিউল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে স্ত্রী Read more

অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

চলারপথে রিপোর্ট : অতিরিক্ত দামে মুড়ি, লেবু ও শসা বিক্রি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি পালন

চলারপথে রিপোর্ট : ‘প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে’ ও Read more

চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ-এর দুই সদস‍্য…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসেরস নিরব Read more

রোজার শুরুতেই গাজায় সকল মানবিক সহায়তা…

অনলাইন ডেস্ক : রোজার শুরুতেই ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের Read more

ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লাখ…

অনলাইন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়ানোর Read more
ফাইল ছবি

গ্যাস সংকটে ফের উৎপাদন বন্ধ আশুগঞ্জ…

চলারপথে রিপোর্ট : শুরুর মাত্র ৩৮ দিনের মাথায় গ্যাস সংকটে Read more

জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে Read more

কসবায় গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত…

চলারপথে রিপোর্ট : কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিত

খেলাধুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 January 2025, 203 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

banner

ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।

ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববর্ষ উদযাপিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 April 2024, 509 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করা হচ্ছে।

banner

বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ১৪ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দান থেকে জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

পরে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শোভাযাত্রাটি ফারুকী পার্কে এসে শেষ হয়।

র‍্যালিতে মুখোশ, প্যাচা,মাছ সহ বাঙালী সাংস্কৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গ স্থান পায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে লাঠিখেলা, সাপখেলা প্রদর্শন করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নেওয়া আবেদ, লিজা, অয়ন নামে অংশ গ্রহনকাকারী বলেন, এটি কোনো নিদিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। এটি বাঙালীর প্রাণের উৎসব। ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অন্যতম উৎসবের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আমরা প্রতিবছর বাঙালীর সার্ববজনীন এই উৎসবে অংশ গ্রহন করে থাকি।

পরে ফারুকী পার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে সরকারিভাবে পালন করছেন। আমাদের অনুষ্ঠানটিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নববর্ষের স্বাগত জানানোর জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি হিসেবে আমরা এখন দাঁড় করাতে পেরেছি। যতদিন বাংলাদেশ অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সাংস্কৃতি বেঁচে থাকবে। অনুষ্ঠানে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রাণের তাগিদে, নিজের তাগিদে, প্রাণের দাবিতে আমরা অংশগ্রহণ করেছি।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে ভারতের আসামের বাংলা ভাষা শহীদদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 May 2024, 461 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ভাষা সংহতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে ভারতের আসামের শিলচরের বাংলা ভাষা শহীদদের।

banner

আজ ১৯ মে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গার্লস স্কুল শহীদ মিনার ও মিলনায়তনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কমলা ভট্টাচার্য সহ ১১ ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ফুলেল শ্রদ্ধা, কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার।

প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস ও তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।

তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার ও আবৃত্তিশিল্পী সাদিয়া রহমান বীথির সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আবদুর রহিম, শিরীন আক্তার, শৌমিক সাত্তার, রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, হেলাল উদ্দিন হৃদয়। একক আবৃত্তি করেন সাহিত্য একাডেমী সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, নবীনগর আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য রেজা এ রাব্বী, ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, ফাহিমা সুলতানা ও অবন্তিকা চক্রবর্তী। দলীয় পরিবেশনা করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ছোটদল, মধ্যমদল বালক, বালিকা ও অভিভাবকদল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্র্যাকের আয়োজনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 August 2024, 330 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার/ পিডিয়াট্রিশিয়াদের নিয়ে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তকরণের হার বাড়ানো এবং টিপিটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নেটওয়ার্কিং ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিজ্ঞ ২১জন ডাক্তারসহ ২৫ জন ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহণ করেন।

আজ ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিভিল সার্জন কার্যালয় সভাকক্ষে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহাযোগিতায় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় এর আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন সভায় সভাপতিত্বে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

ওরিয়েন্টেশনের সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন সিভিল সার্জন সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।

অতিথি ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনল চন্দ্র প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জেলা ব্যবস্হাপক, মিঠু রঞ্জনসরকার, প্রোগ্রাম অফিসার এনামুল হক চৌধুরী, পিপিএম এসিস্ট্যান্ট মো: হাফিজুর রহমান, এফও মো: আব্দুর রহীম।

সভায় যক্ষ্মা কী, প্রকারভেদ, কীভাবে ছড়ায়, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, রোগ শনাক্তকরণ ও করণীয়, তামাকের সঙ্গে যক্ষ্মার সম্পর্ক, যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে সামাজিক ধারণা এবং যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা, আইপিটি চিকিৎসা, এমডিআর টিবি ওটিপিটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া ব্র্যাকের কার্যক্রম ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যায়, নিয়মিত পুরো মেয়াদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা কেন জরুরি, ডটস কী ও এর গুরুত্ব এবং ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা।

‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 23 May 2024, 433 Views,

বাংলাদেশে অদ্বৈত চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে।

banner

২৩ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন (পিপিএম)।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কবি, গীতিকার ও কবিতা বিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদ্দূস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের দীর্ঘদিনের সহচর, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অদ্বৈত চর্চার ইতিহাস, অদ্বৈত গবেষণায় অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের অবদান এবং অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ও কর্ম পরিধি নিয়ে বিশদ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক কবি পিয়াস মজিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পঠান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শান্তনু কায়সারের পরিবারের পক্ষে সম্মানজনক এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর বড় ছেলে রাসেল রায়হান। এসময় অতিথিবৃন্দ তার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছোটকাগজ ‘প্লাটফর্ম’-সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- প্রয়াত এ গুণীজনকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে একই সাথে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আ. কুদ্দূস বলেন- নতুন প্রজন্মের মাঝে অদ্বৈতর চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং অদ্বৈত গবেষণায় দ্বার উন্মুক্ত রাখতে ভবিষ্যতেও আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২০২২ সালে মো. আ. কুদ্দূস প্রতিষ্ঠিত অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে অদ্বৈতর জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে ২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয়েছিল। দুই বছরই দুইজন গুণী ব্যক্তিকে অদ্বৈত গবেষণায় অবদান রাখায় ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। এ বছর ২০-২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ মেলায় অধ্যাপক সান্তনু কায়সারকে এ পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও সে সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে অবস্থান করায় গতকাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হলো।

অনুষ্ঠানে তার বড় ছেলে রাসেল রায়হান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- আমার বাবা কর্ম ও ভালোলাগার সূত্রে দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাস করেছেন। আমাদের ভাই-বোনদের সকলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এত বেশি থেকেছেন, আসা-যাওয়া করেছেন এবং কাজ করেছেন যে দেশের অনেকেই ভাবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুঝি তাঁর আসল বাড়ি। আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই সম্মান পেয়ে আমরা পরিবারের সদস্যরা গর্বিত ও আনন্দিত। বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই তিনিও গর্ব অনুভব করতেন। বক্তব্যে তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। একইসঙ্গে তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনার সময় তিনি এখানকার সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি অদ্বৈত গবেষণা ও চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জেলার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বিস্তর কর্মজীবনে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় ৪৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই অদ্বৈত গবেষণার উপর। ২০১৪ সালে প্রবন্ধ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করা গুণী এই সাহিত্যিক ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।