অনলাইন ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়ানোর অপরাধে এক ইটভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২ মার্চ রবিবার দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক বনি আমিনকে এ জরিমানা করা হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাজির শহিদুল ইসলাম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ১৬ (৬) ধারায় জিএলবি ভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর উপজেলায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাল, ডাল দিয়ে রান্না করা এ শিরনি খেতে হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে।
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার ভোর ৬ টা থেকে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবে অংশ নেন ২৬ সমাজের ৪৬০টি পরিবার। অনুষ্ঠানকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে গ্রামে আসেন জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনীসহ স্বজনরা।
গাঁওয়ালী শিরনিকে কেন্দ্র করে ভাতুরিয়া গ্রামে করা হয় ভোজের আয়োজন। সেই ২০০ বছর আগে থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামবাসী প্রতিবছর দুবার এই উৎসব পালন করেন। প্রতি শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি করা হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, গত সরকারের আমলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যেতে বসেছিল। উৎসবগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। বেশ কয়েক বছর ভাতুরিয়া গ্রামের গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব বন্ধ ছিল। এখন থেকে প্রতিবছর এ আয়োজন করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, গাঁওয়ালী শিরনি অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনিসহ স্বজনরা গ্রামে আসেন। ভোজনের আয়োজন করা হয়। ফজরের নামাজের পর থেকে দিনভর চলে এই আয়োজন। পরিবারের সদস্য ও আগত অতিথিদের সংখ্যা ভেদে ৮ থেকে ১০টি পর্যন্ত ভোজের ভাগ দেন পরিবারপ্রধান। কেউ চাল কেউবা টাকা দিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন।
দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আনোয়ার জানান, একসময় বছরে দুইবার এই উৎসব পালন করা হতো। শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি হতো। উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে তৈরি হতো ভাতৃত্বের বন্ধন। বসতো হরেক রকমের খাবার ও পণ্যসামগ্রীর মেলা। গাঁওয়ালী এই শিরনি উৎসবে ঈদের মতো আনন্দ হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম মাহমুদ জানান, দুইশ বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেক মানুষ মারা যায়। আতাব্দি ফকির নামে এক আলেমের পরামর্শে শিরনি উৎসব করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন আক্রান্তরা। কিছুদিন পর গবাদি পশুও আক্রান্ত হলে একইভাবে খির শিরনি উৎসব করা হয়।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাতুরিয়া গ্রামের দেখাদেখি এখন আশপাশের গ্রামগুলোতেও গাঁওয়ালী শিরনির আয়োজন করা হয়। এবারের উৎসবে অংশ নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেছেন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তার আগমনে উৎসব আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বড়জ্বালা ও বুড়িচং সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় গাজা ও শাড়ী কাপড় জব্দ করেছে। আজ সোমবার ও রোববার সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে।
বিজিবি জানায়, সোমবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার বড়জ্বালা সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সীমান্তের মতিনগর নামক স্থান থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়
এদিকে, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ৬০ বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায় বুড়িচং সীমান্ত এলাকায়।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৪৩০ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ী কাপড় উদ্ধার করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এখানেও চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ভারতীয় শাড়ীর মূল্য ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আল আমিন, ভালুকা (ময়মনসিংহ):
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তোফাজ্জল হোসেন হত্যার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোন মামলা না হওয়ায় তোফাজ্জলকে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ০৪ আগস্ট উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তোফাজ্জলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ সময় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে ও রফিকুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজ্বী আব্দর রউফ, খলিলুর রহমান বিএসএস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদল নেতা এমদাদুল হক খসরু, মোকলেছুর রহমান, রাসেল ঢালী, শাহজাহান প্রধান, তোফায়েল আহমেদ রানা, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিয়াজ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, আকরাম মোল্লা, সাকিব খান, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।