হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসেরস নিরব রেস্টুরেন্টে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।কামাল উদ্দীন ও হুমায়ন কবিরের দুই পর্বে সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেনের সঞ্চালনায় চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন -লিয়াকত হোসেন মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, নুর আলম সেলিম, মোহাম্মেদ আলী, গোলাম কবির শিপন, বারাকাত শিউল, মোঃ ফারুক, নোমান সিদ্দীকি ।
প্রধান বক্তা ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব ও হুমায়ন বাংগালী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে বাহার, শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাশেদ আলম, শাহাদাত হোসেন টিটু, শাহাদাত হোসেন সুজন, মামুন, শামছুর রহমান, মিলন, আবু তাহের, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু, মো. নাঈম, আব্দুল কুদ্দুস বাবু, মো: আল-আমিন, সঞ্জয় শীল, সবুজ হোসেন, আবদুর রহমান, ওমর ফারুক শরীফ, আরিফ হোসেন, আমিন উল্লাহ, আবু বক্কার সিদ্দিক, ইব্রাহিম খলিল, নুর হোসাইন, সজীব আহমেদ, লিটন চৌধুরী, শামীম হোসেন, কিরন, মো. জাবেদ, রবিউল হাসান সৈকত, বাদশা ফাহাদ, মোহাম্মাদ কাকন, সজীব, মিশু, রিয়াদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত রাফি, জহিরুল ইসলাম সোহাগ, জামসেদ মজুমদার, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, রমযান আলি রাশেদ, রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ, সাইফুল ইসলাম, সজীব, বিপ্লব, তারেক, জুয়েল, পিয়াল, হাসান, আরিফ হোসেন, নাঈম, ফয়সাল, সৈকত ফারুক, নিশাদ, জাহিদ, মুরাদ, জর্জ, সাব্বির, আবদুর রহমান, জাহিদ, তৌহিদ সহ চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের উপস্থিতিতে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন-
হুমায়ন কবির, লিয়াকত হোসেন মামুন, আনোয়ার হোসেন লিটন এবং মাঈন উদ্দিন নটু। নব মনোনীত আহবায়ক-হেলাল উদ্দিন ও সদস্য সচিব শরিফ হোসেন নিরব বলেন-আগামী কিছু দিনের মধ্যে আহবায়ক কমিটির ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নব মনোনীত দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি পবিত্র রমযান মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সোসাইটির কার্যক্রম শুরু করবেন।
আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবারের সুখশান্তি ও উন্নত জীবণের আশায় স্ত্রী সন্তান ও মা-বাবাকে ছেড়ে মাত্র ৫ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামের মাসুক মিয়া। প্রবাসে চাকরি করে ভালই কাটছিল তার জীবণ পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ করে দিল মাসুকের। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ২০ দিন পর গতকাল সোমবার বিকালে মাসুক মিয়া লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলো । লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তানসহ আত্বীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নিহত মাসুক মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। নিহত মাসুকের স্ত্রী ও আফনান নামে দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, মাসুক মিয়া মাত্র ৫ মাস পুর্বে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যান। ভালই চলছিল তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবাস জীবণ। গত ৭ জানুয়ারী সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুক। মাসুকের মৃত্যুর পর সন্তানের লাশ দেখতে পাবেন কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় পড়েন অসহায় পিতা-মাতা।
অবশেষে মৃত্যুর ২০দিন পর প্রবাসে তার সহকর্মী একই গ্রামের মাহমুদুর রহমান রুবেল সৌদির দূতাবাসের সহযোগিতায় লাশ নিয়ে দেশে আসেন। সোমবার ভোর রাতে লাশ পৌছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখান থেকে অসহায় পরিবারের পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামাল হোসেন লাশ গ্রহন করে বাড়ি নিয়ে আসেন। বিকেলে লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা ও আত্বীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ আতাস ভারি হয়ে উঠে।
কামাল হোসেন জানান, অসহায় পিতা-মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে মাসুক মারা যান।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার ইলিয়াস দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরোণ্টো একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
প্রিয় এ নেতার স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের ব্রূকলিনে হযরত বেলাল মসজিদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন জে এস ডি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
দলের নেতৃবৃন্দ নাসিমা আক্তার ইলিয়াস এর সার্বিক সুস্থতা কামনায় দেশে এবং প্রবাসে সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখেন।
এছাড়াও নাসিমা আক্তার ইলিয়াসের দূত আরোগ্য কামনা করছেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,রাজনীতিবিদ ও সংগঠক শামসুদ্দিন আহমেদ শামীম, জেএসএফ”র সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, কবি এবিএম সালেহ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান মাহবুব, ওসমান গণি, বিশ্বজিত সাহা, সুহাস বড়ুয়া হাসু,হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, আরিফুর রহমান আরিফ, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, ফিরোজ মাহমুদ, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নুরে আলম জিকু প্রমুখ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৮ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈগলভেল, সিডনির মেরি ইম্যাকুলেট স্কুলের অডিটোরিয়ামে মহাআনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বড়দিন উৎসব ২০২৪।
সংগঠনের সকল সদস্যসহ সিডনির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানটি ছিলো সত্যিই উপভোগ্য। সভাপতি এ্যালেক্স তুহিন গাইনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর প্রার্থনা ‘অভাবনীয় উপহার’ পরিবেশন করেন এলেন জোসেফ গমেজ।
সংগঠনের ম্যাগাজিন “জল” এর উদ্বোধন করা হয়। এ বছর সম্পাদনা করেছেন হারবার্ট বিশ্বাস। অলংকরণ ও বিন্যাসে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। চিত্রগ্রাহক অশোক অধিকারীর একটি চিত্র প্রচ্ছদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু হয় আনন্দময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জুলিয়েট রয়’র উপস্থাপনায় এই পর্বে গান, নাচ, নাটক সবই ছিল চিত্তাকর্ষক। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন উষ্ণতা, ভিওলা, আরভিন, রোনান, এবিগেল, অরা, রুশা, এড্রিয়ানা, চেরী সরকার, নোয়েল চৌধুরী, সঙ্গীনি কোড়ায়া, দীপা বিশ্বাস, মরিয়ম ফ্রান্সিস,জেনেট শিল্পী, ইন্দিরা বাড়ৈ। শিশুদের পর্বটির দায়িত্বে ছিলেন জেনিফার চৌধুরী ও লিন্ডা এমি মন্ডল।
গান পরিবেশন করেন অমিয়া মতিন, অশোক অধিকারী, এলেন জোসেফ প্রমুখ। বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন অনাদী বিশ্বাস, থিওফিল বৈদ্য ও তপন ডি’কস্তাসান্তার ভুমিকায় ছিলেন দেবব্রত মন্ডল। তিনি নিজ হাতে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কয়েকটি বাচ্চাকে অবশ্য তাঁর দীর্ঘ সফেদ দাড়ি দেখে ইতস্তত করতে দেখা যায়।
দুপুরের আহার ও বিকেলের ‘পিঠা পর্ব’ ছিল অনন্য। ছোট্ট নাটক ‘আমাদের হীরক রাজা’ ছিল এ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। স্ক্রিপ্ট ও অভিনয়ে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল, জুলিয়েট গাইন, ইন্দিরা বাড়ৈ এবং থিওফিল রনি বৈদ্য। শেষ আয়োজন ছিল রাফেল ড্র।
অনুষ্ঠানটি সাজসজ্জায় ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। সাউন্ড পরিচালনায় এলেন জোসেফ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ন্যান্সী লীনা ব্যারেল। কার্যকরী সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনুষ্ঠান স্বার্থক করে তোলে।