চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে’ ও ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের’ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে প্রশাসন ব্যতীত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আজ ২ মার্চ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক খন্দকার কামরুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আক্তার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মারজিয়া শবনম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্য নিরসনে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে সেখানে সকল ক্যাডারে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ডিএস কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার নিশ্চিত করতে হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনরায় বহাল করা হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল তারিখে উপসচিব নীলিমা আফরোজের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ১৩ এপ্রিল রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নীলিমা আফরোজ।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশি পাসপোর্টে “ইসরায়েল ব্যতীত” শর্ত পুনর্বহালের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
বাংলাদেশের পাসপোর্টে আগে লেখা থাকতো- ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরায়েল।’ অর্থাৎ এই পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত পৃথিবীর সব দেশের জন্য বৈধ বা এই পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর যেকোনও দেশে যাওয়া যাবে।
কিন্তু ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্টে এই বাক্যটি পরিবর্তন করে লেখা হয়: ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড।’ অর্থাৎ ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৬ মামলায় ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের নেতৃত্বে উপজেলার ভাইটকান্দি বাজার এলাকায় বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ওজন পরিমাপ ও মানদণ্ড আইন- ২০১৮ মোতাবেক ৬টি মামলায় মোট ৫৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিএসটিআই -এর পরিদর্শক খেলা রানী কর, ফুলপুর থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দসহ প্রমুখ। অমিত রায় বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শনিবার অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে পাসপোর্ট আইনে মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করে কসবা থানা পুলিশ।
এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধীনে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমারেখা সীমান্ত পিলার ২০৫০/৮-এস থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে পুটিয়া নামক স্থান থেকে এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করা হয়। তিনি ভারতের অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন।
এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করেছে বিজিবি। পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির জানান, আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। ওই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (১৩২০ মেগাওয়াট) এক নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২১০ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এবং রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিট জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এনএল ডিসির নির্দেশ ও চাহিদা অনুসারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ ছাড়া উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান আছে। এদিকে শীঘ্রই দুই নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এদিকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।’
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমদ বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপের (৭০%) এবং চীনের সেপকো থ্রি’র (৩০%) যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নিহত প্রবাসী খাইরুল ইসলাম খোকনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ ১০ জুন শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের সদর উপজেলার বাসুদেব বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসুদেব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কোড়াবাড়ি গ্রামের মেম্বার আলমগীর হোসেন, বাসুদেব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা, আখাউড়া যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর বাদল, মামলার বাদী নিহতের ভাই আকরাম হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে খোকনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জমিতে হাল চাষের ৫০০ টাকা পাওনা নিয়ে কোড্ডা গ্রামের মলাই মিয়া ও শাহ আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার সময় সালিশ চলাকালে মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে শাহ আলমের পক্ষের খাইরুল ইসলাম খোকন নিহত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন-মলাই মিয়া, খসরু মিয়া, মামুন, ইয়াছিন, ফাতেমা, জামাল, মাইনুদ্দিন, বাহার ও একরাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রবাসী খাইরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।