চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
এছাড়াও ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন সংবলিত একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ৮ মার্চ শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন এই প্রতিপাদ্যে নবীনগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের আবৃত্তি শিক্ষক শুভেন্দু চক্রবর্তী শুভ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুমন ভূঁইয়া, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মো. তৌহিদ মিয়া, পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন, নারী উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান সাবা, শারমিন আক্তার প্রিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী প্রশিক্ষণার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে অনৈতিক কাজের অভিযোগে কালঘড়া হাফেজউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহম্মেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহসপতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক সুমন আহম্মেদের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি ভাইরাল হয়। সেখানে শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠে । তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমন আহম্মেদ।
সুমন আহম্মেদ বলেন, একটি চক্র আমাকে হেয় করতে ষড়যন্ত্র করছে। মেয়েটিকে আমি চিনি না।
রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন বলেন, শিক্ষক সুমন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ উঠেছিল। তিনি স্কুলের সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রি করেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছিল।
কথা হলে প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার হোসেন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে শিক্ষক সুমনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ মূসা (৪৮) নামে এক কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামে এঘটনা ঘটে। মৃত মূসা বিদ্যাকুট গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে। তিনি বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মূসা মিয়ার ভাতিজা রায়হান আহমেদ বলেন, মূসা কাকা কনস্ট্রাকশন কাজের ঠিকাদার ছিলেন। বিদ্যাকুট পূর্বপাড়া খা বাড়ির একটি নতুন বিল্ডিয়ের কাজের সাইট দেখতে গিয়েছিল। ছাদের মধ্যে থাকা একটি বাঁকা রড সোজা করতে গেলে উপরে থাকা বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনি বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শাকিল আহমেদ সজিব বলেন, হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করেছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
লিচুর বিচি গলায় আটকে আবু বক্কর (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৪ মে শনিবার সকালে উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ভৈরবনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আবু বক্কর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের তারেক জিয়ার ছেলে। সে তার নানার বাড়ি ভৈরবনগরে বেড়াতে গিয়েছিল। নিহতের বাবা তারেক জিয়া ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবু বক্কর বৃহস্পতিবার ভৈরবনগরে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। আজ সকালে তার নানা বাজার থেকে লিচু নিয়ে আসেন। আবু বক্কর লিচু খাচ্ছিল। অসাবধানতাবশত একটি লিচুর বিচি গলায় আটকে গেলে সে শ্বাস নিতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে শিশুটিকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় কথা কাটাকাটির জেরে লতিফা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২২ মার্চ বুধবার তিনি মারা যান।
গত রবিবার উপজেলার রসুলুল্লাহবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামে ভাবির শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।
লতিফা বেগম ওই এলাকার মো. জাকারিয়ার স্ত্রী।
মো. জাকারিয়া জানান, কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই জালাল মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা পিঠা তৈরি করছিল। এ সুযোগে জালাল পেছন থেকে লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে তার সারা শরীর ঝলসে যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার নবীনগর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং গ্রামের রঞ্জিত পোদ্দার দীর্ঘ ২২ বছর যাবত তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে নিজ হাতে তৈরি করেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত চানাচুর। প্রথম দিকে তিনি অল্প পরিমানে এ চানাচুর বানিয়ে তাঁর ডালপুরী- সিঙ্গারার দোকানে বিক্রি করতে শুরু করলে দ্রুত আশেপাশের এলাকায় এ চানাচুরের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে দুর-দুরান্ত থেকে এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা ও এ চানাচুর খেতে ও পরিবার-আত্মীয় স্বজনদের জন্য নিতে আসেন ভোলাচং পশ্চিম বাজারে রঞ্জিত পোদ্দারের দোকানে। সেই ধারাবাহিকতায় রঞ্জিত পোদ্দার ও তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার দীর্ঘ দিন ধরে কোন কেমিক্যাল বা রং ব্যবহার না করে বাড়িতেই চানাচুর তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। রঞ্জিতের তৈরি চানাচুরের ব্যবসায়িক নাম “রঞ্জিত চানাচুর”।
জানা যায়- ১৮০ টাকা কেজি দরে দৈনিক প্রায় ২২ থেকে ২৫ কেজি চানাচুর বিক্রি করেন তিনি । এতে যা আয় হয় তাতে ভাল ভাবেই চলে তাঁর সংসার। এ ব্যবসার জন্য জনতা ব্যাংকের লোন আছে কিন্ত বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের (রঞ্জিতের চানাচুর) নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে এ তাদের নাম দিয়ে চানাচুর বিক্রি করে আসছেন। এতে ক্রেতারা হচ্ছেন বিভ্রান্ত ও প্রতারিত। ফলে বিক্রি যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি বাড়ছে ব্যবসায় দুর্নাম। এ বিষয়ে ভোলাচং পশ্চিম বাজারে অবস্থিত রঞ্জিত পোদ্দারের “রঞ্জিত স্টোর” দোকানে গিয়ে খোঁজ করে জানা যায় – বার্ধ্যক জনিত কারনে রঞ্জিত পোদ্দার মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করছেন তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার। তাঁর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান- “আমার বাবা এ দোকানে এক সময় সিঙ্গারা-ডালপুরীরর সাথে তাঁর হাতে বানানো চানাচুর বিক্রি করতেন। তিনি সব সময় চাইতেন বাজারের অন্যান্য দোকানের সিঙ্গারা, সমুচ ও ডালপুরী থেকে তার বানানো গুলো যেন ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক ও স্বাস্থ্য সম্মত হয়”। আমি সে গুনগত মান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।