অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ৯ মার্চ রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের মেইন গেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে একটার পর একটা ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পাইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষকের পরিপূর্ণ শাস্তি কার্যকর করতে পারেনি। এটা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, কেয়া সরকার, মেজবাহুল হক মেজবা, প্লাবনী সরকার, মোজাহিদ হোসেন মিথুন, আউয়াল সরকার রাব্বি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা থেকে মাধবপুর কলেজ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ছয় দফা দাবি মানতে হবে। এরমধ্যে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে, উপ-সহকারী পাশকৃতদের সংরক্ষিত পদের বিপরীতে নিয়োগসহ ছয় দফার সব দাবি মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট ৩০% পদ ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। ফলস্বরূপ যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০% কমে গেল। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জন্মলগ্ন থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছেন। আদালত তাদের দাবি বিবেচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোহসিনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করেছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের সবাই কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে ১১টার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কলেজের সামনে মহাসড়ক হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবরোধ তুলে নেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৭ রকমের সবজি, বাংলা ও ইংরেজিতে নাম লেখা। টেবিলে সাজানো সবজি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কেউ খাতায় লিখছে, কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে এসব সবজি নিয়ে ধারণা দিচ্ছেন শিক্ষকগণ।
আয়োজনের নাম ‘সবজি দেখে লিখবো খাতায়’। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আখাউড়ার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জানুয়ারি সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা সবজি নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসে। তিনটি কক্ষে প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে তাদেরকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবজি পুরস্কার দেওয়া হয়। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নয়জন শিক্ষার্থী পুরস্কায় পায়। বেলা ১২টা তেকে ২টা নাগাদ চলে এ আয়োজন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইয়ার হোসেন শামীম, ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ সাহা প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা বেশ উপভোগ করেছে। তারা সবজি দেখে তাৎক্ষনিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, গুনাগুন লিখে আমাদেরকে অবাল করে দিয়েছে। আয়োজনটির জন্য শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘সবজির প্রতি শিশুদের আগ্রহ কম। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা সবজি সম্পর্কে যেমন ধারণা পাবে তেমনিভাবে খাওয়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে। আয়োজনকে ঘিরে শিশুদের স্বতস্ফূর্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো।’
ইউএনও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের এ আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম। শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশে আয়োজনটি কাজে লাগবে।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জে প্রায় ডজনখানেক ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল মিয়া (৪০) কে ৬০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের অন্তর্গত গন্ধরাবপুর-আহমদপুর হাই স্কুল এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার সাথে থাকা অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বদেন ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসআই মাহমুদুল হাসান জানান- জুয়েল মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। সকালে সেসহ তার সহযোগীরা ওই এলাকায় দিয়ে মাদক পাচার করছিল। এসময় গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন- মাদক কারবারি জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলমান অভিযানে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাইমুল ইসলাম, মো. জাবেদুর রহমান, আবির হামিদ মাহি, মো. রাকিব, মো. সাজিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির হোসেন, অভিজিৎ রায় সরকার, মোঃ অপু, মো. আবুল খায়ের।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের তালিকা:
একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯টি শটগানের বুলেট, ৪টি পিস্তল ও রিভলবারের বুলেট, এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দাতিয়াড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় মদের চালান জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ ২৯ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দাতিয়ারা এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এই মদ জব্দ করে। তবে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোফাজজর হোসেন জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টিম শহরের কাউতলি এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সন্দেহজনক একটি পিকআপভ্যানকে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। পিকআপভ্যানটি না থামিয়ে মহাসড়ক দিয়ে শহরের ভিতর দ্রুত গতিতে প্রবেশ করে। পরে এর পিছনে ধাওয়া করে দাতিয়ারা এলাকা থেকে পিকআপভ্যানটিকে আটক করা হয়। পরে পিকআপটি তল্লাশি করে ভারতীয় মদ অফিসার চয়েস ব্লু , ওল্ড মন্ক, এসি ব্ল্যাক, আইস বটকা ও ম্যাজিক মোমেন্টসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক হাজার ৪৮০ বোতল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধ কোটি টাকা।
তিনি আরো জানান, চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।