অনলাইন ডেস্ক :
গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের পৌর শহরের কোরালিয়া রোড রুস্তম বেপারী বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে আব্দুর রহমান, শানু বেগম, খাদিজা আক্তার ও মঈন নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহত ইমাম হোসেন ও দিবা আক্তার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে সেহরির রান্নার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘরটিতে আগুন ধরে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরে তরমুজবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সার ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।
আজ ১৬ মার্চ রবিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের শিবরামপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন আখ সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের নয়ন শেখ (২৪) ও একই ইউনিয়নের মদনদিয়া গ্রামের শাজাহান শেখ (৫২)।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের দিক থেকে আসা রাজবাড়ীগামী একটি তরমুজবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে একটি মোটরসাইকেল ও রিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক নয়ন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের মা এবং অটোরিক্সা চালক গুরুতর আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিক্সা চালক মারা যান।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, রাজবাড়ীগামী নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি তরমুজবাহী ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেল ও রিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক এবং অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে, ট্রাক চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও তার স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুর বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুদক ঢাকা ও পাবনা কার্যালয়ে মামলা দুইটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদক ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ আলম সেখ বাদী হয়ে আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার পাবনা জেলা কার্যালয়ে এবং দুদক ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে রবিবার ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পৃথক মামলা দুইটি দায়ের করেন।
বাদী শাহ আলম সেখ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের করবর্ষে শামীম তালুকদার লাবু’র আয়কর নথি ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনা করে স্থাবর ও অস্থাবর বৈধ সম্পদের হিসাবের চেয়ে ২০ কোটি ৪৭ লাখ ৩৩ হাজার ২১৫ টাকা বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যার বৈধ কোনো ও গ্রহণযোগ্য উৎস তিনি প্রদর্শন করেননি। এ ছাড়াও লাবু’র নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১২টি এবং তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম টান্সপোর্টের ২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব কর্মকাণ্ডে লাবু’র স্ত্রী সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী তাকে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা মোতাবেক এই দুইজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলার বাদী আসিফ আল মাহমুদ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের করবর্ষে জান্নাত আরা হেনরীর আয়কর নথি ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনা করে স্থাবর ও অস্থাবর বৈধ সম্পদের হিসাবে চেয়ে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ২২৩ টাকা বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যার কোনো বৈধ উৎস ও গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রদর্শন করতে পারেননি তিনি। এ ছাড়াও নিজের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ড এবং তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাম এন্টারপ্রাইজের ৯টি এবং তার ৩টি কোম্পানির অ্যাকাউন্ডের মাধ্যমে ২০০২ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং ১৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ কারণে হেনরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০১ এর ২৭ (১) ও ১৯৪৭ এর ৫ (২) এবং মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা মোতাবেক মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু সরকার পতনের পর গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল ও ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মী হত্যাসহ আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকের সততায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ফেলা যাওয়া ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টায় বগুড়া সদর থানায় পুলিশের মাধ্যমে স্বর্ণের প্রকৃত মালিককে এসব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ভরি স্বর্ণ ফিরিয়ে দিয়ে শততার আরেক দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন খায়রুল ইসলাম নামের ওই অটোরিকশাচালক।
জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি হাজীপাড়ার খায়রুল ইসলাম তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ও বাড়তি আয় করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। খায়রুল বগুড়ার একটি সরকারি কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো ঈদের দুই দিন আগে ২৯ মার্চ অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন তিনি। সেই দিন ইফতারের আগে জুয়েলারি ব্যবসায়ী পাবনার ফরিদপুর উপজেলার উত্তর গোপালনগর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ শাহিন বগুড়া নিউ মার্কেট থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণ কিনে একটি কালো রঙের ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে খায়রুলের অটোরিকশা করে শাজাহানপুর উপজেলার বনানীতে গিয়ে দ্রুত বাসে উঠে যান। বাসে উঠে ইফতার করার সময় তার মনে পড়ে যায় স্বর্ণসহ নগদ ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি অটোরিকশা ফেলে এসেছেন। বাস থেকে নেমে অটোরিকশাচালককে খুঁজে না পেয়ে শাজাহানপুর থানা ও বগুড়া সদর থানায় গিয়ে আইনগত সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশের পরামর্শে তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি জিডি করেন এবং বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় তার হারিয়ে ফেলা ব্যাগটির খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায় সেটি না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এদিকে, নিজের অটোরিক্সায় ব্যাগটি পেয়ে সেটি না খুলে ওই যাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন খায়রুল। সেদিন ব্যাগটির মালিককে খুঁজে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি গিয়ে খায়রুল তার মাকে সব খুলে বলেন। তার মা তাকে বলেন স্বর্ণগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে দিতে। পরে পরিচিত এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে বগুড়া সদর থানায় যোগাযোগ করেন খায়রুল।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীনকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত স্বর্ণের মালিককে ডেকে নেন। সেদিন রাত ১১টায় প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে ১৮ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি তুলে দেন।
বগুড়া সদর থানায় ওসির কক্ষে অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে দেখেই চিনতে পারেন যাত্রী শাহিন। মালামাল ফিরে পেয়ে যাত্রী শাহিন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দিতে চান অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে। অটোরিক্সা চালক খাইরুল পুরস্কারের টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং বলেন ব্যাগে থাকা সোনা ও টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি দায়মুক্ত হয়েছেন।
আবেগাপ্লুত শাহিন স্বর্ণ ফিরে পেয়ে জানান, তিনি ভেবেছিলেন তার সব শেষ হয়ে গেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর থানার ওসির ফোন পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অটোরিক্সা চালক খায়রুলের সততা তাকে মহিত করেছে। খায়রুলের মতো মানুষ থাকলে সমাজের কোনো ভয় নেই।
সিএনজি চালক খায়রুল জানান, সারা জীবন সৎ থাকতে হবে, সৎ থাকলে পরকালে ভালো হবে। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সোনার গহনা ও টাকাগুলো ফেরত দিতে পেরে ধন্য মনে করছেন। শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন, অসততা নয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, খায়রুল মূলত একজন শিক্ষার্থী। অটোরিক্সা চালিয়ে নিজের লেখাপড়ার জন্য খরচ বহন করেন। তিনি শুধু সৎ নন, দায়িত্বশীল ও মানবিকও। তার মতো মানুষই আমাদের সমাজে আরও আলো ছড়াবে। এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ খায়রুল।
অনলাইন ডেস্ক :
নেত্রকোনা-মদন সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে কামরুজ্জামান কামাল (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা চৌরাস্তা কৃষ্ণপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান কামাল আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের শ্রীরামপাশা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা পাঁচজন যাত্রী নিয়ে মদন দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় মদন থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।
আটপাড়া থানার ওসি মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে, চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেন থামিয়ে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) থেকে তেল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, পরিচালকসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের সহকারী কমান্ড্যান্ট মো. ফিরোজ আলীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এদিকে, আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন : ট্রেনচালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী চালক আব্দুর রাজ্জাক, ট্রেন পরিচালক (গার্ড) মো. ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের পারভেজ ওরফে জাফর (৩১), কাজী রতন (৪৫), মুরাদ মিয়া (২৮), ইসহাক মিয়া (৩০) ও শামীম মিয়া (৪৭)। এর আগে গত ৮ এপ্রিল আখাউড়া রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শোভন কুমার দাশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযানের সময় দুটি ড্রামে ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পার হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকায় ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির ঘটনা ছিল ওপেন সিক্রেট।
পুলিশের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিল রাত সোয়া ১২টার দিকে কোড্ডা এলাকায় ৬০৩ নম্বর কনটেইনার অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দিয়ে ইঞ্জিন থেকে তেল নামানো হচ্ছিল। সবুজ সংকেত দেওয়া থাকা সত্ত্বেও ট্রেনটি দাঁড়ানো ছিল। এ অবস্থায় রেলওয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশকে দেখামাত্র চালক ট্রেন চালানো শুরু করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সংকেত দেওয়া হলেও ট্রেন থামানো হয়নি। এ সময় একটি বড় ড্রামে ২০০ লিটার ও একটি ছোট ড্রামে ১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তেল পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি বড় পাতিল ও একটি বাঁশ উদ্ধার করা হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনের চালক মো. নাসির উদ্দিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘লালবাতি থাকায় ট্রেন থামানো হয়। পরে সবুজ বাতি পেয়ে ট্রেন চালানো হয়। তেল চুরির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার গণমাধ্যমকে জানান, কনটেইনার থেকে তেল চুরির ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অভিযানের সময় ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন।