অনলাইন ডেস্ক :
ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। প্রেম নিয়ে তার গুঞ্জনের শেষ ছিল না। ভালোবাসা, সংসার ও ত্রিভুজ প্রেমের নায়িকা ছিলেন তিনি। তাই তো মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও সংবাদের শিরোনাম হন প্রিন্সেস ডায়ানা।
ডায়ানার একজন প্রেমিক ছিলেন জেমস হিউইট। তাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল ১৯৮৬–১৯৯১ সাল পর্যন্ত। হিউইটের কাছে ঘোড়া চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেন ডায়ানা। সেই থেকে প্রেম।
১৯৯৫ সালে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে হিউইটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন ডায়ানা। বলা যায় ওই অনুষ্ঠানে তিনি বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন। আর এই সম্পর্কের বিস্তারিত উঠে আসে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ লেখক আনা পাস্তারনাকের ‘প্রিন্সেস ইন লাভ’ বইয়ে। তাতে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ডায়ানা। বইটির ওপর ভিত্তি করে সিনেমা ও সিরিজও তৈরি হয়েছে। যাইহোক, সে সময় এমন গুজবও রটেছিল যে, প্রিন্স হ্যারির বাবা নাকি এই জেমস হিউইট! যা পরবর্তী সময়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানার সেই প্রেমিক হিউইট এমন তথ্য ফাঁস করেছেন যা আগে কেউ জানতো না। জেমস হিউইট ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’কে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
৬৬ বছর বয়সী হিউইট জানান, ডায়ানা তার দুই সন্তানের (প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি) সম্পর্কের অবনতি হলে কী হবে, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতেন (যা সময়ের সঙ্গে সত্যি হয়েছে)।
জেমস হিউইট বলেন, “যেকোনও মায়ের বেলায় সন্তানদের সম্পর্কে চিড় ধরা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা স্বাভাবিক। তিনি (ডায়না) সব সময় দুই সন্তানের সম্পর্ক কীভাবে ভালো, বন্ধুত্বপূর্ণ রাখা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।”
জেমস হিউইট এখন ইউক্রেনে যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সর্বশেষ প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানোরামার ওই সাক্ষাৎকারের পর। সে সময় ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্টিন বশিরের প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্সেস ডায়ানা তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলে হিউইটের ব্যক্তি ও পেশাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেমস তখনও ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ‘মুভ অন’ করার জন্য ভেতরে ভেতরে সংগ্রাম করছিলেন।
ডায়ানার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার প্রচার হওয়ার পর ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া জেমস হিউইটের পেছনে উঠেপড়ে লাগে। আর এমন সময় আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাকে ‘লাভ র্যাট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। তিনি চাকরিচ্যুত হন, সুনাম নষ্ট হয়, মানসিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েন। এরপর বহু বছর জেমস হিউইট জনসমক্ষে আসেননি। জীবন যাপন করেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
হিউইট জানান, বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারের আগে প্রিন্সেসকে কী কী প্রশ্ন করা হবে, তা জানানো হয়েছিল। তারপর ডায়ানা সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হন। কিন্তু সাক্ষাৎকারে অনৈতিকভাবে ভিউ, টাকা ও শোরগোলের লোভে হিউইটের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্কের বিষয়টি তুলে আনা হয়।
হিউইট বলেন, “এরপর আমি বুলিং, কটাক্ষ আর অজস্র নেতিবাচক মন্তব্যে অত্যন্ত মর্মাহত আর আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।”
হিউইট সে সময় ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের অশ্বচালনা প্রশিক্ষক। প্রিন্স উইলিয়ামস ও প্রিন্স চার্লসের কাছে ‘ফাদার ফিগার’ ছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিউইট তা অস্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের সঙ্গে খেলতাম, সাঁতার কাটতাম, ঘোড়া চালানো শেখাতাম। সেটা ছিল পেশাগত দায়িত্বের সম্পর্ক।”
এদিকে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি তার স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’–এ ‘হিউইট তার বাবা’—এই গুজব সম্পর্কে লেখেন, “এটা খুবই হাস্যকর। গুজবটার একটা কারণ হতে পারে হিউইটের চুল লাল (হ্যারির চুলও লাল, এদিকে চার্লস বা ডায়ানা কারও চুলই লাল নয়)। আরেকটা কারণ হতে পারে মানসিক বিকার।” সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, টটলার
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি সৈকত দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলো ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা। তিনি পথে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পান। তার কাছে মনে হয়েছিল, ওই দুইজন ফিলিস্তিনি। ট্রাক থামিয়ে নেমে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি ওই দুই ব্যক্তিকে গুলি করেন। পরে জানা যায়, যে দু’জনকে গুলি করা হয়েছে, তারা আসলে ইসরায়েলি পর্যটক। ভুক্তভোগী দু’জন হলেন অ্যারি রাভে ও তার বাবা। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
খবরে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডার এই বাসিন্দার নাম মর্দেচাই ব্রাফম্যান। বয়স ২৭ বছর। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার ব্রাফম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মিয়ামি বিচ পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন ব্রাফম্যান।
গ্রেফতারের নথি অনুসারে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নজরদারি ভিডিওতে দেখা যায় যে ২৭ বছর বয়সী ব্রাফম্যান তার ট্রাক থেকে নেমে একটি গাড়ির দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। ব্রাফম্যান ১৭ বার গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে একজনের বাম কাঁধে এবং অন্যজনের বাম বাহুতে আঘাত লেগেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউপিএলজিকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুলিতে আহত হওয়া আরি রেভে বলেন, তারা ট্রাকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চালক তাদেরকে লক্ষ্য করে উন্মুক্ত গুলি চালায়।
ব্রাফম্যানের পক্ষের কোনো আইনজীবী বা প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পায়নি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনিবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক জন কফেনর এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তবে আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও লড়ার কথা জানিয়েছে।
আদালতে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, যখন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন আইনজীবীরা কোথায় ছিলেন। আইনজীবীদের কেউ একজন এই আদেশকে সাংবিধানিক দাবি করবেন এটা আমাকে বিস্মিত করেছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেই একরাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত একটি আইন বাতিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া সবার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভরতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। আর মেক্সিকোতে জন্ম নেওয়া ১৯ কোটির বেশি মানুষ আজ পর্যন্ত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে চীন। সেই দেশে জন্ম নেওয়া ২ কোটি ২ লাখ মানুষ বিগত দিনে মার্কিন নাগরিত্ব পেয়েছিলেন।
এদিকে, রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য। এদিকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৯০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গ্রিন কার্ড বা লিগ্যাল পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (এলপিআর) ছিল। তারা যোগ্য ছিলেন মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশন দ্য ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসকেপ)।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এসকেপের দক্ষিণ এশিয়া প্রধান মিকিকো তানাকা। আর বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া-১) আরিফুর রহমান এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটি স্থল শুল্ক স্টেশন ভবন, স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রতিনিধি দলটি। বৈঠকে বন্দরের অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতার কিছু বিষয় উঠে আসে।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের মধ্যে সড়ক ও অন্যান্য পথে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে সেটি দেখার জন্যই প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে কীভাবে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বাড়ানো যায় সেটিও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেছেন আলোচনায়। তবে সামগ্রিকভাবে বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে।
এসকেপের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান আজহার ডাক্রেস্ট সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো আমরা বন্দর পরিদর্শনের মাধ্যমে চিহ্নিত করছি। কীভাবে এগুলো থেকে উত্তরণ সম্ভব সেটিও নির্ধারণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সফরের পর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতিতে অগগ্রতির আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরি শহর পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবারই তিনি ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনসহ কিবুতজ বেইরি পরিদর্শনে যান।
গত ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেইরি শহরে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। পরিদর্শনের সময় এলি কোহেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান।
পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে নিজের পরিদর্শনের বিষয়ে একটি পোস্ট দেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি লেখেন, আমি নিজের জন্যই জায়গাটি পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু শুনেছি এবং দেখেছি যা কখনই ভুলব না।
ওই পোস্টে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে ‘অগ্রগতির’ আশা প্রকাশ করেন। ক্যামেরন লিখেছেন- আজ এমন একটি দিন যেখানে আমরা মানবিক বিরতির অগ্রগতি দেখতে আশা করি। এটি জিম্মিদের বের করে আনা ও গাজায় সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করার সুযোগ, যেখানে মানুষ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলেও পোস্টে জানান পশ্চিমা বিশ্বের এ নেতা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডেভিড ক্যামেরন তার সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে, কখন, কোথায় তাদের এ সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ দু’জনকে আটক করেছে বিজিবি। ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি (২৩) ভারতের সাংলী বোম্বে জেলার তাঁজগাও এলাকার মৃত রাজারাম কলির ছেলে ও বাংলাদেশি নাগরিক লিটন দেবনাথ (৩৬) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াহাটি গ্রামের অবনী দেবনাথের ছেলে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, একজন ভারতে যাচ্ছিলেন, আরেকজন ভারত থেকে এসেছিলেন। বিজিবি ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ২০২২/৫-এস এর নিকটবর্তী হীরাপুর নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি এক বছর দুই মাস আগে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে এসে নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণকারের কাজে নিয়োজিত ছিল।
স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল ও হীরাপুর গ্রামের হেফজু মিয়ার ছেলে বিজয় মিয়া (২৮) এবং আরমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৮) এর সহযোগিতায় তিনি ভারতে ফেরত যাচ্ছিল। এছাড়া বাংলাদেশী নাগরিক লিটন দেবনাথ গত ১০ দিন আগে চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতের আগরতলায় এক ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক হওয়া ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের আধার কার্ড তৈরীর আবেদন ফরম পাওয়া যায়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় হন্তান্তর এবং মানব পাচারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।