ফয়সাল, ইতালি থেকে :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রোজাদারদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে ইতালি প্রবাসী নোয়াখালী ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি ইতালি। ইটালির রাজধানী রোমের প্রেনেস্তিনা মক্কি মসজিদে রবিবার এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক টিপু, সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার আমন্ত্রণে ইফতার মাহফিলে প্রায় পাঁচ শতাদিক ধর্মপ্রাণ রোজাদার মুসল্লি অংশগ্রহন করেন।
ইফতার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বয়ান পেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং গাঁজায় অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্যে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন মসজিদে মক্কির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রহমান। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান করেন। তারা সংগঠন অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে ইসলামিক কর্মকান্ড করে সমাজকে সুস্থধারায় পরিচালিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আগামী দিনে দেশের উন্নয়নেও কাজ করে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এসময় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আবসার, স্থায়ী কমিটির প্রধান আব্দুল ওহাব, ১নং সদস্য সোহেল চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন শিমুলসহ সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ইতালীস্থ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, ব্যবসায়ীক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা নোয়াখালীর সকল গতিশীল কর্মকান্ডে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কমিউনিটির উন্নয়নে বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীতেও সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে শুক্রবার রাতে শামসিয়া অডিটরিয়ামে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশা করেন আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এখন টেলিভিশনের সৌদি আরব প্রতিনিধি, রোটারিয়ান জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের সঞ্চালনায় সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সভাপতি, প্রবাস মেলা সৌদি আরব দর্শক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম বিলাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এনটিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রধান ফারুক আহমেদ চান।
রিয়াদ গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, নিউজ২৪ টেলিভিশনের রিয়াদ প্রতিনিধি রুস্তম খান, বর্ণ টিভির পরিচালক ফকির আল আমিন , মাইটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি সাদেক আহমেদ, এসএটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি ফকির হাকিম, বাংলা ৫২ টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, মোহনা টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, লাব্বাইক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ শাহজালাল ভুট্টু, দৈনিক স্বাধীন পত্রিকার সৌদি আরব প্রতিনিধি মো: ইমন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সায়েদ মো: তারেক, সরকারি মার্কেটিং ডিরেক্টর শওকত উল্লাহ রিপন, সিলেট কুলাউড়া প্রবাসী পরিষদের সভাপতি খালেদ সাহাব উদ্দিন, সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের উপদেষ্টা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া সহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০২৫-২৬ দুই বছরের জন্য আবদুল্লাহ আল মামুন কে সভাপতি ও সানাউল্লাহ আপন তাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সৌদি আরব প্রবাস মেলা দর্শক ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। সবশেষে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা সহ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া করেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাফেজ শামীম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন সৌদি আরবে একমাত্র বাংলাদেশী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সানসিটি পলি ক্লিনিক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসেরস নিরব রেস্টুরেন্টে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।কামাল উদ্দীন ও হুমায়ন কবিরের দুই পর্বে সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেনের সঞ্চালনায় চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন -লিয়াকত হোসেন মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, নুর আলম সেলিম, মোহাম্মেদ আলী, গোলাম কবির শিপন, বারাকাত শিউল, মোঃ ফারুক, নোমান সিদ্দীকি ।
প্রধান বক্তা ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব ও হুমায়ন বাংগালী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে বাহার, শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাশেদ আলম, শাহাদাত হোসেন টিটু, শাহাদাত হোসেন সুজন, মামুন, শামছুর রহমান, মিলন, আবু তাহের, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু, মো. নাঈম, আব্দুল কুদ্দুস বাবু, মো: আল-আমিন, সঞ্জয় শীল, সবুজ হোসেন, আবদুর রহমান, ওমর ফারুক শরীফ, আরিফ হোসেন, আমিন উল্লাহ, আবু বক্কার সিদ্দিক, ইব্রাহিম খলিল, নুর হোসাইন, সজীব আহমেদ, লিটন চৌধুরী, শামীম হোসেন, কিরন, মো. জাবেদ, রবিউল হাসান সৈকত, বাদশা ফাহাদ, মোহাম্মাদ কাকন, সজীব, মিশু, রিয়াদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত রাফি, জহিরুল ইসলাম সোহাগ, জামসেদ মজুমদার, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, রমযান আলি রাশেদ, রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ, সাইফুল ইসলাম, সজীব, বিপ্লব, তারেক, জুয়েল, পিয়াল, হাসান, আরিফ হোসেন, নাঈম, ফয়সাল, সৈকত ফারুক, নিশাদ, জাহিদ, মুরাদ, জর্জ, সাব্বির, আবদুর রহমান, জাহিদ, তৌহিদ সহ চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের উপস্থিতিতে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন-
হুমায়ন কবির, লিয়াকত হোসেন মামুন, আনোয়ার হোসেন লিটন এবং মাঈন উদ্দিন নটু। নব মনোনীত আহবায়ক-হেলাল উদ্দিন ও সদস্য সচিব শরিফ হোসেন নিরব বলেন-আগামী কিছু দিনের মধ্যে আহবায়ক কমিটির ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নব মনোনীত দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি পবিত্র রমযান মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সোসাইটির কার্যক্রম শুরু করবেন।
আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিকের কাজ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার দেবিদ্বারের যুবক মো. বাছির উদ্দিনের (২৩) মরদেহ প্রায় দেড় মাস পর দেশে এসেছে। মো. বাছির দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত স্বপন আলীর ছেলে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর ঈদগাহ মাঠে সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেন লিপুসহ স্থানীয়রা।
বিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাছির উদ্দিনের মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাছির উদ্দিনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাছির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় দেড় মাস পর বাছিরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মদিনায় একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাছির মারা যায়। আমরা প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে খবর জানতে পারি।
বাছিরের মা শাহীনা বেগম বলেন, বাছিরের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়।
পরে অনেক ধারদেনা করে বাছিরকে সৌদি আরবে পাঠাই। আমার ছেলে যে ওখানে মারা যাবে কে জানত। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বাছির।
জানাযা পূর্ব বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাছিরের পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। আমরা এলাকার সবাই মিলে যদি বাছিরের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখি, তাহলে এই পরিবারটি স্বাবলম্বী হবে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপক প্রসারে ইউরোপ-আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেরই চোখ এখন আইটি খাতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার বিভিন্ন স্বনামধন্য আইটি সেক্টরে কাজ করা অসংখ্য বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি ও সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা এই খাতে বাংলদেশের সম্ভাবনার দরজা আরো ব্যাপক পরিসরে উন্মোচনের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে!
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইটি বিশেষজ্ঞ গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মিজান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বাংলাদেশী আইটি প্রতিষ্ঠান আইডাটাকোর ইমফোটেকের সিইও ও নিউইয়র্কের বোর্ড অব এডুকেশনে কর্মরত সিনিয়র আইটি বিশেষজ্ঞ আহমেদ সোহেল সম্প্রতি নিউইয়র্কে অন্যান্য আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আমেরিকান-বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন (বিএটিসি) নামে একটি আইটি সংগঠন গঠন করেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক সাধারণ সভায় সংগঠনের একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের জামাইকায় অবস্থিত মেহমান রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যকরী কমিটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী. প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন আহমেদ সোহেল, এই কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন সিনিয়র সহসভাপতি – ড মোহাম্মদ শফি চৌধুরী, সহসভাপতি- মাহফুজ রহমান, সহসভাপতি-রায়ান তাজ, যুগ্ম সম্পাদক-রাশেদুল আলম রিমেল, যুগ্ম সম্পাদক-সাদাত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ- তোরিকুল ইসলাম, সহকারী কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, সংগঠনিক সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-রাব্বি আরমান, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক-মো. আজাদ, সদস্যপদ বিষয়ক চেয়ারম্যান-আসাদুজ্জামান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য – সংগীত সাহা, আনিসুর রহমান, মো. সামদানি, মো. আব্দুল করিম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের পরিচিতি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সোহেল। সভাপতিত্ব করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি মিজান চৌধুরী।
বিশেষ আলোচনা সভায় উপিস্থিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার জন্য একটি টেকসই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন যেখানে তারা আইসিটি (ICT) ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা, মেন্টরশিপ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন।এক্ষেত্রে তারা নিকট ভবিষতে একটি আইটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের ব্যাপারেও মতামত ব্যাক্ত করেন। পাশাপাশি কমিউনিটির স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবেন এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত পেতে পারেন।
বাংলাদেশি এবং আমেরিকান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময় ও ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা উন্নীত করার ব্যাপারেও তারা গুরুত্বআরোপ করেন। নবগঠিত ব্যাতিক্রমী এই আইটি সংগঠনটি বাংলাদেশি-আমেরিকানদের আইটি খাতে উৎসাহী করতে আইটি খাতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, প্রশিক্ষণ সেশন এবং নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচিসহ পেশাগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনে ফ্রি সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।