অনলাইন ডেস্ক :
এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া নামের আগে কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ ১২ মার্চ বুধবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। আগামীকাল ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা শ্মশানপাড়ার বাড়ি থেকে রুপা খাতুন (৪০) নামে এক আলোচিত নারীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তার বাড়ি থেকে একটি অত্যাধুনিক পয়েন্ট ২২ এয়ারগান, একটি অপটিক্যাল সাইট, দু’টি দেশীয় অস্ত্র (কিরিচ), ৬টি মদের বোতল, নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা, মাদক সেবনের একটি আধুনিক হুক্কা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহা. জয়নুল আবেদীন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, রুপা খাতুনের বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা রজু করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারীদের নিয়ে দেহব্যবসা, মাদক ব্যবসা, প্রতারণাসহ আরো অনেক অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। সেগুলোও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তালতলা শ্মশানপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছোটবেলায় রুপা ও তার মা মাটি কাটার কাজ করতেন। বড় হওয়ার পর দেখা যায় তার অনেক সম্পদ। কিছুদিন আগে শহরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করেছেন। এছাড়া নামে বেনামে তার আরো অনেক ব্যবসা আছে। বিয়ের ফাঁদে ফেলে অনেকের সাথে রুপা প্রতারণা করেছেন বলেও শোনা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় এক দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সময় শিকারের আশায় যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় মো কামাল মিয়া নামে এই অভিযুক্তকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞান পার্টির দুইটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দুইটি অভিযোগেই একই ধরনের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। ৩০ আগস্ট ওমান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন সুরুজ আলী। এরপর ২ নম্বর ক্যানোপি দিয়ে বের হওয়ার সময় যাত্রীবেশী কামালের পরিচয় হয়।
কৌশলে প্রতারক সুরুজের গন্তব্য জেনে নেয় কামাল। এর পর নিজেও একই দিকে যাবেন বলে এক সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত কামাল। এরপর সুরুজকে বিভিন্ন কথা বলে বহুতল কার পার্কিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে গল্প করেন এবং আস্থা অর্জন করে যাত্রী সুরুজকে কামাল কৌশলে জ্যুস পান করান এবং ভুক্তভোগী জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সকল মালামাল হারিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর আরো এক প্রবাসীর অভিযোগ পায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। যাত্রী রিপন হোসেন সৌদি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর শাহাজালাল বিমানবন্দরে আসেন। ঢাকা ফেরার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। তিনিও সাথে থাকা ৩ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইলসহ সবকিছু হারান।
এ সকল অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তদন্তে প্রতারক কামালকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে এপিবিএনের অপারেশন টিম। এর পর জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল কামালের। গতকাল মধ্যরাতে অভিযুক্ত কামালকে আবারো যাত্রী বেশেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, আটক হওয়ার সময় নিজেকে যাত্রী দাবী করছিলেন কামাল। এ সময় যাত্রীর মত ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় কামাল। উপরে আলোচিত দুই যাত্রী রিপন ও সুরুজ দুইজনকেই সে নিজে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবদুল্লা আল নোমান (২৪) নামের এক যুবকের কবজি উড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আরকাইম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নোমান উপজেলার সমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নোমান বগাদানা ইউনিয়নের আরকাইম গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে তিনি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে তার হাতের কবজি উড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আবদুল আজিজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্যার্তদের সহায়তায় জন্য বিএনপি নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ ১০ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ত্রাণ তহবিলে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। গত ৫ দিনে নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ প্রায় ১০ কোটির ত্রাণ সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকায় রোগবালাই বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের চিকিৎসকগণ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো ওইসব এলাকায় ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিএনপিএর স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় উপদ্রুত মানুষদের সাহায্যার্থে শুকনো খাবার, শিশুদের কাপড়, মানুষের ব্যবহৃত কাপড়, মোমবাতি, দিয়াশালাই, বিশুদ্ধ পানি দেশের সর্বস্তরের জনগণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। রিকশাচালক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিচ্ছে।