অনলাইন ডেস্ক :
‘কিডনি রোগ জীবননাশা- প্রতিরোধই বাঁচার আশা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়ারেজ কুরনী। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডা. আবিদ আল আজাদ, শাখার সিনিয়র ম্যানেজার মামুন উর রশিদ তালুকদার, শাখা ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করে চিকিৎসার মাধ্যমে মরনব্যাধি কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা য়ায়। তাই সকলকেই কিডনি চেক করার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর পৃথক অভিযানে একজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।
সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ ৭ মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় ২টা ১৫ মিনিটে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক ৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস- ৩৮৯৪ পিস, ট্যাবলেট- ২১,৩০০ পিস, ক্যাপসুল-৮,৭০০ পিস, Medicated Soap- ৩২৪ পিস, Glosmile Injection- ১০৮ পিস, Finoptis eye drops-১৪০ পিস এবং Asylom-CD sachets powder-১৪০ প্যাকেট আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত অবৈধ চোরাচালানী মালামালের সিজার মূল্য ৬৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শত টাকা। আটককৃত চোরাচালানি মালামাল আখাউড়া কাষ্টমস অফিসে জমা প্রদান করা হয়েছে।
অপর অভিযানে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দলের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৭মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালঞ্চপুর স্থান দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে ভারত হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে বিজিবি বিওপির টহল দল ধাওয়া করলে বাংলাদেশী নাগরিক মোসা. ফাতেমা বেগম (৩৫), স্বামী মো. মনির হোসেন, গ্রাম বদনী ভাঙ্গা, ছোটভাদুরা, মোড়লগঞ্জ বাগেরহাটকে আটক করে এবং অপরজন মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১ বছর পূর্বে ভারতে কাশ্মীরে বসবাসরত তার স্বামীর নিকট চিকিৎসার জন্য গমন করে এবং ৭ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় ধর্মঘর বিওপির টহল দলের নিকট আটক হয়। উল্লেখ্য, উক্ত মহিলার স্বামী ভারতের কাশ্মীরে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। আটককৃত মহিলার নিকট হতে ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিককে মোবাইল ফোনসহ মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর।
এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার চৌধুরী বলেছেন, শিশুদের মসজিদে নিয়ে আসা তাদের ধর্মীয় শিক্ষার ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ছোটবেলা থেকেই মসজিদে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে তাদের মনে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসা ও একাগ্রতা তৈরি হয়।
আজ ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে জয়পুরহাট পৌর শহরের পাচুরচক দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদের সম্প্রসারিত অংশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গুলজার হোসেন, জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আবুল কালাম মো. শরিফ উদ্দিন, প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, পাচুরচক দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদের সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক, ডাকাতির সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য নাজমুল মোল্লা (২১)কে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে উপজেলার বেলতলি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ডাকাত সদস্য বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার গৈলা এলাকার খোরশেদ মোল্লার ছেলে। সন্ধ্যায় চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে শট গানের ৬টি কার্তুজ, ১০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ২লাখ ১৬ হাজার ৫০০টাকা, ৬টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, ৮টি লাইফ জ্যাকেট, একটি গাঁজা মাপার মেশিন, ৪০পিস কলকি, দুটি লাইট, ৪টি হেলমেট, একটি লেজার লাইট, একটি চাঁদা সংগ্রহের বই, ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
আর্মি ক্যাম্পের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে ধরতে দিনব্যাপী তাদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তথ্য সংগ্রহ ও মামলা দায়ের চলমান আছে। আইন শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ সকলকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও একাধিক ডাকাত সদস্যের নামে মামলা দায়ের চলমান রয়েছে। আটক ডাকাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ার ধুনটে জুয়ার আসর থেকে দু’জন প্রধান শিক্ষক ও একজন অ্যাডভোকেটসহ গ্রেফতার ১১ জনকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকালে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে জুয়ার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার জুয়াড়িরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামির উদ্দিন, গোপালপুর খাদুলী গ্রামের মৃত সামাদ মুন্সির ছেলে রান্ডিলা আতাউল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, খাদুলি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, একই গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম, কাশিয়াহাটা গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, পীরহাটি গ্রামের মৃত আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে তোতা মিয়া, ধেরুয়াহাটি গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আল আমিন, মনছের আলীর ছেলে রতন সরকার, অলোয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে সোহেল রানা, গোপালনগর ইউনিয়নের দেউরিয়া গ্রামের ডাক্তার শফিকুল ইসলামের ছেলে বগুড়া জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মোমিন ও বগুড়া সদর থানার নারুলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে বাবুল আক্তার।
ধুনট থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় খবর পাওয়া যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ইমন শেখের বাড়ির চৌচালা ঘরে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে দুইজন প্রধান শিক্ষক ও একজন আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার ১১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। আসর থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম তিন সেট তাস, কালো কাপড় ও নগদ ৪৪ হাজার ৫২০ টাকা জব্দ করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, গ্রেফতারকৃত জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।