চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে মিতু (১৩) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছে। আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা- সিলেট সড়কের সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কাঁচারি পাড় এলাকার মজনু মিয়ার একমাত্র মেয়ে। মিতু সরাইল একডেমীর ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিতু গত ৩-৪ আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে বিভাটেক যানবাহনে করো সরাইল নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে নন্দনপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মিতু ছিটকে পড়ে ট্রাক্টরের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা মিতুকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলাম মিতুকে মৃত ঘোষণা করে।
খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, ট্রাক্টর ও বিভাটেকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘নিবিড় অন্তর তর বসন্ত এলো প্রাণে’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসন্তবরণ উৎসব উদযাপিত। আনন্দ শোভাযাত্রা ‘উদ্বোধন, ফুলেল শুভেচ্ছা, বসন্তকথন কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ একক ও দলীয় আবৃতি, সঙ্গীত ও নৃত্যেও সমাহারে ‘তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ এ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৪টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ সভাপতি রোকেয়া দস্তগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম. শফিকুল্লাহ, অনুষ্ঠানের উদ্বেধক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আ: মান্নান সরকার, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, কবি ও সাহিত্যিক আ: রহিম, উদীচি সহ সভাপতি ফারুক আহাম্মদ ভূঞা, সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক মন্ডলীর সদস্য মানিক রতন শর্মা, নারী নেত্রী ফজিলাতুন্নাহার, নেলী আক্তার, টেলিখিসন জার্নালিস্ট এসোসিয়েসন সাধারন সম্পাদক জহির রায়হান।
অনুুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হেলাল উদ্দিন হৃদয়, রেজা এ রাব্বাী, ফাহিমা সুলতানা। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে এক বর্ণঢ্য শোভাযাত্রা শহরেরর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আবৃত্তি সংগিত ও নৃত্যের বর্ণিল সমাহারে শতশত দর্শক শ্রোতা দীর্ঘ চার ঘন্টা বসন্ত উৎসব উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আগামীকাল ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জেলাব্যাপী পরিচালনা করবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিনকে কো-চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, দলীয়ভাবে নির্বাচিত সকল পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পর্যায়ের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ সদস্য হিসাবে থাকবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর পরিচালনায় সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন সহ সাবেক কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬ জন। সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছে রোগী ও স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। ছেলেকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা সেলাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরেক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী। চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই। বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু’একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু আজ শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিনভাগের দুইভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতিবছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে। এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,বিএনপি-জামাতের রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা। কিন্তু ওরা জানে না জ্বালাও-পোড়াও করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবেনা। ২০১৩-১৪ সালেও দিনের পর দিন জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ খুন করেও শেখ হাসিনারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একমাত্র পথ নির্বাচন আর জনরায়। নির্বাচনে জনরায় আমাদের বিরুদ্ধে গেলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবো। কেউ সরানোর দরকার পড়বেনা। তিনি দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকালে সদর উপজেলার বটতলী বাজারে ৮ নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহবায়ক হাজি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, যুগ্ম-সম্পাদক মোমিন মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসির উদ্দিন মাস্টার, সোহেল মিয়া, যুবলীগ নেতা আবু কাউসার।