মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ও শিকানিকা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অধীনে যমুনা নদীর উপর ৮১ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
দরপত্র অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুছ আল মামুন ও মেসার্স জাকির এন্টার প্রাইজ (জেভী) কে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালে ৪ জুলাই পর্যন্ত ৫৪০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দেড় বছরে মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর দুপারে সামান্য পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেই প্রায় ৮ মাস পূর্বে বাকি কাজ ফেলে পালিয়ে যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
যার ফলে প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচলকারী রসুল্লাবাদ, সাতমোড়া, জিনদপুর, ইব্রাহীমপুর ও লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি এ এলাকার সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনা নদীর উপর সেতুর দুই পাড়ে সামান্য পাইলিং করা হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যেটা দিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীরা পারাপার হয়।
নদীর তীরে স্থানীয় দোকানদার সবুজ মিয়া বলেন, একটি সেতু না হওয়ায় আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পুহাতে হচ্ছে। এখানে সেতু হলে চলাচলেও যেমন পরিবর্তন আসবে তেমনি আমাদের আয়-উপার্জনও বৃদ্ধি পাবে।
এ রাস্তায় চলাচলকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, সেতু না থাকায় মানুষের যে কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। স্কুল কলেজে যাওয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। এই সেতুটি নির্মাণ হলে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন জানান, আমাদের জন্য অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। তিনি বলেন, স্বপ্নের এই সেতুটি নির্মাণ হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী আশেপাশের ৫ টি ইউনিয়নের অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। তাই পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদারের মাধ্যমে সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিষয়টি নিয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবীনগর উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দরপত্রের চুক্তির শর্ত না মানায় পূর্বের ঠিকাদারদের সাথে কার্যাদেশ বাতিল প্রক্রিয়াধীন। নতুন করে রি-টেন্ডার করে অচিরেই সেতুটির কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজীব চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলি জেলা প্রশাসকের কাছে উত্থাপন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, অচিরেই নবীনগর থেকে রাধিকা হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস সার্ভিস চালু করা হবে সহ স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য সমস্যাগুলি ও সমাধান করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১ টায় নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় প্রধান অতিথি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল মেলার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান। পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন শাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব আলম প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোকারম হোসেন প্রমুখ।
এ বছর ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় উপজেলার ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছেন। শুরুতে অতিথিবৃন্দ স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্টল সমূহের বিপরীতে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উদ্যোগে ‘দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনটি পর্বে বিতর্কের প্রথম রাউন্ডের বিষয় ছিল ‘অভাব নয় সীমাহীন লোভই দুর্নীতির প্রধান কারণ’ এ পর্বে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় অর্জন করে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে বিষয়বস্তু ছিল ‘দুর্নীতিই জাতীয় উন্নয়নের প্রধান কারণ’ এ পর্বে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় অর্জন করে।
ফাইনাল রাউন্ডের বিষয়বস্তু ছিল ‘দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতে পরিবারের ভূমিকায়ই মূর্খ্য’ এ বিতর্কে সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা জারিন তাসমিন।
দুর্নীতি দমনের ছাত্রসমাজের ভূমিকা ‘বিষয়ের উপরে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাছুমা খন্দকার।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার সারা।
তৃতীয় স্থান অর্জন করে নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র নওফেল আহাদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসনাত জাহান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী শামল, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি আমেনা বেগম।
সভাপতিত্ব করেন নবীনগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার। বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুল মতিন, কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান কল্লোল, শিক্ষক মাদক চক্রবর্তী, শিক্ষক আবু হানিফ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: হোসেন শান্তি।
বিচারক প্যানেলে ছিলেন, প্রভাষক শিউলি পারভীন, আশীষ কুমার গুহ, সাম সাম উদ্দিন।
সঞ্চালনায় ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আব্বাস উদ্দিন হেলাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় নৌকা ডুবে রিয়াদ নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মা বিউটি বেগম গুরতর আহত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নৌকার মাঝি আতিক মিয়া পলাতক রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রিয়াদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উরখুলিয়া গ্রামের আতিক মাঝির নৌকা সদরের চাল বাজার থেকে উরখুলিয়া প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। দুপুরে নবীনগর নৌকা ঘাট থেকে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে একটি মালবাহী নৌকা উরখুলিয়া যাবার জন্য রওয়ানা হয়। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার সময় হঠাৎ ডুবে যায়। নৌকার ডুবির কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেতরের মধ্যেই নৌকার ভেতরে মহিলাকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পর শিশু বাচ্চাটি নদীতে ভেসে ওঠে। নৌকায় বেশি যাত্রী ছিল না। নৌকায় সিমেন্ট ও রড অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবেছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত শিশুটির নানা মোঃ হেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে নবীনগরে বাজার করতে আসছিলাম। বাজার শেষ করে দুপুরে নৌকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ার সময় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আমার নাতি রিয়াদ মারা যায়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাফিছা বলেন, আজকে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই জন রোগীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। একজন হচ্ছে মা, পরে এসেছেন তিন বছরের একটি বাচ্চা। মা জীবিত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। শিশু বাচ্চাটি আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন।
ফায়ার ফাইটার আব্দুল জব্বার বলেন, ৯৯৯ একজন নারী আমাদের ফোন করে অবগত করলে আমার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনার একটি শিশু মারা গেছে। অতিরিক্ত মালমাল থাকায় কারণে নৌকাটি ঘাটেই তলিয়ে যায়।