চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নবাসীর মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
১৬ মার্চ রবিবার বিকেলে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য এস এন তরুন দে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নূর-আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মন্নর আলী, যুবদল নেতা, কাজল, জহিরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এন তরুণ দে বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের উপহার হিসেবে শতাধিক মানুষের মাঝে এই ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়নের মানুষের মাঝে এই উপহার বিতরণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালেমা পাঠ ও অর্থকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে এক সময়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের হেমেন্দ্র দেবনাথ এখন মো. হিমেল তালুকদার নামে পরিচিত।
গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের শাহী জামে মসজিদে (হাটখোলা) হিমেল জুম’য়ার নামাজ আদায় করে উপস্থিত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল মুসল্লিদের সহায়তা চেয়েছেন।
এ সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কুতুব উদ্দিন, খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা, পেশ ইমাম মাওলানা শেখ মো. আমান উল্লাহ হিমেলকে গ্রহন করে নেন। আজ থেকে সকলকে হিমেলের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। হিমেল জানায়, সরাইল সদরের নাথপাড়ায় তার বাসা। পিতা রামধন দেবনাথ। শিশুকাল থেকে হিমেল ইসলাম ধর্মের লোকজনের সাথে চলাফেরা উঠাবসা করে আসছে। ইসলামের পারিবারিক, সামাজিকসহ সকল রীতিনীতিই শান্তি ও কল্যাণের। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের বাংলা কপি পাঠ করে বুঝতে ও উপলদ্বি করতে পেরেছি, ইহার বিধি বিধান ঠিক ভাবে পালন ইহকাল ও পরকালে শান্তি নিশ্চিত। আখেরাতের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি জান্নাতেও প্রবেশ করা যাবে। তাই ইসলাম ধর্মকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে একজন মুসলমান হওয়ার স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে জনৈক মাওলানা’র মাধ্যমে ইসলামের মূল বাণী “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” পাঠ ও অর্থ মনে প্রাণে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ ক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। নোটারী পাবলিক রেজি: নম্বর-১২৫, তারিখ-১২.০১.২০২৩ খ্রি.। ওইদিন থেকে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছি কিয়ামত, ফুলসেরাত, মিজান, হাসর, বেহেস্ত, দোযখ, ভালমন্দ সব কিছুই আল্লাহর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পূর্বের নাম বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে আমার নাম রেখেছি মো. হিমেল তালুকদার। আমি ইসলামের বিধি অনুসারে ধর্মকর্ম প্রতিপালন করব। এই কাজে কেউ বিঘ্নের বা বাঁধার সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় তাকে এক বছরেরও অধিক সময় আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছে। এখনও অনেক চাপে আছেন। বেশী সমস্যা হলে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইদের সহযোগিতা চাইবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮৩টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৩ হাজার ৭০০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া ও কুট্টাপাড়া (পশ্চিম) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া ও কুট্টাপাড়ার (পশ্চিম) এলাকা থেকে ৮৩ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৩ হাজার ৭০০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা ও সরাইল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়াকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোররাতে র্যাব-৯-এর, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি দল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, শাহজাদাপুর গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (৪০), একই এলাকার ছোলমান শিকদারের ছেলে কাসেম শিকদার (৪০), ছারু শিকদার (৩৫), নান্নু মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়া (৪৫), ছুর রহমানের ছেলে শাহদত খাঁ (৪০), মৃত মিয়া বালীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), শানু মিয়া (৩৮), সুজন মিয়া (৩২), মৃত ছুর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), মৃত জলফু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৪০), মোজাম্মেল সরকারের ছেলে নছরু সরকার (৩৬) ও মৃত বলু মিয়ার ছেলে ছাদেক (৩৫)।
নিহত কামাল মিয়া শাহাজাদাপুর গ্রামের শাহাদাৎ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল শাহজাদাপুর গ্রামের দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়া খুন হন।
এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল নিহতের ছেলে তোফায়েল মিয়া বাদী হয়ে ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং- ২২/৮৯)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় র্যাব-৯- ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি অভিযানিক দল মামলার এজাহারভুক্ত ১২জন আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিদেরকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সরাইল উপজেলায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) এলাকায় আটোরিকশার গ্যারেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত আমির খানের ছেলে। সে পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) সুমন মিয়ার রিকশার গ্যারেজে তার রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। এ সময় গ্যারেজে পরে থাকা বিদ্যুতের তার অসাবধানতাবশত জহিরুল ইসলামের বাম পায়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবন মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিলে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা।