অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতেই নিহত হয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো বর্বর এ হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।
এমন অবস্থায় গাজায় ইসরায়েলের নারকীয় এই তাণ্ডব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি ক্ষুব্ধ বলেও জানিয়েছেন।
একইসাথে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতেও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে নিজের অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেন।
গুতেরেস আরো বলেন, আমি যুদ্ধবিরতি মেনে চলার, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য জোরালোভাবে আবেদন করছি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
অনলাইন ডেস্ক :
বেশিরভাগ দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সে সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি।
পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, আমি ৯০ দিনের জন্য একটি শুল্ক বিরতি অনুমোদন করেছি এবং এই সময়ে পারস্পরিক শুল্ক হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ১০% করেছি, যা এখনই কার্যকর হচ্ছে।
তবে চীনের জন্য এর ব্যতিক্রম ঘোষণা করে তিনি বলেন, চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫% করার ঘোষণা দেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। তিনি এ সিদ্ধান্তের পেছনে চীনের “বিশ্ববাজারের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ”-কে দায়ী করেন।
হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ১২৫% শুল্ক আরোপ এবং অন্যান্য দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য কমিয়ে আনা ১০% শুল্ক কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, “যখন কেউ যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জোরে জবাব দেন।” এজন্যই চীনের বিরুদ্ধে এই উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার মাধ্যমে এগোবে এবং আলোচনার সময় শুল্ক হার সর্বজনীনভাবে ১০% এ নামিয়ে আনা হবে।”
এই ঘোষণার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জিরাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের এটিই প্রথম চালান। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। সোমবার মেসার্স পড়শী ইমপেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫ টন জিরা আমদানি করেছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এম. টি. ই. এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৩ দশমিক ৪৯ ডলার মূল্যে এসব জিরা রফতানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনিয়মিত ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিরা আমদানি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের স্থানান্তর এবং ওই উপত্যকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিগত নিধনের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরো বলেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চিরকালের জন্য অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হব এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাব, এগুলোকে সমতল করবো এবং সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।
গাজাবাসীর মধ্যপ্রাচ্যের এক বা একাধিক দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি বলতে চাইছি যে, তারা সেখানে আছে কারণ তাদের কোনও বিকল্প নেই। তাদের কী আছে? এটি এখন ধ্বংসস্তূপের একটি বিশাল স্তূপ।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশটির মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই তীব্র বিরোধিতার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ডেইলি ট্রিবিউন
অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে গ্রেফতার দেশটির প্রখ্যাত নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী মতিউল্লাহ ওয়েসাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সম্প্রতি এক টুইটে অ্যামনেস্টি বলেছে, ওয়েসার আটক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ওয়েসা দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে মোবাইল স্কুল পরিচালনা করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে মোবাইল লাইব্রেরি সেবাও দিয়েছিলেন তিনি। তাকে গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয়।
ওয়েসার পরিবার জানিয়েছে, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক এবং গ্রেফতারের পর থেকে তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
গত মে মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তালেবান কর্তৃপক্ষকে মতিউল্লাহ ওয়েসা ও আরও কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিতে বলেছিল। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই করা হয়নি বলে জানিয়েছে খামা প্রেস।
অনলাইন ডেস্ক :
আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের পোস্ট গ্রাজুয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে এবার পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে কলকাতার মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত একটি পদযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় তার সাথে সেই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ মহুয়া মৈত্র, রচনা ব্যানার্জি, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, শতাব্দি রায়, দোলা সেন, বিধায়ক অদিতি মুন্সি প্রমুখ।
পরে সংক্ষিপ্ত ভাষণ থেকে মমতা বলেন, ‘আগামীকাল সব ব্লকে ব্লকে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে এবং রাম-বাম’এর চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল করবেন। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক। কিন্তু অসত্য ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ ভুয়া ভিডিও তৈরি করে অসত্য সংবাদ দিয়ে মানুষের মনকে উত্তেজিত করে দিচ্ছে। সত্যটাকে লুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সব খবর সত্যি নয়। কেউ কেউ পয়সা কামানোর জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মে তৈরি করেছে- ওগুলো পলিটিক্যাল পার্টি স্পনসর্ড।’
আরজিকরের ঘটনা নিয়ে মমতা বলেন, ‘একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এটা বাংলার কেউ সমর্থন করে না। আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি দোষীদের শাস্তি হোক এবং এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি যাতে আর কেউ কোনদিন এই কাজ করতে সাহস না পায়। সেটা ফাঁসি হোক। আমরা রাজ্য সরকার ফাঁসির পক্ষে এবং এই তদন্তের অগ্রগতিতে রাজ্য পুলিশ সমস্তভাবে সিবিআইকে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের ঘটনা উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কি ভাবছে?… বাংলাদেশে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, এতো ছাত্র মারা গেলো। বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারি না, আমি বলিও না। এটা দেশের ব্যাপার, দেশ দেখবে। কিন্তু আমরা শুধু ভদ্রতা করব আর আপনারা ভাববেন আমরা দুর্বল হয়ে গেছি, এটা নয়।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অচল অবস্থার জন্য ঘুরিয়ে মোদি সরকারকেই নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘লজ্জা করে না? মাত্র ৭ দিনের মধ্যে পাল্টি খেয়ে গেলেন! প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো কেন বলবে যে ভারত যেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ না করে। এর আগে কোনদিনই এমনটা হয়নি। এই প্রথম আপনাদের আমলে… চ্যারিটি বিগেন্স অ্যাট হোম’। আয়নায় আগে নিজেদের মুখ দেখুন।’
একসময় মমতার হুশিয়ারি- আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আমার জন্ম, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমার মৃত্যু হবে। আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আমায় গায়ের শুধু টাচ করে দেখবেন!’