হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের আয়োজনে লন্ডনে প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও জাতি গঠন শীর্ষক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠি হয়েছে। গত ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন রোডের একটি হলে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন : অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠণ শীর্ষক এক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃটেনের বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নূরানী রূপমা ।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কি নোট স্পিকার হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিলেতের ইমিগ্র্যাশন জাজ সলিসিটর বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের সিভিক মেয়র কাউন্সিলর রহিমা রহমান, সংগঠন এর কো- কনভেনর মসুদ আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক, সাবেক সিভিক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, কাউন্সিলর রিতা ইসলাম, কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী, সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ, কো- কনভেনর জামাল হোসেন, সিনিয়র জয়েন্ট কনভেনর তাজুল ইসলাম, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশী সলিসিটরস এর সভাপতি ব্যারিস্টার আব্দুল গাফফার, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি গুলজার খান, ট্রেজারার আখলাক আহমদ, ব্যারিস্টার মাসুদ আহমদ চৌধুরী ,সাংবাদিক রহমত আলী, সাংবাদিক খালেদ মাসুদ রনি, মানব টিভি সম্পাদক সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, ড. আজিজুল আম্বিয়া ও ড. আজমল চৌধুরী প্রমুখ ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠক আব্দুল মুকিত, পাইলট সাব্বির করিম, বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আব্দুল মুকিত ও আব্দুস সাত্তার ,মিসবাহুজ্জামান সোহেল, সালেহ গজনবী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক তবারক হোসেন, সাংবাদিক সাকির হোসেন, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’র সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ও সাউথ ইস্ট রিজিয়নের জয়েন্ট কনভেনর শিপার রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হেলেন ইসলাম, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সাদিক আহমদ, কদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম রঞ্জু, সৈয়দ সায়েম করিম, আব্দুল বাসিত রফি, আজম আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রেজারার আজম খাঁন, ব্যারিস্টার আব্দুস শহীদ, ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার এনামুল হক, যুব সংগঠক শামসুল ইসলাম সলফী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম, প্রফেসর আব্দুল হাই, আতিক রাহনান, শানূর আলী, বেলাল হোসেন, একাউন্ট্যান্ট ওলিউর রহমান, আবুল কালাম, মোঃ শামসুল ইসলাম, তৌরিস মিয়া, আফসার হোসাইন, সৈয়দা নাজমিন সুলতানা শিখা, শেখ নুরুল ইসলাম .সাংস্কৃতিক কর্মী মাহফুজা তালুকদার ,ডঃ আজিজুল আম্বিয়া , নাজমা হোসাইন, শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, হাফিজ জিলু খান, মোঃ ফজলু মিয়া, সালেহ আহমদ, নূর আহমদ, মোঃ লোকমান হোসেন, সামিউল, আব্দুল সাত্তার, সাকির চৌধুরী, মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ জুনায়েত রিয়াজ, মোঃ বদরুল ইসলাম মোস্তাক, ফয়েজ আহমদ, মোঃ জিয়াউর রহমান, শাহ মুনিম, তুহিন আহমদ, মাইনুর রহমান তুহেল, দেওয়ান সালাম স্বাধীন, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিজিক্সে অধ্যয়ণরত সাইমুর মুজিব রহমান, ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্টে অধ্যয়নরত মুক্তাদির আহমদ, ম্যাথসে অধ্যয়নরত তাহসিন এবং হিস্ট্রি এন্ড ফিলোসপিতে অধ্যয়নরত আমিরুল ইসলাম প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ গঠনে কি নোটের উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও মেইনস্ট্রিম রাজনীতির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফিজ মো: জিলু খাঁন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ সূচিত হতে পারে বলে সেমিনারে অভিমত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের জাতি গঠনে কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই গ্ৰুপে বিভিন্ন সময়ে যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কার্যকর পন্থা বের করা সম্ভব হবে।
কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হয়ে ইফতার ও আলোচনা সভাকে সফল করে তুলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ ও উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর মকিস মনসুর হাইকমিশনার প্রতিনিধি সহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সহ আমাদের সংগঠন এর যারা অর্থ প্রদান করেছেন এবং পোগ্রাম সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠন এর আগামী দিনের পথচলায় সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সেমিনার এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেয় কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের সাস্কাটুনের প্রবাসী বাংনাদেশিরা। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাস্কাটুনের বাংলাদেশিরা সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নিয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠেন। সাস্কাটুনের বেথেলহেম ক্যাথলিক স্কুলে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলার চিরচেনা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শীতের শেষে এই অনুষ্ঠানে যেন নতুন করে নিজেদের ফিরে পেয়েছে। ফুচকা, চটপটি, ঝাল মুড়ি, বিভিন্ন পিঠাপুলির পাশাপাশি শাড়ি আর নানা রকমের জুয়েলারির দোকানে আড্ডায় মেতে উঠেন।
মেলায় যাইরে গানের তালের সাথে উপস্থিত দর্শকেরা যেমন নিজেদের সেই চিরচেনা বাংলায় ফিরে যেতে চায় ঠিক তেমনি বিদেশের মাটিতে নিজেদের শেকড়কে চেনাতে চায় পরবর্তী প্রজন্মকে। বাংলাদেশি কমিউনিটি এসোসিয়েশন অফ সাস্কাচুয়ান (বিকাশ) এর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সাস্কাটুনের মেয়র সিনথিয়া মেরি ব্লক, সাস্কাটুনের পুলিশ চিফ ক্যাম ম্যাকব্রিড, বিকাশের সভাপতি খান আরিফ ওয়াহিদ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্সটাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রবাসী মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় চারজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত আলমগীরকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে প্রথমে ৫০ লাখ দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে সেই অঙ্ক কমিয়ে ১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনে তারা। কিন্তু পরিবার সেই টাকা দিতে না পারায় অপহরণকারীরা আলমগীরকে হত্যা করে।
১২ জুন কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। নিহত আলমগীরের ভগ্নিপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, আমরা বহুবার অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের চাহিদামতো টাকা জোগাড় করতে পারিনি। আর সেই কারণে তারা ইকবালকে হত্যা করেছে।
আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছিলেন এবং সেখানে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তার পরিবারে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করছেন।
নিহতের লাশ ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছাবে বলে পরিবার জানায়।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’র শাখা নিউইয়র্কে চালু হলো ৫ জানুয়ারি। এটি বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম আউটলেট ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে জ্যামাইকায় হিলসাইড এভিনিউর সন্নিকটে (৯০-০৩ মেরিক বুলেভার্ড) আউটলেটটির উদ্বোধন করেন “সিগনেচার কালেকশন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারজানা ইসলাম রুমকি। কেক কেটে উদযাপনের সূচনা করেন তিনি।
মনোরমভাবে সজ্জিত এ শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেশি-বিদেশি পোশাক, মূলত সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি ক্রয় করেন আগতরা। ডিসকাউন্টের এই সুযোগ আরো কয়েকদিন পাবেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে “সিগনেচার কালেকশন” আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আউটলেট খুলেছে। এর চারটি ঢাকায় এবং একটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
উদ্বোধনীর সময় সিগনেচার কালেকশনে’র সিইও রুমকি বলেন, বিদেশের মাটিতে প্রথম আউটলেট খুলতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই নিউইয়র্কে এবং বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে তারা এই শাখা খুলেছেন।
রুমকি বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যান্য সিটির পাশাপাশি অন্য দেশেও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এবং বিদেশে তাদের সাড়ে ৮ লাখ অনলাইন ফলোয়ার রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় এক রেষ্টুরেন্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে ও দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক এনামুল হায়দার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসাইন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মুলধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইঁয়া, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, চৌমুহানী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল মান্নান, জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহসিনুর রহমান সবুজ, দলটির যুক্তরাষ্ট্র এর অন্যতম নেতা গাজী আযম বাদল,শরীফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম ফারুক, আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী নাসিমা আক্তার, দলটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম সহ দলের সকল শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট কাল নীরবতা পালনসহ বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে সেদিন পতাকাটি উত্তোলন করেন ঐসময়কার ডাকসু’র ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পর প্রত্যেক সরকারই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে অবহেলা আর অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়নি। তেমনিভাবে ঐতিহাসিক ৩রা মার্চকেও প্রতিটি সরকারই শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনমন্যতার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম।
৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে ঐদিন পল্টন ময়দানে ছাত্র জনতার সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ।
তাই আজকের আলোচনা সভা থেকে জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনের ফসল বতর্মান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক ২ ও ৩ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য এবং অন্যান্য দিবসের সাথে এ দুটো দিবসকেও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।তবেই নতুন প্রজণ্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ইফতার এবং নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।