চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে পৃথক পৃথক ভাবে নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কে কলেজ মোড় শহিদ ইমরান চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ নেয়।
জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ আল-ওয়ায়েসী, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান গিলমান, যুগ্ম সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বুড়িশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পীরজাদা মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজিসহ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগন বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা হুসাইন আহমদ নুরপুরী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন ফারুকীসহ আলেম উলেমা ও হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের উদ্যোগে ফান্দাউকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন), শরীফের মূখপাত্র পীরজাদা মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী ও মাওলানা সৈয়দ আশরাফ শামীম আল-হোসাইনীসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগনের ওপর ইসরায়েলীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি জানান। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আবদুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্ সূফী আবদুল্লাহ শাহ্(রহ.) এর নব-গঠিত মাজার পরিচালনা কমিটির পরামর্শ ও মতবিনিমিয় সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাজার প্রাঙ্গণে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোঃ নিয়ামত উল্লাহ নিয়ামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়া, কমিটির উপদেষ্টা প্রভাষক মাঈনুদ্দিন ভূইয়া শান্তু, কমিটির উপদেষ্টা সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, কমিটির সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান, আলাউদ্দিন, আমিনুর রহমান ইয়ামিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিল্লাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ দূর্বাজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন, সহ-কোষাধ্যক্ষ অলি মেম্বার, আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরানুল বারী মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান চকদার, মুহিবুর রহমান(মুরাদ), আবদুস ছালাম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক জুনায়েদ রহমান,আহসান হাবিব (শতদল), রুকন উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক শাহজাহানসহ মাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্(রহ.)এর কমিটির নেতৃবৃন্দসহ আশেকান জাকেরান ও ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ বুধবার সমিতির প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে ইউসিসি‘র অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কমল চন্দ্র বনিকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারজানা খন্দাকার, ইউসিসি‘র চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, ইউসিসির সাবেক সহ-সভাপতি নবী নেওয়াজ ভূঁইয়া, ইউসিসির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, সমবায়ী হুমায়ুন করীর ভূঁইয়া, অরুণ জ্যোতি ভট্রাচার্য প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় আয়-ব্যয় ও প্রতিবেদন পাঠ করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্ত মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সমিতির সভাপতি/ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতগণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা ব্রাহ্মণ কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মোনাববর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনাথবন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরুণ কান্তি সরকার, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, থানা কমিউনিটি পুলিশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণজ্যোতি ভট্টাচার্য, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতগণসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে করার জন্য উপজেলার প্রত্যেক পূজা মন্দিরে ডিজে গান বন্ধ ও মদ্য পান বর্জনসহ পূজার সময় শান্তি বিঘ্নিত হয় এসব কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার আহ্বান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন স্বপন কুমার সরকার। একপর্যায়ে দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায়। এর পর থেকেই কিডনি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চালাতে থাকেন রোগীর আত্মীয়-স্বজন। হন্যে হয়ে খুঁজে খুঁজে মিলানো যাচ্ছিল না কিডনি। তখনই এগিয়ে আসেন রোগীর স্ত্রী মায়া রানী সরকার। নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাচাঁলেন মায়া। এমন মানবিক ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন স্ত্রী মায়া।
এ মানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে।
স্বপন-মায়া দম্পতি বর্তমানে ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বামীর জন্য স্ত্রীর এমন ত্যাগ এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ২২ বছর আগে বিয়ে হয় স্বপন-মায়া দম্পতির। বর্তমানে তাদের রয়েছে দুই সন্তান। বড় ছেলে দীপ্ত সরকার (১৮) এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে, আর ছোট ছেলে শান্ত সরকার তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
জানা গেছে, স্বপন কুমার সরকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করাকালীন কিডনি সমস্যা ধরা পরে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। শুরু হয় ডায়ালায়সিস।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়েও চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বেঁচে থাকতে হলে স্বপন সরকারের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। অনেক খোঁজাখোঁজি করেও কিডনি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দিয়ে দেন মায়া রানী সরকার। গত ২১ জুন তাদের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়।
স্বপন সরকারের ভাই মৃণাল কান্তি সরকার বলেন, ভাইকে জীবন বাঁচাতে আমার বৌদি নিজের একটি কিডনি দিয়েছে। এখন তারা হাসপাতালে সুস্থ আছে। বৌদি স্বেচ্ছায় তার স্বামীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দিয়েছে। স্ত্রীর কিডনি দিয়ে স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় এলাকায় অনেকে ওই গৃহবধূর প্রশংসা করছেন।