মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দীন হাজারী বলেন, আওয়ামীলীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার জিয়ার পরিবারকে অনেক কস্ট দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। তবে আল্লাহর রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। নাসির উদ্দীন হাজারীর আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামবায় ২৯ মার্চ শনিবার বিকালে নিজ এলাকা আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের চান্দপুর মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতন করে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। নাসির উদ্দীন হাজারী ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আখাউড়া কসবা আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
নাসীর হাজারী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর বিএনপিকে কোন প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। এমনকি আমরা ইফতার মাহফিলও করতে পারিনি। জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। আজকে অনেক দিন পর আমরা সকলে একসাথে ইফতার করতে পারছি। তিনি জুলাই আগষ্ট শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। চলতি বছরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি দল থেকে যে মনোনয়ন পায় আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।
মোঃ হুমায়ুন কবির হাজারী সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি (নাসিরনগর) এস এম শাফি মাহমুদ, জেলা তাতী দলের সভাপতি ইকবাল আহমেদ, উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল, মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজন হাজারী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মাছ রফতানি করে ১ দশমিক ৬৮ কোটি ইউএস ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি ১৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। রফতানি হওয়া মাছের মোট পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার ছয়শ’ ৬১ মেট্রিক টন।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার আখাউড়া মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো জানানো হয়, আখাউড়ায় গত বছর পাঁচ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৬৮০ টনের চাহিদা মিটিয়ে এক হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। আখাউড়া মোট পুকুরের সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৮ টি যার আয়তন ৬১৩ দশমিক ৬০ হেক্টর। এছাড়া নদী আছে তিনটি। খালের সংখ্যা তিনটি। বিলের সংখ্যা ১৩টি যার আয়তন ১৬৫ হেক্টর। আটটি প্লাবন ভূমির আয়তন ১ হাজার ৪০০ হেক্টর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহবুদ্দিন বেগ, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা বেগম, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাফিকুল ইসলাম। মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় এতে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, সাংবাদিক জুটন বনিক, চাষী আবুল হাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে অতিথিবৃন্দ উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোণা অবমুক্ত করেন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়কবাজার থেকে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধা (৭৫) নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রেলস্টেশন সংলগ্ন শহরের সড়কবাজার এলাকার মুক্তিযুদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারনা বৃদ্ধা ওই নারী অসুস্থ হয়ে মারা যান।
মরদেহ উদ্ধারকারি পুলিশ কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, নিহত বৃদ্ধা নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। কথা বলতে পারতেন না। সারাদিন স্টেশনে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতেন। রাতে মুক্তমঞ্চে এসে ঘুমাতেন বলে শুনেছি। সকালে ফুটপাতের ব্যবসায়িরা মুক্তমঞ্চে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ও অফিসার ইনচার্জ মো. নুরে আলম বলেন, ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে স্টেশন এলাকায় অনেকেই ভিক্ষা করতে দেখেছেন। তার নাম ও পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজয় দিবসে যথাযথ নিয়মে পতাকা উত্তোলনে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়া হয়েছে। আখাউড়া নববন্ধন খেলাঘর ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে খেলা খেলাঘর।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের সড়কবাজারে প্রধান অতিথি হিসাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ।
নববন্ধন খেলাঘরের সভাপতি সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, নববন্ধন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুটন বনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান সুমন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাংবাদিক মাসুকুর রহমান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ বলেন, পতাকা উপহার দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটি আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাতে শুরু করেছে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে নির্বাচনমুখি নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে আওয়ামীলীগ। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরতে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
সমাজের দর্পন হিসেবে সরকারের এসব উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দাবী করেন, আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে কোন গ্রুপিং বা বিভেদ নাই। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেই জাতীয় নির্বানকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড চলছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।