চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়াস্থ জেলা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।
নামাজে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জেলা জামায়াতের আমির মোবারক হোসেন আকন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
খুতবা পাঠ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও শহরের ট্যাংকের পর জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, কাউতলী নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম, ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ, পূর্বমেড্ডা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, মধ্যপাড়া ভাওয়াল দিঘীরপাড় মসজিদসহ জেলার ৭৮০টি ঈদগাহ ও ৫১০টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এমন দাবি জানান তারা।
এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পুস্পস্তবক অর্পণ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সূচনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক মহান ব্যাক্তি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মাধ্যমে। পাকিস্তান সংসদ সভায় তিনিই প্রথম বাংলা ভাষার কথা উত্থাপন করেছিলেন। তারপর রাষ্ট্র ভাষার আন্দোলনের মাধ্যমেই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীন বাংলা অর্জিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান ছিল অতুলনীয়। তাই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।
‘ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পেরোলেও বাংলার সর্বত্রে পুরোপুরি বাংলা ভাষার মর্যাদা পৌঁছায়নি, কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান, চীন কিন্তু নিজের মাতৃভাষার ব্যবহার নিয়েই বেশ প্রশংসিত, কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা নেই বললেই চলে। সেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা বাংলার ভাষার সঠিক ব্যবহার ও বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা কীভাবে করবে, এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি ও ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আ.ফ.ম কাউসার এমরান, সদস্য ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, দ্য ডেইলি পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, প্রেস ক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সদস্য ও মাছারাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়ায় মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার ইফতারির সময় আতকাপীর মাজার মসজিদে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো: ফরহাদ সিদ্দিকী সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন, এড. মফিজুর রহমান বাবুল, সংগঠনের উপদেষ্টা মো: মানিক মিয়া, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মো হানিফ মিয়া,মো জামাল মিয়া(কবিরাজ) মো: এনামুল হক এনাম, মো: নাদিম মিয়া, মো: আজমল সিদ্দিকী, সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মোঃ মাসুদ পারভেজ, সংগঠনের স্থায়ী সদস্য মো: দিদার মিয়া, মো: আরাফাত খন্দকার মিল্লাত, অ্যাড. শাহ মো: কাউসার, দলিল লেখক মো: রুবেল মিয়া, মো: খোকা মাহমুদ, মো: হানিফসহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া।
ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন আতকাপীর জামে মসজিদ খতিব হযরত মাওলানা আল আমিন সাদী। এই সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে ও কাজীপাড়াসহ সকল কবর বাসীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে নির্মাণ করা স্থাপনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা থেকে ইট সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে দোকান নির্মাণ করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, চার জনপ্রতিনিধির আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা এর সঙ্গে জড়িত। প্রায় দেড় মাস ধরে দোকান নির্মাণের এ কাজ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি সুহিলপুর গ্রামের আরিফুল হক চৌধুরী, আবদুল ছোবান, মো. কামাল ও শামিম জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার গিয়ে দেখা যায়, সুহিলপুর গরু বাজারের উত্তর ও পূর্বদিকে সরকারি খাস জায়গা ইজারা ছাড়াই নির্মাণ করা দোকানের চারপাশের দেয়াল ভেঙে ইট সরানোর কাজ চলছে। সুহিলপুর গ্রামের শাহিন মিয়া নামে এক রাজমিস্ত্রীর সর্দার দোকান ভাঙার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে ছয়টি দোকানের পশ্চিম দিকে দুটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সুহিলপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন কাজটি তদারকি করছেন।
শাহিন মিয়া বলেন, সবগুলো দোকানের স্থাপনার (দেয়ালের ইট) ইট-সিমেন্ট ভাঙ্গা হবে। বাজারের উত্তর পশ্চিম দিকে নির্মাণ করা ছয়টি দোকান এবং উত্তর-পূর্ব দিকের একটি দোকানের স্থাপনা ভাঙ্গা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, গত রবিবার সদর উপজেলার সুহিলপুর গরু বাজার পরিদর্শন করি। ইজারা না পেয়েও যারা দোকান নির্মাণ করেছেন, তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে একদিনের সময় চেয়েছে। তাই তাদের একদিনের সময় দেয়া হয়েছে। জায়গাটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তাই এখানে দোকান ঘর করার কোনো সুযোগ নেই। যদি তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা না সরান তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গার্ড অব অনারের পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাজনৈনিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জন্য শহীদ মিনার উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিচার বিভাগ, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভিন্ন দফতরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তক অর্পন শেষে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একুশ আমাদের চেতনা, একুশের হাত ধরেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন একুশ আমাদেরকে একটি অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে। একুশের হাত ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো আমরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আজকের এই দিনটি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো বিশ্বে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এটি আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের বিষয়।