চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি, কিন্তু সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় নেবার সুযোগ নেই। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের অঙ্গ। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ইচ্ছেমতো সরকার নির্বাচন করতে পারবে।
আজ ৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না এলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আসুক। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সংস্কারের কাজগুলো করবে। এই সরকারের উচিত নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, তা করা।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি নির্বাচন শীঘ্রই না হয়, তাহলে আবার আরেকটি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন যত দেরি হবে, ততই ফ্যাসিস্ট সরকারের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’
জেলা ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মুফতি সিবগাতুল্লাহ নূর। পরে নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
এবার জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮০টি ঈদগাহ মাঠ এবং ৫১০টি মসজিদে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ঈদ জামাতকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমপাউন্ড থেকে সরকারি ইনজেকশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ ৩১ জুলাই সোমবার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালে উত্তর পাশের গেটের সামনে থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছে।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইনজেকশন উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ। এই কর্মসূচিতে প্রত্যেক কার্ডধারী পাচ্ছেন ২ কেজি করে মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল ও ১ কেজি ছোলা বুট। মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার, চাল ৩০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে আয়শা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল, চিনি ও চাল পেয়ে অনেক খুশি। সরকার সব সময় যেন আরো কিছু নিত্য পণ্য যোগ করে স্বল্পমূল্যে আমাদের প্রদান করে, সে দাবি জানাই। মুক্তার ও রফিক টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে বলেন, রমজান মাসে সরকার আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে এই স্বল্পমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে।
সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪ হাজার ৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে চারটি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। তিনি আরো বলেন, এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন সঠিকভাবে এই পণ্য পান, সে জন্য জোরদারভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দি কালচারালাল পার্টিক্যাল নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন এ আয়োজন করে।
বিকাল ৫ টায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ¦লনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অর্পা মিত্র ভৌমিকের সঞ্চালনায় স্বাগত জানান সহসভাপতি মোহাম্মদ হাসিবুল মেহরাব।
এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক আসিফ ইকবাল খান ও সময় টেলিভিশন ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি উপস্থাপন করেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিম জানান, আমরা অনলাইনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। মাঝে মাঝে আমরা অনলাইনে নাচ-গান-আবৃত্তি পোস্ট করি। এবার আমরা অনলাইনে যুক্তরা বন্ধুরা সম্মিলিত হওয়ার প্রত্যাশায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিশু-কিশোরদের নিজস্ব উদ্যোগে এমন বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম এবং আশা জাগানিয়া। এভাবেই যদি শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভাবনা ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে অবশ্যই অপরাধ কমে আসবে। সমাজ সুন্দর হতে বাধ্য।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। তারা অপবাদ দিয়েছিল তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারাই যুগিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ ১ জুলাই শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটালীপাড়াবাসী আপনারা আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারাই দেখেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষই হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কোটালীপাড়ায় নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। জাতিসংঘের প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি দেশে আসছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের কিছু লোক তো আছেই, যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না। চোখ থাকতে যারা অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এসব কিছু এখন আর বলার নেই। কিন্তু এটাই বলব, তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন। অনলাইনে সবাই সারাদিন কথা বলে। এতগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। তারপরও তারা বলে তাদের কথা বলার অধিকার নেই!
প্রধানমন্ত্রী কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের ফসল আমাদের ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা আমরা পূরণ করব। যা উদ্বৃত্ত থাকবে তা অন্যকে দিতে পারব। আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ও ব্যবস্থা করছি। এলাকায় এলাকায় সে ব্যবস্থা নেব। শুধু এটুকুই বলব, কোথাও যেন কোনো অনাবাদী জমি না থাকে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এটা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। সবাইকে আহ্বান করেছি, অন্তত ৩টি করে গাছ লাগান। এরমধ্যে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। এগুলো করেই আমরা লাভবান হব। এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তারই স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। দেশে হতদরিদ্র মাত্র ৫%। সেটাও যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটাও হৃতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের একটি ঘর, একটু জমি ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ করতে পারব। আর আমরা সেটাই চাই।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুনভাবে তৈরি করে দিচ্ছি, পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি ও বৃত্তি দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তি দেই। এভাবে আমরা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে এটাই শুধু দোয়া করবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাই যার যার ধর্মীয় রীতিতে সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে এ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমরা চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব, সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনসহ কোটালীপাড়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গনসংগঠনের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন। প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও ভবনের সামনে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান তিনি।
কোটালীপাড়ায় পৌঁছানোর পর নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী কল্পনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার আঁখিতারা ক্লিনিকে একসাথে চারটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই চার কন্যার জন্ম হয়।
একসাথে জন্ম নেওয়া চার শিশুকে আজ বুধবার দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি তাদের নামও রাখেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন্ম নেওয়া চার শিশুর চিকিৎসা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম রাখা হয়েছে পাখির নামে-দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। তারা ভালো আছে। তাদের মা কল্পনা খাতুনও ভালো আছেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারের মাধ্যমে কল্পনা খাতুন চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকরা ডা. মাহবুবুর রহমান মিলনের তত্ত্বাবধানে আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রসূতি কল্পনা খাতুন কিছুটা অসুস্থ। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে নবজাতকদের মা কল্পনা খাতুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সম্পূর্ণ বিনা খরচে কল্পনা খাতুনের চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি নবজাতকদের দেখে মিষ্টি বিতরণ করেন।