অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় এয়ারপোর্টগামী মাইক্রোবাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।
আটককৃত দুই ছিনতাইকারী হলো, গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে ফারদিন (২৩) ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুক ওরফে চাপাতি ফারুক (৩২)।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ৩০ মার্চ রবিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রাম থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ফারদিনকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন এবং ছিনতায়ের নগদ ৪৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে দশটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার চেঙ্গাকান্দি গ্রাম থেকে ওমর ফারুক ওরফে চাপাতি ফারুক নামে ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্যকে আটক করা হয়। ওমর ফারুক পেশায় একজন সিএনজি চালক হলেও সিএনজি চালানোর আড়ালে ছিনতাই এবং ডাকাতির সাথে জড়িত সে। এ সময় ছিতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ওমর ফারুকের সিএনজিটি জব্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। দুই দিনের টানা অভিযানে দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা কিছু মালামাল উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ে কাছে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় দেশিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টগামী একটি মাইক্রোবাস থেকে ৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটির চালক রাজু বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৪ বছর আগে নির্মাণ শেষ হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বারইয়া সেতুটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় এখনো সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। সাতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। এজন্য চলাচলে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন বারইয়া, ঝিকিরা ও কালিগঞ্জসহ অন্তত ১০-১৫ গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মইয়ের মতো তৈরি করে পথচারীদের পারাপার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম রুট উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ সড়কের বারইয়া খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ৪ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর দুই পাশের মই বেয়ে পার হতে হচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, বারইয়া গ্রামের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রাায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই ভূমির অধিগ্রহণ মূল্য এখনো নির্ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সেতুর বাকি কাজ শেষ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল হোসেন জানান, একটা ব্রিজ নির্মাণে বহুবিধ কাজ জড়িত থাকে। ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।
হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।
হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনীতির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কুসুমপুর জাগরণী সংসদ মাঠে ঢাকা ব্যাংকের কৃষিজ যন্ত্রপাতি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্থানীয় ৩০ জন কৃষকের মাঝে শ্যালো মেশিন ও ট্রাক্টর বিতরণ করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা আপনাদের রাজনীতি করেন আমাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আপনারা যদি কোন আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, কোন অবস্থায় আপনাদের ছাড় দেয়া হবে না। আপনারা যে যে দলের হন না কেন, আমি এসপি সাহেবকে অনুরোধ করবো, যদি আমার ভাইও হয় কাউকে ছাড় দেবেন না। তারে চার সিকের ভেতরে ঢুকান। এরা এমপি হোক, যাই হোক সেই সময় হবে। এখন আইনশৃঙ্খলার ভিতর তাদের কোন হাত নাই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ওই সরকারি কর্মকর্তাদের বলবো-আপনারাও তেল মারা বন্ধ করেন। ভবিষ্যতে যে আসবে পড়ে দেখা যাবে। আপনারা এখন কঠোর হবেন। এই হইলো আপনাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আপনারা কোন অবস্থায় ছাড় দেবেন না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কাউকে ছাড় না দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পরে বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারি কলেজে তারুণ্য মেলায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মোহন্ত, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা নগরীর তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া কল্যাণপুরে জলাধারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বালু দিয়ে ভরাটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ ৩ মে বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকার তাপমাত্রা সহনশীল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রকফেলার) সঙ্গে ডিএনসিসি যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
যৌথ এই কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগও যুক্ত থাকবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তাপপ্রবাহ একটি নীরব ঘাতক। এটি সবার ক্ষতি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে বেশি ক্ষতির মুখে আছে আমাদের নারী ও শিশুরা। এজন্য সবার একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যেক কাউন্সিলরকে গাছগুলো দেব। কাউন্সিলররা এলাকার সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কমিউনিটি গঠন করে গাছগুলো লাগাবে। সবাই গাছগুলো নিজেদের মনে করলে এটি বাস্তবায়ন সহজ হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের এক প্রকল্পে গাবতলী এলাকায় কল্যাণপুর জলাধারের ৩৬ বিঘা জমি ভরাট করেছে বিএডিসি। গত ২৯ মার্চ সংস্থাটিকে এক চিঠিতে ডিএনসিসি বলেছে, কল্যাণপুর জলাধারসংলগ্ন বিএডিসির প্রায় ১১৭ একর জায়গা ড্যাপের নকশা অনুযায়ী জলাধারের আওতাভুক্ত। সেখানে ভারী স্থাপনা হলে জলাধারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কল্যাণপুরে জলাধারে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবরে সাড়ে সাত লাখ লোকের জন্য ইকো-পার্কের মেজরমেন্ট করছি। তখন সরকারি একটি সংস্থা বালু ভরে দিচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। এখানে আলু চাষের জন্য শীতকালে তো জায়গা আছেই। আট মাস পানি থাকবে এবং চারমাস বীজের চাষ করা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোনো ধরনের জলাধার দখল করা যাবে না। জলাধার আইন আছে, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আইন না মানে তাহলে আমরা কই যাব। অবিলম্বে যে বালু দিয়ে তারা ভরাট করেছে সে বালু যেন তারা নিয়ে যায়। না হলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেব।
এছাড়া তিনি ছাদ কৃষিতে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, বৃষ্টির পানি পুনর্ব্যবহার করে পরবর্তীসময়ে বাগানে ব্যবহার করতে ফুটপাতে ওয়াটার রিসার্জেবল স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
সভায় সভাপ্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ব্রিটিশ ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথি বাঘম্যান ম্যাকলিওড, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের হিট অ্যান্ড সিটি ডিপ্লোমেসি বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মরিসিও রোডাস, শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রধান সোহানি হক ইলিয়াস, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও নবনিযুক্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যাত্রীদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহ নিশ্চিত করতে রেলওয়ে স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট সংগ্রহের (ভেন্ডিং) মেশিন বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে কমলাপুর, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ১৫টি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীরা রেলওয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও টিকিট সংগ্রহে অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জ কাটায় যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কমলাপুরে দুটি অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
মোট চারটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ২১ স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে।’
গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের টিসি উপ পরিচালক মো. আনসার আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৫টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ও ৬০টি জায়ান্ট স্ক্রিন ডিসপ্লে স্থাপন করার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষে অনুমোদিত হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ে পরিচালন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক এ মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সহজ ডটকম।
এর মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারবেন। তবে এ জন্য অনলাইনে টিকিট কাটতে যে পরিমাণ চার্জ (২০ টাকা) দিতে হয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটলে একই পরিমাণ চার্জ কাটা হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন।