চলারপথে রিপোর্ট :
একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে উল্টে গিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ৬ এপ্রিল রবিবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান , সিলেট থেকে ছেড়ে আসা এস, আর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তিনলাখ পীর এলাকা অতিক্রম করার সময় তিনলাখ পীর ব্রিজের উওর পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের গ্যাসকূপ বন্ধ রেখে ভারতকে সুবিধা না দিয়ে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তারাপুর গ্যাসকূপ পুনঃখনন ও গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চের সামনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কসবায় গ্যাস সরবরাহ আন্দোলনের আহ্বায়ক তানভীর শাহীন, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমানি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমেদ, কসবা থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক চৌধুরী নাসির, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, উপজেলা যুব বিভাগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ সরকার, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ ও মনিরুল হক।
এ সময় বক্তারা বলেন, কসবাবাসীর গ্যাসের দাবিতে ২০১৮ সালে তারাপুর গ্যাসকূপের খনন করা হয়। যেখনে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে গ্যাসের চাপ কম দাবি কর তারাপুর গ্যাসকূপ থেকে উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। অথচ তারাপুর সীমান্ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ভারত তাদের সীমান্তে রীগ বসিয়ে গ্যাস উত্তোলন করছে। মূলত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতার লোভে ভারতের তাবেদারি করতে নিজ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছিল।
বক্তারা দেশের গ্যাস ভারতকে না দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থে ব্যবহারের পাশাপাশি কসবার সালদা ও তারাপুর গ্যাসকূপের গ্যাস কসবাবাসীর মধ্যে সরবরাহ করতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়রী দেন তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কসবা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সুবিধাপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার সুবিধাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের ফেলে যাওয়া ৫টি বস্তা তল্লাশী করে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তালাক দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রী সুমা আক্তারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাসেল মিয়া (৩২)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এবং র্যাব-৯-এর সদস্যরা রাত ঢাকার পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রাসেল মিয়া কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
গতকাল বুধবার বিকেলে র্যাব-৯-এর কার্যালয়ে থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নিহত সুমা আক্তার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়া মেয়ে।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে মোঃ রাসেল মিয়ার সাথে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সুমা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে ১ টি অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার দেয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সুমা আক্তারকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতো রাসেল মিয়া। এনিয়ে মাঝে মধ্যে সুমা আক্তারকে বেদম মারধোর করতো রাসেল মিয়া। ঘটনার ৭/৮ মাস আগে রাসেল মিয়া ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য সুমা আক্তারকে মারধোর করলে সুমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
গত ২০১৫ সালের ৩১ মে সুমা আক্তার তার স্বামী রাসেল মিয়াকে ডিভোর্স দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল মিয়া সুযোগ খুজতে থাকে।
২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা আক্তার তার বাবার বাড়ির একঘর থেকে অন্যঘরে যাওয়ার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা রাসেল মিয়া এলোপাথারী সুমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে তার পরিবারের লোকজন সুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে মারা যাওয়ার আগে সুমা আক্তার হামলাকারী রাসেলের নাম বলে যায়।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা কুদ্দুস মিয়া বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে ডিসেম্বর মাসে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমা তালাক দেয়া ক্ষুব্দ রাসেল মিয়া তাকে হত্যা করেন।
এদিকে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রাসেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ৬ আগষ্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার আসামী রাসেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে জেল ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।