চলারপথে রিপোর্ট :
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ময়না বেগম নামে (৪৬) এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৭ নং তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুথাই গ্রামে। নিহত ময়না বেগম ওই গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ময়নার স্বামী মানিক মিয়ার তার আপন ভাই ও চাচাতো ভাইদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরেই আজ ভোরে জুয়েল, রাব্বিল, মাহফুজসহ প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মানিক মিয়ার বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় তারা মানিক মিয়ার পালিত গবাদি পশু লুট করে নেয়। এতে মানিক মিয়ার স্ত্রী ময়না ও ছেলে বাধা দিলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ঘটনাস্থলে ময়না বেগম ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ময়না বেগমকে মৃত ঘোষণা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া ফসলি জমির মাঠে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক হলেন মো. সবুজ মিয়া (আকরাম) (১৫)।
তিনি মাধবপুর উপজেলা ধর্মকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শিয়ালরি গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ইসলামাবাদ গোগদ এলাকার ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সবুজ। প্রতিদিনের মতো সোমবার উচালিয়াপাড়া ফসলি জমির মাঠে (মুইনার) এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার সময় পাড় ভেঙ্গে মাটি ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সবুজকে তারা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সরাইল থানা পরিদর্শক তদন্ত আ. স. ম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রেজারে মাটি চাপায় মৃত্যু হতে পারে। নিহত শ্রমিক সবুজের নানার বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে তারু মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৫ মে রবিবার ভোরে উপজেলার বুধল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হত্যার শিকার তারু মিয়া বুধল বাজারে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন। গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তারু মিয়া নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারু মিয়া উচ্ছৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করতেন। তিনি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায় তারু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো এমনটাই জানা যায়। এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ের মনে দিনে দিনে ক্ষোভ জন্ম লাভ করে। সেই ক্ষোভ থেকে তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার রাতে তানজিনা আক্তার তার বাবার খাবারের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তার, তারু মিয়ার স্ত্রী ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটে খুনি সুমনসহ আরো কয়েজকন মিলে রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ঝোপ-ঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে ফেলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল দুপুরে ওই ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তারু মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. মহিউদ্দিন শেখ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে। গত শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রির সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ জুলাই বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারের কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় দোকানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, খচিরা বিক্রেতাদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় বি-বাড়িয়া আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর তিনজন খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩০টি ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে। আজ ৩১ মার্চ রবিবার সকালে সদর উপজেলায় আঘাত হানে ঝড়ো বাতাস। এতে উপড়ে পড়েছে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও ফসল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়ে। ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের ৩০-৩৫টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়।
সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক বলেন, বাড়ি-ঘরসহ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উড়শিউড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ও খঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মকবুল হোসেন বলেন, সুলতানপুর এলাকার ৩৫ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) ও প্রকৌশলীদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, খবর পেয়েছি সুলতানপুর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বেশি দামে তেল বিক্রির অভিযোগে তেল বিক্রয়ের তিনটি পাইকারি প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ৮ মার্চ শনিবার দুপুরে শহরের জগত বাজারের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে শহরের জগত বাজারে অভিযানকালে দেখা যায়, তেল বিক্রয়ের পাইকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না, ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংরক্ষণ করছে না, কিছু ক্ষেত্রে প্রদর্শিত মূল্যের অধিক মূল্য তেল বিক্রি করছেন। এজন্য জগত বাজারের আয়াত ওয়েল মিলকে ৩ হাজার টাকা, একই বাজারের মের্সাস কাউসার ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা ও সুরজিত স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
এসময় প্রতিষ্ঠানসমূহকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে অধিক মূল্য গ্রহণ না করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদানসহ সতর্ক করা হয়। অভিযানের সময় কনজ্যুমার এসোসসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন ও ৫ সদস্যের আনসার ব্যাটলিয়নের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম বলেন, অভিযুক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী সাত হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।