মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন দশক আগের এ লাইব্রেরিটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দেড় দশক ধরে এখানে বই পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। লাইব্রেরি সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হলেও পাঠক ছিলো না। এলাকার সুধী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হক মামুন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয় । পাবলিক লাইব্রেরিটি লাল বাজার এলাকায় অবস্থিত। এটির আয়তন ৪.৮৩ একর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, লাইব্রেরিটি নতুন করে নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট দিয়ে এটির পুনর্নিমাণ করা হবে। নীচতলায় কমার্শিয়াল লাইব্রেরি ও উপরতলা পড়ার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মেধা মননশীলতার বিকাশে ভূমিকা রাখা যাবে ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অগ্নিকান্ডে একটি ঘর পুড়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে একটি গাভী গরু মারা গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ^র গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। প্রাথমিকভাবে রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুণের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ভূক্তভোগী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া আটটার দিকে ধলেশ^র গ্রামের আলী আমজাদ চৌধুরীর একটি চারচালা টিনের রান্না ঘরে আগুন লাগে। এসময় বাড়ির লোকজন তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়লে ঘরের লোকজন বের হয়ে দেখে আগুন জ¦লছে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে।
বাড়ির লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে রাত পোনে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই ঘরে থাকা একটি অন্তস্বত্বা গাভী গরু, কয়েকটি মুরগি মারা যায়। কিছু কাঠ এবং একটি পানির পাম্প মেশিন আগুনে পুড়ে গেছে। এতে ২/৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন বাড়ির মালিক। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আলী আমজাদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ শওকত চৌধুরী বলেন, রাতে সবাই যখন নামাজ পড়ছিল তখন হঠাৎ করে রান্না ঘরে আগুন লাগে। এতে একটি গাভী গরুসহ ঘরের ভিতরের মালামাল পুড়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, রাত পোনে নয়টা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোনো রকমে ঠেলা ধাক্কায় ওপরে ওঠা। এরপর শুরু একের পর ঝাঁকি। মোট ৩৬টা। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘ইস’ আর ‘উফ’ আওয়াজ।
বেশি বেকায়দায় পড়লে শোনা যায় হায় হায় শব্দ। পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম বলে চিৎকার। দৌড়ে এসে রক্ষার চেষ্টা। রেললাইন ১২টা, ডুয়াল গেজের।
একেকটায় তিনটি করে রেলপাত। সেই হিসাবে মোট ৩৬টি পাত পার হওয়ার সময় প্রতিবারই বেশ ঝাঁকি লাগে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেল ওভারপাসটি ওঠার সময়ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার লাল বাজারের একটি লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ লেভেলক্রসিং পার হয়েই যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লেভেলক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে বড় বাজার নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ছাড়া জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ লেভেলক্রসিং পার হয়ে এলাকায় যান।
সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালবাজার নামে এলাকার শেষ হতেই লেভেলক্রসিং শুরু।
এক থেকে দেড় শ গজ পার হয়ে ওপারে বড় বাজার। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়াল গেজ প্রকল্প নির্মাণের আগে তিনটি রেললাইন পার হয়ে এপার-ওপার যাওয়া যেত। আর এখন মোট ১২টি রেললাইন বসানোয় এটি পার হতে বেগ পেতে হয়। প্রতিটি রেললাইনের পরের জায়গা বেশ উঁচু-নিচু। এ ছাড়া নতুন রেললাইন অনেক উঁচুতে নির্মাণ হওয়ার সেটি সড়ক থেকে বেশ উঁচুতে। যে কারণে ঠেলা-ধাক্কায় যানবাহন ওঠাতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। কখনো মালবাহী অনেক যান এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতের বেশি ট্রেন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে একটু পর পর বেরিয়ার ফেলে রাখা হয় এ লেভেলক্রসিংয়ে। এতে হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে যাওয়া রোগীরা অনেক সময় আটকা পড়ে যান। লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে বেশ ঝাঁকি লাগে বলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চালকরা এ পথ দিয়ে যেতেও চান না।
দুর্ভোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদক একাধিবার নিজেই দেখেন। যানবাহন চড়তে দুর্ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। রাধানগর চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই লেভেলক্রসিংয়ে হয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ঠিকই দুর্ভোগে পড়তে হয়। লেভেরক্রসিংয়ে ওঠার সময় এ প্রতিবেদকের অটোরিকশা আটকে যায়। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি পেছন দিকে নামতে থাকলে অস্থায়ী বেরিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যুবক টেনে ধরেন।
লেভেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল, একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং জেলা সদর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়ক থেকে রেললাইন অনেক উঁচু হওয়া ও অনেকগুলো রেললাইন পার হতে হয় বলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেবেন।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ করেন। নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার পর থেকে চলতে গিয়ে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাড়ভাঙা রোগী, গর্ভবতী নারীদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে বেশি। এ পথ ছাড়া হাসপাতালে আসার কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের জন্য এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি এলাকাবাসী বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে যত দূর জানি পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ কিংবা অন্য প্রকল্পে চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাস কিংবা একটি আন্ডারপাসের পরিকল্পনা থাকতে পারে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পোষ্ট অফিসের সরকারি ৫টি গাছ টেন্ডার ছাড়া কর্তন করা হয়েছে। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়ে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব মূল্যবান গাছ কর্তন করেছেন। গাছের কয়েকটি কান্ড এবং ঢালপালা পোষ্ট চত্বরের মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার গাছগুলি কাটা হয়। তবে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন দাবি করে বলেন গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে।
জানা যায়, আখাউড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোষ্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোষ্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোষ্ট মাষ্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এরমধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকী গাছগুলো কান্ডের উপরের অর্ধাংশ ঢালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। তবে গাছ কাটার জন্য পোষ্ট অফিস বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়নি পোষ্ট মাস্টার।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরজমিনে পোষ্ট অফিসে দেখা যায়, পোষ্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় কিছু গাছের কান্ড এবং ঢালপালা রাখা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন বলেন, গাছের ঢালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল। এজন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে, তিনি লিখিত কোন অনুমতি দেখাতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোষ্ট অফিসের কোন চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।
আখাউড়া উপজেলার সদ্য সাবেক বন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মাপঝোক করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর নিলাম কমিটি নিলাম দেওয়ার পর নিলাম প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোষ্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পরে সেজন্য গাছের ঢালপালার ছেটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোষ্ট মাস্টারকে নির্দেশ দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান ইসকন ইস্যুতে আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম ওলামা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, সাব ইন্সপেক্টর মোঃ ওয়াসিম, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাঃ কাজী মাইনুদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের পনেতা মাঃ বিল্লাল হোসেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চন্দন ঘোষ, রাধা মাধব আখড়া মন্দিরের আহবায়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল প্রমুখ ।
হিন্দু নেতারা জানান, আখাউড়ায় ইসকনের সাংগঠনিক কার্যক্রম নাই। কিছু সংখ্যক ইসকনের ভক্ত আছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করে। তবে ইসকনের নামে কেউ অপরাধ করলে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হোক।
বক্তারা বলেন, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেক নিউজ শেয়ার না দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একটি সুযোগ সন্ধ্যানী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আখাউড়াকে নিরাপদ রাখার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানানো হয়। বক্তারা চট্টগ্রামে এড. সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচার দাবী করেন।