অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সেনাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়াল জামির বৃহস্পতিবার তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (আইএএফ) কয়েকশ’ সদস্যসহ বরখাস্তকৃতদের অনেকে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে তারা গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত’ বলে উল্লেখ করেন।
তারা আরো লেখেন, যুদ্ধ চালিয়ে বন্দিদের মুক্ত করা সম্ভব নয়, বরং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই কেবল এর সমাধান হতে পারে।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল জামির ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, যারা এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে, তারা সেনাবাহিনীতে ফিরে আসার যোগ্য নয়।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও সেনাদের স্বাক্ষরিত এই চিঠির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি যুদ্ধের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম অনুসারে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান হালুৎস, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) নিমরড শেফার এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্নেল (অব.) নেরি ইয়ারকোনির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
চিঠিতে তারা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে সব ইসরায়েলি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এখনও সক্রিয় রিজার্ভ ডিউটিতে রয়েছেন, বাকিরা সাবেক বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
অনলাইন ডেস্ক :
লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। ১৩ অক্টোবর রোববার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর তিন দফা হামলা করেছে ইসরাইল। এতে দেশটির শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখা ৪০টি দেশ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানায়।
কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অবিলম্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী যেনো লেবানন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার মতে, শান্তিরক্ষীদের মানবঢাল হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে হিজবুল্লাহ। এ জন্য ইসরাইলের সমালোচনা করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এমন আবহে জাতিসংঘ এবং ইসরাইল মুখোমুখি অবস্থানে। বিবৃতিতে জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী এবং এর প্রাঙ্গণকে কখনই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।’
বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক আরো বলেন, ‘লেবাননে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীরা তাদের সব অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের পতাকা এখনও উড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ইউএনআইএফআইএলের কর্মী এবং এর স্থাপনাগুলোকে কখনোই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই আইনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনও অন্তর্ভুক্ত। এগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরাইল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অন্তত পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের আক্রমণ সত্ত্বেও ইউএনআইএফআইএল তাদের অবস্থান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া তেনেনতি শনিবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ অঞ্চলে জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখা এবং নিরাপত্তা পরিষদে রিপোর্ট করার জন্য এখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত ইউএনআইএফআইএল মিশন ১৯৭৮ সালে তৈরি হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যেক গ্রহই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তাদের একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। আগে মানে করা হতো, গ্রহগুলো বোধ হয় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ ধারণা ভুল। গ্রহগুলো উপবৃত্তকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে জার্মান বিজ্ঞানী জোহান কেপলার গ্রহগুলোর উপবৃত্তাকার পথের ধারণা দেন। নিউটন কেপলারের দেওয়া ধারণাগুলোকে সমীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন। ফলে প্রমাণিত হয় গ্রহগুলো উপবৃত্তাক পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর কথায় ধরা যাক। পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই বছরের একটা সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে পৌঁছয়। ওই সময়ে পৃথিবী কক্ষপথের যে বিন্দুতে অবস্থান করে তাকে অনুসুর বিন্দু বলে।
অর্থাৎ অনুসুর বিন্দু হলো সূর্যের থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটতম পথ। নিউটনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটা গ্রহ এক গ্রহ বছরে একটা পূর্ণচক্র সমগ্র করতে হয়। একটা পূর্ণচক্র সম্পন্ন করা মানে ৪ সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক পথ ঘোরা।
কিন্তু নিউটনের পরবর্তী কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটা ধাঁধায় পড়ে যান। সেটা হলো বুধ গ্রহের গতি।
বুধ গ্রহ একটা অনুসুর বিন্দু পার করে পরবর্তী বছর যখন আবার অনুসুর বিন্দুতে পৌঁছয় তখন তারা একটি পূর্ণচক্র আবর্তন করে না। করে তার চেয়ে বেশি কৌণিক পথ। অর্থাৎ বুধ গ্রহের দুটি অনুসুর বিন্দুর ভেতর ৩৬০ ডিগ্রির চেয়ে বেশি কোণ উৎপন্ন হয় না। দুটি অনুসুরের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ হতো যদি বুধ গ্রহ প্রতিবছর একই বিন্দুতে অনুসুর পেত। কিন্তু প্রতিবছর বুধ গ্রহের অনুসুর বিন্দু একটু একটু করে সামনের দিকে সরে যায়। তাই দুই বিন্দুর মধ্যে কৌণিক ব্যাবধান সৃষ্টি হয়। এই কৌণিক ব্যাবধান মাপার উপায় হলো সূর্য থেকে অনুসুর বিন্দু পর্যন্ত একটা সরল রেখা আঁকা।
ওপরের চিত্র বুধ গ্রহের অনুসুর দেখানো হয়েছে। A বিন্দু হলো ২০২০ সালের অনসুর বিন্দু এবং B বিন্দু হলো ২০১৬ সালের অনুসুর বিন্দু। দুটির ভেতর স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যদিও এখানে কৌণিক ব্যাবধান যতখানি দেখানো হয়েছে হিসাব অনুযায়ী ফলটা এর চেয়ে অনেক অনেক ছোট হবে। কিন্তু বোঝার সুবিধার্থে আমরা এ রকম চিত্রই আঁকলাম।
কেন এমন হচ্ছে, দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান দেন আইনস্টাইন। তাঁর জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির মাধ্যমে; হিসাব কষে।
আইনস্টানের এই হিসাব জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে। আসলে নিউটনের সময় মহাকর্ষ বলের ধারণাই ছিল অন্য রকম। তা ছাড়া নিউটন সমতল জ্যামিতির বাইরে নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির কথা ভাবেনইনি। তা ছাড়া দুমড়ানো-মোচড়ানো বক্র মহাবিশ্বের কথা তাঁর জানা ছিল না। সুতরাং বক্র মহাবিশ্বে গ্রহ-নক্ষত্রের চলার গতির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তা তিনি জানতেন না। আইনস্টাইন নন-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি ব্যবহার করে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে বুধ গ্রহের কক্ষপথের সমস্যার সমাধান দিলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমস্যা কি শুধু বুধ গ্রহের ক্ষেত্রে নাকি অন্য গ্রহগুলোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হয়? সব গ্রহের অনুসুর বিন্দু প্রতিবছর একই কৌণিক অবস্থানে থাকে না। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্য। সেগুলো ইচ্ছে করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই নিউটনের সূত্র দিয়ে অন্য গ্রহগুলোর গতি ব্যাখ্যা করা যায়। সূত্র : স্পেস ডট কম
অনলাইন ডেস্ক :
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইব্রাহীম আকিল নামে হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরো ৬৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে দেশটির রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। এই এলাকা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।
বার্তা সংস্থাটির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহর ‘এলিট ইউনিট’ রাদওয়ান-এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ইব্রাহীম আকিল। এ সময় হামলা চালালে তিনি নিহত হন। ওই হামলায় হিজবুল্লাহর অভিজাত ফোর্স রাদওয়ানের সদস্যরাও নিহত হয়েছেন। তবে কেবল আকিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।
এক বিবৃতিতে নিহতকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের একজন বলে অভিহিত করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বৈরুতের ধাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বৈরুতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, যাকে ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’বলে।
এ ঘটনার এক প্রতিক্রিয়ায় লেবাননে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস থেকে বলা হয়, বিমান হামলায় ইসরায়েল ‘সব লাইন’ অতিক্রম করে ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তারা দাবি করে, ইসরায়েল আবাসিক এলাকাতেও হামলা করেছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইসরায়েলের এ হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু জানা নেই। মার্কিন নাগরিকেরা যেন লেবানন এড়িয়ে চলেন সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৩৭ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হন। এ ধাক্কার পরপরই আকিলসহ অন্য কমান্ডারদের হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে হিজবুল্লাহ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জাপান সরকার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। আজ ২৮ এপ্রিল সোমবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, এলপিজি বিতরণ, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি, পাশাপাশি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য জীবিকা নির্বাহ এবং কক্সবাজারে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুরক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা আশা প্রকাশ করেছেন, জাপান সরকারের সহায়তায় এ প্রকল্প রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কক্সবাজার ক্যাম্পে আমার প্রথম সফরের ঠিক পরেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি আশা করি এই বিস্তৃত পরিকল্পনাটি কক্সবাজার এবং ভাসানচর উভয় স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের সুরক্ষা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। জাপান এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং আইওএম’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১০ জন শিশুসহ ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এসব শিশুসহ অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানায়, গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই একপর্যায়ে উত্তর গাজা শহরের ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে জানানো হলেও পরে তা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছায়।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ শিশু রয়েছে বলেও জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
হামলায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াফা।
ফিলিস্তিনি এই বার্তাসংস্থা আরো জানিয়েছে, গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় একদল লোকের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং আরও ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
মূলত জেইতুন এলাকায় মানুষ একটি গ্যাস স্টেশনের সামনে জড়ো হয়েছিল এরপরই তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।