অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলি কর্তৃক ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর নৃশংসতা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে পাইকগাছার সোলাদানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৩ এপ্রিল রোববার বিকালে সোলাদানা ইউনিয়নের তৌহিদী জনতা এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।
তৌহিদী জনতার একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সোলাদানা বাজার থেকে শুরু হয়ে ইউনিয়নের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাজার চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বাজার চৌরাস্তা মোড় চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও হাফেজ আব্দুস সবুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল আলীম, মনিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল গফফার, মুফতি সোলাইমান হুসাইন, আমিনুল ইসলাম, দ্বীন মোহাম্মদ, মোফাজ্জল হোসেন, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, আবু মুছা, মাওলানা সাঈদুর রহমান, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান, ফয়সাল রাশেদ সনি, আব্দুল হাকিম, শামীম জোয়ার্দার, ইসরাফিল হোসেন ও খানজাহান।
সমাবেশে বক্তরা অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করার আহবান এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব মুসলিমদের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে ইসরায়েলী পণ্য বর্জন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
একসাথে তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রসূতি মা। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মা বেদেনা আক্তার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেশিয়া) ডা. খোকন দেবনাথ সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া নবজাতকেরা ও মা সুস্থ আছে।
প্রসূতি মরিয়ম আক্তার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার প্রীয়ম গ্রামের প্রবাসী নূর উদ্দিনের স্ত্রী।
গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল জানান, প্রথম দিকে স্থানীয় হাসপাতালে মরিয়ম চিকিৎসা নিতো। গত একমাস আগে প্রসূতি আমার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। তখন আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে তিনটি শিশু রয়েছে জানা যায়। পরে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার পর পেটে শিশুগুলোর নড়াচড়া কম ছিল ও পানি ভেঙে গিয়েছিল। তার শরীরে রক্তের পরিমাণও কম ছিল। তাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে দ্রুত তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে ২টি ফুটফুটে মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, শিশু তিনটি যথাক্রমে ছেলে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ও মেয়ে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ও ২ কেজি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। ভূমিষ্ঠ তিনটি শিশু ও মা ভালো আছেন। ওই দম্পতির ঘরে আগে আরো ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ার শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাওলানা ইয়াসিন আলীকে রাজকীয় বিদায় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৪১বছরের শিক্ষকতা জীবনের শেষদিন আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে সুসজ্জিত ঘোড়ার টমটম গাড়িতে তাকে নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন বেলা ১০টায় ওই শিক্ষকের অবসরগ্রহণ উপলক্ষ্যে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন মাদ্রাসাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এটিকে শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
মাওলানা ইয়াসিন আলী উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ৬ বছর স্থানীয় খামারকান্দি দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিদায় বড় কষ্টের তবুও মানতে হবে। আমাকেও এভাবে একদিন বিদায় নিতে হবে। একজন শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে তাকে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। জমকালো এই ব্যতিক্রমী আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী, মাওলানা আমানুল্লাহ, আবু জাফর, একে আজাদ, মোহাম্মদ আলী, শাহীন আলম, সমাজসেবক আবুল কাশেম মন্ডল, আবুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর:
গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক, শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হক, মতিউর রহমান, এএসআই এমদাদুল হক খান। সম্প্রতি জেলা পুলিশের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, এটি কেবল একজন ব্যক্তির সাফল্য নয়, বরং পুরো শ্রীপুর থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সেবা প্রদান এবং জনগণের আস্থা অর্জনের একটি বড় স্বীকৃতি। ওসি আব্দুল বারিক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শ্রীপুরে আইন-শৃঙ্খলার চিত্রে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। মাদক, চুরি-ডাকাতি, জমি দখল কিংবা নারী ও শিশু নির্যাতন-প্রতিটি অপরাধ দমনে তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নিয়মিত টহল, হঠাৎ অভিযান, অপরাধ দমন ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ ভিন্নধর্মী কার্যক্রম হাতে নেয়। ফলে শ্রীপুরে অপরাধ দমনে দৃশ্যমান সাফল্য এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, আগে থানায় গিয়ে সেবা নিতে হয়রানি নর শিকার হতে হতো অনেককে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আগে রাতের বেলা ব্যবসা শেষে ফেরার সময় ভয়ে থাকতাম। এখন মনে হয় পুলিশ আমাদের পাশে আছে। থানার প্রতি আস্থা বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানায় গেলে দ্রুত অভিযোগ নেওয়া হয় এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযানে শ্রীপুর থানা পুলিশ এখন সবচেয়ে বেশি কঠোর। একের পর এক অভিযানে ধরা পড়েছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের বড় চালান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক এর ভাষায় ‘মাদক সমাজকে ধ্বংস করছে। তাই এখানে কোনো ছাড় নেই। যে-ই জড়িত থাকুক, আইনের কঠোর শাস্তি পেতেই হবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেন, এই সম্মাননা আসলে শুধু আমার নয়, পুরো শ্রীপুর থানার প্রতিটি সদস্যের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, পুলিশ জনগণের জন্য। জনগণের আস্থা অর্জন ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করেছি থানার দরজা সব সময় খোলা রাখতে। যে- ই অভিযোগ করুক না কেন, সামাজিক অবস্থান বা প্রভাব যাই থাকুক, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার কাছে পুলিশের কাজ শুধু অপরাধ দমন নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ভরসা দেওয়া। মাদক ও অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছি। একই সঙ্গে চেষ্টা করেছি যেন থানায় কেউ হয়রানির শিকার না হন, বরং নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা শুধু পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সহযোগিতা, জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এবং গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া কোনো উদ্যোগ সফল হয় না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে শ্রীপুরকে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সেবামুখী এলাকায় রূপান্তর করা সম্ভব।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অধীতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ASSET) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ১৬ আগস্ট হতে ১৫ নভেম্বর সেশনে ৩ মাস মেয়াদী ৫ টি কোর্সে ভর্তিতে আগ্রহী বেড়েছে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার উপজেলার এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক পরিক্ষা গ্রহণ করেন কর্তপক্ষ।
টিটিসিতে কর্মরত প্রশিক্ষণ শাখার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ৩ মাস পর পর কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, সিভিল কন্সট্রাকশন (মেশন) ও মোটর ড্রাইভিং এর আওতায় ২৪ জন করে মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী তে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকে দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ায় ভর্তিতে আগ্রহী হয়ে মোহনপুর সহ আশে পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে এবার ভর্তি ফরম উত্তোলন করেছে ৬২৮ জন।
প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মোহনপুরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক সংগ্লন্ন আমাদের টিটিসি তে প্রশিক্ষকরা অত্যত্ত গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করায় আমরা উপকৃত হচ্ছি। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে এসে কঠোর ভাবে তদারকি করার কারণে এখানকার সকল কোর্সের মান উন্নত হচ্ছে। তাই আজ এতো বেশি শির্ক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। আগামীতে এখানে প্রকল্প বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন কোর্স আসবে ও আগামীতে বেকারত্ব কমবে বলে আমরা আশাবাদী।
মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা কোন ত্রুটি করিনা, অনেকেই এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপকৃত হয়।
তাই এবার আগের তুলনায় অনেকে এখানে ভর্তিতে আগ্রাহ প্রকাশ করেছে। এবার যাদের হবেনা তারা আবার ৩ মাস পর ভর্তির আবেদন করে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা দেশ-বিদেশ প্রকল্পের আওতায় আরো ৪০ জন কে ৩ মাসের মোটর ডাইভিং কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করাচ্ছি। আগামীতে আমরা চেষ্টা করছি যেন অন্যান্য প্রকল্প আওয়ায় আমাদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারি।
অনলাইন ডেস্ক :
পৌষের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ঝেঁকে বসেছে শীত। প্রকোপ শীত বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে দিন মজুর। এছাড়াও চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে ভিড়। অনেকে খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে তাপে শরীর গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতেছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাশের আদ্রতা ছিলো ৯৩। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে শহর থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এক দিন পর আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাপের তেমন প্রখড়তা ছিলো না। প্রকোপ শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আবার অনেক দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চায়ের দোকানেও অনেকেই আড্ডা জমিয়েছে। ফাঁকা জায়গায় অনেককেই ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিকশা চালকা আবেদ আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার শীত থাকায় শহরে লোকজন কম বের হয়েছে। এতে প্রায় ৪০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
এলজিইডি মোড় এলাকার দিন মজুর জুব্বার মিয়া বলেন, এখন একটু কাজ কম। তারপর শীতের কারনে কাজ আরও কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছে।
সদর উপজেলা গালা গ্রামের উজ্জল মিয়া বলেন, শীত মানেই গ্রামে পিঠার উৎসব চলে বেশির ভাগ বাড়িতে। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মতো হচ্ছে। শীতে কষ্টের পাশাপাশি সকলে মিলে আনন্দে উৎসবে কাটানো যায়।
অপর জন রাসেল মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়িতে চাল গুড়া করার ঢেকি ছিলো। তখন দেখতাম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুড়া করতে গ্রামের অনেকেই সিরিয়াল দিয়েছে। শীতে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল হতে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতালের সামনে ৩২০ জন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় ৬৮ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ টাকা করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাজে বিতরণ করা হচ্ছে।