অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেয় কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের সাস্কাটুনের প্রবাসী বাংনাদেশিরা। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাস্কাটুনের বাংলাদেশিরা সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নিয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠেন। সাস্কাটুনের বেথেলহেম ক্যাথলিক স্কুলে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলার চিরচেনা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শীতের শেষে এই অনুষ্ঠানে যেন নতুন করে নিজেদের ফিরে পেয়েছে। ফুচকা, চটপটি, ঝাল মুড়ি, বিভিন্ন পিঠাপুলির পাশাপাশি শাড়ি আর নানা রকমের জুয়েলারির দোকানে আড্ডায় মেতে উঠেন।
মেলায় যাইরে গানের তালের সাথে উপস্থিত দর্শকেরা যেমন নিজেদের সেই চিরচেনা বাংলায় ফিরে যেতে চায় ঠিক তেমনি বিদেশের মাটিতে নিজেদের শেকড়কে চেনাতে চায় পরবর্তী প্রজন্মকে। বাংলাদেশি কমিউনিটি এসোসিয়েশন অফ সাস্কাচুয়ান (বিকাশ) এর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সাস্কাটুনের মেয়র সিনথিয়া মেরি ব্লক, সাস্কাটুনের পুলিশ চিফ ক্যাম ম্যাকব্রিড, বিকাশের সভাপতি খান আরিফ ওয়াহিদ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সিডনির রিভারউডের কঙ্কা ডো’রোতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (এবিবিসি) ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ এই ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসান এলসেতোহি ব্যবসায়ীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন। এরপর এবিবিসির চেয়ারপার্সন ফয়েজ দেওয়ান সকলকে শুভেচ্ছা জানান ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে এবিবিসির বিগত বছরের কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক এমপি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবিবিসি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও এবিবিসির সক্রিয় কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন ইতিবাচক আলোচনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত দোয়া হয় পরে আজান পাঠ করা হয়। ইফতারের পর এবিবিসির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সমস্ত অংশগ্রহণকারী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের স্বীকৃতি ও প্রশংসা জানিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইসলামিক স্কলার শেখ হাসান এলসেতোহি ও অনুষ্ঠানের স্পন্সরদের হাতে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করে অভিনন্দন জানান এবিবিসি ভাইস চেয়ারপার্সন শাহীনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদা আক্তার সানজিদা ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ উপস্থিত অতিথিদের এবিবিসির মেম্বারশিপ গ্রহণ করে এবিবিসি বিসনেজ ডাইরেক্টরিতে সকল বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানান। নৈশভোজ ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে স্টেট বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাদিকের নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এ মাহফিল পরিচালিত হয়। এ সময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ উপস্থাপন করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দেশের স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচির সাথে একাত্ম থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন সিদ্দিকি। আরো বক্তব্য রাখেন মিয়া আলিম পাখি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, দেওয়ান কাউসার।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, রুহুল আমিন, সেলিম আহমদ, মনির হোসেন, মামুন হোসেন বিপ্লব, সাইদুজ্জামান রিঙ্কু, জাকির হোসেন, রাহিমুল আলম প্রিন্স, আব্দুল করিম ও মো. ফয়সাল হোসেন।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইটালি প্রবাসী মোঃ দিদার মিয়ার আম্মাজান আনোয়ারা বেগম (৮৬) গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ ১৮ জুন বুধবার যোহরের নামাজের পর বিরামপুরে নতুন বাজারে সংলগ্নে মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ পড়ান মরহুমার বড় নাতি হাফেজ ইব্রাহিম মিয়া,পরে বিরামপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। মৃত্যুকালে চার ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমা ছেলে আতাউর রহমান বলেন আমার আম্মা আপনাদের সাথে চলাফেরা করেছে, যদি ভুল ত্রুটি করে থাকে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার আম্মাকে ক্ষমা করে দিবেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মুসল্লিরা বলেন আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে মরহুমার সকল পাপ মার্জনা ও জান্নাতুল ফিরদাউস লাভের জন্য দোয়া করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
আল আমিন, মালয়েশিয়া থেকে :
মালয়েশিয়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আব্দুল মাজেদ খান (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সকালে রাস্তা পার হতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মাজেদ প্রায় নয় মাস আগে মালয়েশিয়া গিয়ে পেনাং শহরে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার সকালে নতুন ভিসার জন্য মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত মাজেদ খানের বাবা মোয়াজ্জেম খান বলেন, আমার ছেলে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমি চাই আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া আফরোজ বলেন, মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল মাজেদ খানের নিহতের খবর জানার পর আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন