অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটির অনুমোদন দেন। এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
ইসরাইলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে গত বছরের জুনে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর ইসরাইলিদের মালদ্বীপ ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে থাকা ফরাসি নাগরিক এবং সে দেশের যেসব নাগরিক এ দেশে আসতে চান, তাদের সতর্ক করে দিয়েছে ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যাতে নতুন করে আর সহিংসতা না ছড়ায়, সে জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আজ ২৮ জুলাই রবিবার ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছে, ‘সবাইকে শান্ত, সংযমী থাকার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে নতুন করে যাতে সংঘাত না ঘটে, এর জন্য সংলাপের আহ্বান জানাই।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে ফ্রান্সের যেসব নাগরিক থাকেন, তাদের এবং যেসব নাগরিক বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক, তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর সীমান্ত থেকে মনিকা রায় (৫৬) নামে এক ভারতীয় নাগরিক আটক করেছে বিজিবি। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির হাতে আটক ওই নারী বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়ায় তার মেয়ের বাড়িতে চার মাস বেড়ানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) নামে এক মানবপাচারকারীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতে যাওয়ার সময় উপজেলার হাফপুর নামে সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, মনিকা রায় ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া গ্রামের প্রেম লাল রায়ের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, চার মাস আগে ফেনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলস্টেশনে এসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বাংলাদেশি মানব পাচারকারী দালালের সহযোগিতায় পূর্ব কালাছড়া নামক এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় আধার কার্ড, ভারতীয় ৫৩৫ রূপি, বাংলাদেশি ৬০০ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তাকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, বাংলাদেশি মানব পাচারকারি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রনাইতলা গ্রামের মতিলাল চক্রবর্তীর ছেলে বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) কে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কসবা বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাফপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২-৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচারে সহায়তা করার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তার দেশ ছাড়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার এসব কথা বলেন তিনি। খবর-আল জাজিরার
তিনি জানান, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই তার। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি আরও বলেন, এই দেশটি একটি স্বাভাবিক দেশ হতে পারে যেটি তার প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে। তবে এটি সিরিয়ার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। আমরা এটিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। এসময় জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।
সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলছে, ‘আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এই কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছি।’