অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ১৬ এপ্রিল বুধবার ভোর থেকে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গাজার মেডিকেল গুলোর সূত্রে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। সাম্প্রতিক ঘণ্টাগুলোতে আরও ভয়াবহ হামলার খবর আসছে বিধ্বস্ত এই উপত্যকা থেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে আল জাজিরা জানায়, বুধবার ভোর থেকে গাজায় সামরিক তৎপরতায় আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি ঘটেছে। আকাশজুড়ে ড্রোনের গম্ভীর গর্জন যেন যুদ্ধের অমোঘ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনুস শহরের অস্থায়ী তাঁবুগুলোর ওপর ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো বেসামরিক মানুষ। একই সঙ্গে দেইর আল-বালাহ এলাকায় সাধারণ মানুষের সমাবেশেও আঘাত হানা হয়েছে। গাজার উত্তরের দিক থেকেও আরও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে।
পূর্ব গাজায় রাতভর গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। উজ্জ্বল ফ্লেয়ার ছুড়ে আকাশ আলোকিত করে ইসরায়েলি স্থলবাহিনী নিজেদের অভিযান চালানোর জন্য স্পষ্ট দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ জানায়, গত ১৮ মার্চ হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে গাজায় আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত বা দ্বিতীয়বারের মতো উচ্ছেদ হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৫১,০২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১১৬,৪৩২ জন।
যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ জনেরও বেশি হতে পারে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষের আর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তাদের মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গাজায় এখনো বন্ধ রয়েছে ত্রাণ সরবরাহ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা তাদের ‘সুস্পষ্ট নীতির’ অংশ এবং এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে, তা এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান হামলা ও সব ধরনের সহায়তা আটকে দেওয়ার কারণে সেখানে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা ও জরুরি পণ্য প্রবেশ বন্ধ রাখার কারণে খাদ্য গ্রহণের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে পড়েছে, যা সাত সপ্তাহ ধরে চলছে। সংস্থাটি বলছে, মার্চ মাসে গাজায় ৩,৬৯৬ জন শিশু তীব্র অপুষ্টির কারণে চিকিৎসা নিয়েছে, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ২,০২৭ জন — অর্থাৎ মাত্র এক মাসে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়ে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানি নারীকে বিয়ের কথা গোপন করার অভিযোগে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলো ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। মুনির আহমেদ নামে ওই জওয়ানকে বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের কথা গোপন করার পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্ত্রীকে জেনেবুঝে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিআরপিএফ-এর একটি বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জওয়ানের কাজকর্ম বাহিনীতে কাজের আচরণবিধির পরিপন্থি। এছাড়া দেশের নিরাপত্তার জন্যও তা ক্ষতিকর বলে মনে করছে সিআরপিএফ। সেই কারণে অবিলম্বে তাকে আধাসেনা বাহিনী থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর নয়। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসা পাকিস্তানিদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাদের মেডিক্যাল ভিসা রয়েছে, তাদের জন্য আরও দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ান মুনিরের বিবাহ-বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। মুনিরের স্ত্রী মিনাল খান অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মেলে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে আদালত।
আদালতে যখন মামলার শুনানি চলছিল, ততক্ষণে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের সাথে বাসে উঠে বসেছিলেন মিনাল। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। সীমান্তে যখন পৌঁছালেন, ঠিক তখনই তার কাছে একটা ফোন আসে। আইনজীবীর ওই ফোনেই তিনি জানতে পারেন স্থগিতাদেশের কথা।
ওই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পরেই জওয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে আধাসেনা বাহিনী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিআরপিএফের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে আসে, বিয়ের কথা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসায় স্ত্রীর ভারতে থাকার বিষয়টি গোপন করেছিলেন তিনি। এর পরেই ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় আধাসেনা বাহিনী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মুনিরের স্ত্রী মিনালের বাবার বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সিয়ালকোট শহরে। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে জওয়ানের সাথে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনলাইনেই তাদের বিয়ে (নিকাহ্) হয়। ভিসার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পরে শেষে একটি স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসেন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ ওই স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়।
জানা যায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে একটি ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত কোনও বিদেশির ভিসার মেয়াদ শেষের পর দেশ ছাড়ার সময় কিংবা ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করার আবেদন বিবেচনাধীন থাকাকালীন এই ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়। দম্পতির আইনজীবীর বক্তব্য, সেটি এখন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তীব্র তাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমান্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় হঠাৎই ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা (রুট ৩৮) বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এ আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও যোগ দিয়েছে আগুন নেভানোর কাজে।
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ায় ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক হেলিকপ্টারটি অভিযানের জন্য সান্তা রোসা দেল সুর এলাকায় সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকাটিতে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং গালফ ক্ল্যান নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।’
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সেনাদের নিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীটির চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। সূত্র : এবিসি নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার মস্কো শহরের পশ্চিমে একটি শপিং মলে আজ ২২ জুলাই শনিবার গরম পানির পাইপ ফেটে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ৭০ জন আহত এবং ২০ জন আটকা পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে।
মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুরো ভবনজুড়ে পানি ও একটি দরজা দিয়ে বাষ্প প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ফুটন্ত পানি মলের একটি অংশ প্লাবিত করেছে। এতে কমপক্ষে ৭০ জন আহত এবং প্রায় ২০ জন আটকা পড়েছে।
পাইপ বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। রাশিয়ান তদন্ত কমিটি মারাত্মক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
২০০৭ সালে চালু হওয়া ছয়তলা শপিং মলটি ভ্রমেনা গোদা (দ্য সিজনস) নামে পরিচিত। এতে ৬২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে দেড় শতাধিক দোকান রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স, আরটি
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ৯ সদস্যদের প্রতিনিধি দল।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নাফিউল হাসান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, ইউএনডিপির বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান ওলোফ লিলার, ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সুশ্রী সোনালী দয়ালনে, কৌশলগত যোগাযোগ ও আউটরিচ বিশেষজ্ঞ কীর্তিজাই পাহারি, ইউএনডিপির কক্সবাজার সাব অফিস প্রধান কেইটা সুগিমোতো, হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ুম ও কনসালটেন্ট ভিডিওগ্রাফার রাগীব আহসান শামরাত।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়োজিত এপিবিএন’র ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলটি ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি এর সাব ব্লক এইচ/৭১-এ অবস্থিত ইউএনইচসিআর এবং এনজিও ফোরাম পরিচালিত পাইলট প্রকল্পের মর্ডান ভিলেস, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত বর্জ্য অপসারণ, ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রকৃতি কেন্দ্র, ৪ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিস এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এরপর প্রতিনিধিদলটি কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আওতাধীন দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত শেল্টার গুলো ঘুরে দেখেন ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢুকে তাদের জীবনযাপনের মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণ করা মুজিব বর্ষের ঘর পরিদর্শন করেন।