অনলাইন ডেস্ক
ট্রাফিক পুলিশের হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীর গাবতলীতে মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিক। অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে মিরপুর সড়কে যান চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবরোধের কারণে গাবতলীর উভয় পাশে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। তা বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সাভারের আমিনবাজার থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অফিস মুখো যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে আশিক মিয়া নামের এক পিকআপ চালকের গাড়ির কাগজপত্র চেক করার বিষয় নিয়ে প্রথমে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
তাদের অভিযোগ, ফিটনেস,রুট পারমিটসহ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই পিকআপ ভ্যানের লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা থাকায় ২০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এ সময় চালক ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাফিক সার্জেন্ট জহিরসহ দুই পুলিশ তাকে মারধর করেন।
এর প্রতিবাদে পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করলে সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়। সূত্র : যায়যায়দিন
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই তরুণ-তরুণীর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক, তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে সংসার শুরু করেছেন। এ দম্পতি হলেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারখালী মহল্লার আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) ও মার্কিন তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)। রিজু কম্পিউটার মেরামত ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন। ডেভিডসনের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরে। সম্প্রতি ঢাকায় আসেন ডেভিডসন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। রিজুর বাড়িতে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়েছে।
রিজুর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে- জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, ২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয়। তখনো জানতাম না তার বাড়ি কোথায়? বছরখানেক ধরে চেনাপরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালোলাগা, প্রেমের সম্পর্ক। দুজনই তাদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর পিয়ারখালী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন। এ সম্পর্কে রিজু বলেন, ডেভিডসন ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি গর্বিত। এ দেশে তার খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলা শিখেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে। তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এ দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। বিদেশি হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে খুবই খুশি রিজুর বাবা আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, ‘ওই ছেলেটির বাড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবুকে খোঁজখবর নিতে বলি। একই সঙ্গে সব নিরাপত্তার জন্য থানার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও দিই।’ কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ের সঙ্গে এলাকার একটি ছেলের বিয়ে হয়েছে খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগল। ওই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের আইন উদ্দিন এর ছেলে মোস্তাকিম (৪২)। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃত আজিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে নুর আমিন (২০) তাদেরকে ১৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রমের আলাচান মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মৃত কুমির উদ্দিন সর্দার এর ছেলে আমিনুল হক সর্দার(৫৯)। পৌর এলাকার পশ্চিম গৌড়ীপাড়া গোমের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৭), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩০), মৃত সোলেমান মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪১), হাছান আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৫৫), মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম লাল বাবু(৫০)। কাজিহাল ইউনিয়নের বাজনাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্টে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে ১৪টি চুরি-ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাসহ সারাদেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে দিনটিকে ‘জাতীয় জেনোসাইড দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আজ ২৫ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ২৫ মার্চের কালরাত স্মরণে সারাদেশে এক মিনিট আলো বন্ধ রেখে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জোহরের নামাজের পর বা সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাবেন ২০ অক্টোবর। এর আগে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও পরামর্শ সভা করে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের বাছাই শেষে এ নির্বাচনে ছয় প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নিয়ম অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল), আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন বাছাইয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোট থেকে দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে মনে করছেন ভোটাররা।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ১৪ অক্টোবর শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছের ঘোষপাড়ায় এক সভায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশে দুটি নির্বাচন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর। এ দুটি নির্বাচনের দিকে বিশ্ব তাকিয়ে আছে। সরকার যদি এ নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি করে, একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে দেয়, যদি দরজা বন্ধ করে দেয়, যদি রাতের অন্ধকারে সিল মারে, তাহলে সরকারকে ফলাফল ভোগ করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে আমি রাজপথে নামার ঘোষণা দিলাম।
মৃধা আরো বলেন, ৫ নভেম্বর নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু দেখতে চাই। আমরা চাই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ স্লোগান বাস্তবায়িত হোক। আমরা চাই একটা সুন্দর নির্বাচন। মানুষ চুন খেয়ে দই দেখলে ভয় পায়, চুন আর দই যেন একাকার না হয় তা সরকারের কাছে আকুল আবেদন।
সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। এটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে দেখাতে পারেন আমি সুন্দর নির্বাচন দিয়েছি। আগামী দিনেও এ ধরনের নির্বাচন দেবো। এটা আপনার জন্য ভালো এবং মঙ্গল হবে। আর উল্টাপাল্টা হলে, বাধা দিলে বাধবে লড়াই। এ লড়াইয়ে আমরাই জিতবো।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে ৩ অক্টোবর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন থেকে যেকোনো কারখানায় শ্রমকল্যাণ সমিতি গঠন করতে করা যাবে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (প্রতিনিধি দল) মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্ন ছিল, সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশে শ্রমিক আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটির বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টা ব্যাপারে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের জিজ্ঞাসায় ছিল।
তিনি বলেন, তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটি নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, তখন আমি বলেছিলাম, এটা আমরা আরও কমাব, তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল-এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি… আমরা এটা সবার জন্য করব, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটিও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, তারপরে বাংলাদেশ শ্রমিক আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।
তিনি বলেন, আমরা যেটা এরইমধ্যে শেষ করেছি, সেটি সম্পর্কে তাদের বলেছি। যেটা নিয়ে কাজ করেছি, সেটিও বলেছি… যেমন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।
তবে শ্রমিকদের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন দেশ থেকে কী পাওয়া হচ্ছে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান আনিসুল হক। বলেন, কোনো দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না-সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করব না।
তিনি বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটি ভোগ করতে পারে, সেটি নিশ্চিত এই সরকার করবে।
বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।