অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারি সফরের সময় তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি আদেশ কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে হাঙ্গেরি। আর সে কারণেই আইসিসি হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা শুরু করেছে।
গতকাল বুধবার আদালত রোম সংবিধির ৮৭(৭) ধারা চালু করেছে। এই চুক্তি মাধ্যমেই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বিধান আদালতকে অসহযোগী রাষ্ট্রগুলিকে অ্যাসেম্বলি অফ স্টেটস পার্টিস বা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানোর অনুমতি দেয়।
৩-৬ এপ্রিল বুদাপেস্টে ইসরায়েলি সরকারের সফরকালে গাজা গণহত্যার অংশ হিসেবে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক ওয়ান্টেড নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে হাঙ্গেরির অস্বীকৃতি জানায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলতে হাঙ্গেরির ব্যর্থতার কারণে এর আগে ট্রাইব্যুনাল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা করতে বাধ্য করেছিল।
বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস-এর নিউইয়র্ক অফিসের সাবেক পরিচালক ক্রেগ মোখিবার, এক্স-এ এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, পলাতক নেতানিয়াহুর হাঙ্গেরি সফরকালে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আইসিসির অনুরোধে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৮৭(৭) ধারার কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত নভেম্বরে নেতানিয়াহু এবং তার সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সূত্র: প্রেস টিভি
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিমূর্লের উদ্দেশে হামলা চালালেও দীর্ঘ প্রায় সাত মাসের যুদ্ধ শেষে লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি ইহুদিবাদী সেনারা।
এদিকে, পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংস করে এখন সেখানকার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফায় হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব সেনারা বলেছেন, রাফায় অভিযান চালানোর সময় ডাকা হলে তাতে সাড়া দেবেন না তারা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে- দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ করার পর তারা কতটা ক্লান্ত তার চিত্র।
এদিকে সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে সোমবার জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।
ইসরায়েল হুমকি দিয়ে বলেছে- যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফায় হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ ও খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওয়াশিংটন থেকে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই ফিরে গেছেন জেলেনস্কি।
২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি চুক্তি সই করা, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন কয়েকশো কোটি ডলারের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পেয়েছে, কিন্তু ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ট্রাম্প জেলেনস্কির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য দোষারোপ করতে শুরু করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সমালোচনা করে বলেন, তাকে শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ উত্তেজনার কারণে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হয়ে শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বের হয়ে যান। ঘটনা পরিক্রমায়, দুই দেশের সম্পর্ক এবং বৈঠকের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং পরিস্থিতি বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন অজানা দিক উন্মোচন করেছে।
এর আগে, সাংবাদিকদের সামনে এই বৈঠকে জেলেনস্কিকে একের পর আক্রমণ করে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। জেলেনস্কি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন’ বলে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, আপনার দেশের মানুষ খুবই সাহসী; কিন্তু আপনাকে হয় (রাশিয়ার সাথে) একটি চুক্তি করতে হবে না হলে আমরা আর আপনাদের সাথে নেই। আর আমরা যদি না থাকি তাহলে আপনাকে একা লড়তে হবে।
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মতপার্থক্য একসময় চিৎকার-চ্যাঁচামেচির পর্যায়ে চলে যায়। ‘জেলেনস্কি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন’ দাবি করে ট্রাম্প বলেন, মানুষ মারা পড়ছে। যুদ্ধের জন্য সেনার সংখ্যাও কমছে ক্রমশ। আপনার হাতে কার্ড (বিকল্প) নেই। একবার আমরা চুক্তি সই করলে আপনি ভালো অবস্থানে চলে যাবেন। কিন্তু আপনাকে আদৌ কৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে কি এটা ভালো কোনো বিষয় নয়।
বৈঠকের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, হোয়াইট হাউসে আজ (শুক্রবার) অর্থবহ মিটিং করেছি। এতো চাপ ও উত্তেজনার মধ্যে এমন কিছু শেখা গেছে, যা কথা না বললে কখনো বোঝা যেত না। আবেগের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে আসে তা আশ্চর্যজনক, আমি স্থির হয়েছি যে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত না। এতে যদি আমেরিকা যুক্ত থাকে, কারণ তিনি মনে করেন আমাদের যুক্ত থাকার ফলে আলোচনায় তার একটা বড় সুবিধা হবে। আমি সুবিধা চাই না, শান্তি চাই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি আসতে পারেন। তিনি প্রিয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন।
বৈঠকের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। যখন তাদের বাদানুবাদ চলছিল, তখন বৈঠকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে মাথায় হাত অবস্থায় দেখা গেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে। গোটা বিশ্বের প্রেমিক-প্রেমিকারা এদিন মেতে ওঠেন আনন্দ উৎসবে।
উপহারের দোকান, কফি শপ, শপিং মল সর্বত্রই এই দিনে উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে ভ্যালেন্টাইনস ডে বছরের ক্যালেন্ডারে এক জরুরি দিনও বটে। ভালোবাসার রঙে রঙে তারা রাঙিয়ে তোলেন ভ্যালেন্টাইনস ডে’কে।
নিউইয়র্কে আনন্দঘন পরিবেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে প্রবাসে অনুষ্ঠানের চেয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন তারা। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী তাদের রঙিন ছবি দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ভালোবাসা দিবসকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিস্টান শহীদকে সম্মান জানাতে খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরির প্রলোভনে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে অংশ করে প্রাণ হারিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। ১৮ এপ্রিল শুক্রবার এক সহযোদ্ধার ফোনে মৃত্যুর খবর পৌঁছালে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মোহাম্মদ আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ওয়েল্ডিং-এর কাজ শেখার পর সংসারের সচ্ছলতা ও নিজের ভবিষ্যতের আশায় প্রায় ১১ মাস আগে তিনি রাশিয়ায় যান। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আকরাম ছিলেন সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তার পিতা, যিনি দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক মেয়ের বিয়েতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় পরিবারে আর্থিক চাপ আরও বাড়ে। সেই চাপ কমাতেই স্বজনদের সহায়তায় রাশিয়ায় পাঠানো হয় আকরামকে।
রাশিয়ায় গিয়ে প্রথম ৮ মাস একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। যদিও বেতন বেশি ছিল না, তবে তার উপার্জনে পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। আকরামের আয়ে তার দরিদ্র পরিবার একটু একটু করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
তবে প্রায় আড়াই মাস আগে আকরাম এক দালালের প্রলোভনে পড়ে চুক্তিভিত্তিকভাবে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শর্ত ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখসারিতে অংশ নিতে হবে। পরিবার থেকে নিষেধ করা হলেও আকরাম জানিয়েছিলেন, ফিরে আসার আর কোনো উপায় নেই। তিনি তার বাবাকে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইতোমধ্যে চার লাখ টাকা জমা হয়েছে।
আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তবে গত ১৩ এপ্রিল থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিতরাও তার খোঁজ পাচ্ছেন না। শুক্রবার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন ওই হামলায় মারা যান। এরপর থেকেই আকরামের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ছেলের মৃত্যুর খবরে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। আকরামের মা বারবার ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, অন্যরাও শোকে হতবিহ্বল।
নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিপূরণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন আকরামের পরিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।