অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল। তবে সংস্কারের সবকিছুই হতে হবে জনগণের সম্মতিতে। আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সবাই খুব ভালো চাই। কিন্তু খুব ভালো করার জন্য যেন আমরা এতো সময় না নেই- যাতে মানুষের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি স্তিমিত হয়ে যায়। নিশ্চয় আমরা ভালো করতে চাই এবং এই ভালো করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, সবসময় থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা কালকেও প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চাইতে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল করেছে? রাজনৈতিকভাবে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা তো বিএনপি করেছে। বহু দলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক শাসন ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ তো অনেক ক্ষেত্রে করেছে। এমনকি বিএনপি তো গ্রাম সরকার প্রবর্তন করেছে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি বিএনপি চালু করেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি গঠন করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে অর্থনীতির- সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হলো ভ্যাট, বিএনপি করেছে। আজকে অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোশাক খাত বিএনপির হাতে হয়েছে, কৃষি উন্নয়ন, প্রবাসী কর্মসংস্থান, পল্লী বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে সমবায় উন্নয়ন, কুটির শিল্প… বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল।
তিনি বলেন, তারপরও কেউ কেউ নানা কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনি- তখন তো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন। কেউ যখন সংস্কারের কথা ভাবেনি, তখন শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা এটা বলেছি, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব থাকলে সেটি সাদরে গ্রহণ করব।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলেন। শুক্রবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার প্রথম জানাযা শনিবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে সড়কপথে মরদেহ সরাইল উপজেলা সদরে আনা হয়। শনিবার বাদ আসর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে। বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় পরমানন্দপুর গ্রামে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ দিকে সরাইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রমুখ। এ সময় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈশাখী মেলা চলাকালে দুই গ্রামের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। আর সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানালেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ও লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকায় বৈশাখী মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের একজনের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষের কয়েকশ’ লোক স্থানীয় একটি মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ জুলাই, শুক্রবার।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। পরে প্রধানমন্ত্রী অনলাইনে এ ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, শুক্রবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে যাবে। ঘরে বসেই রেজাল্ট ওয়েবসাইট ও এসএমএস’র মাধ্যমে পেয়ে যাবে তারা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইদিন মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হয়। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
এবছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আলু, ডিম ও পেঁয়াজ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের হেলিপোর্ট বাজার, হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনাসহ আলু বিক্রির কার্যক্রম হিসাবে হিমাগার তদারকি করা হয়। ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, মূল্য ও ক্রয় তালিকা হালনাগাদ না থাকা এবং দাম বেশী নেবার কারণে মেসার্স দিশারী ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ঘোষ হোটেলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষন ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে আলু পেয়াঁজ ও ডিম ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে জেলা পুলিশের টিম, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। ওই স্কুল ছাত্রীকে তার প্রেমিক বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতে বসেই আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৫) তার বাড়ির পাশের দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। এ সময় ইব্রাহিম মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে।
সম্প্রতি ইব্রাহিম মোল্লার পরিবার তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাত্রী দেখে। এ খবর পাওয়ার পর ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী ইব্রাহিম মোল্লার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, গত ৩ বছর ধরে ইব্রাহিমের সাথে প্রেম করছি। এ সময় সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইব্রাহিম আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।
ইব্রাহিম মোল্লার চাচি রাজিয়া বেগম বলেন, মেয়েটি ২ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে এই ২ দিনে সে কিছুই খায়নি। আমরা তাকে খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এভাবে সে না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা মেয়ের বাবাকে বলেছি, তিনি যেন তার মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, ইব্রাহিম মোল্লা যে কাজ করেছে তাতে সমাজে আমার মুখ দেখাবার অবস্থা নেই। আমি চাই ইব্রাহিম মোল্লাই আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। আর সে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকছেদ আলী শেখ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে সামাজিক ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করবো।