চলারপথে রিপোর্ট :
কারিগরি শিক্ষায় সংস্কার ও চাকরির ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ছয় দফা উপস্থাপন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ২০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ইনস্টিটিউটের হলরুমে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চলমান কেন্দ্রীয় আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। আমাদের এই আন্দোলন ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে চলছে, বলেন পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী জাবেদ আহমেদ সিয়াম।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় সাত কলেজের সমস্যা দুই দিনে সমাধান করা গেলে, দেশের ৫০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দাবি কেন মানা হবে না?
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, আমরা গত আট মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিকভাবে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী বৈষম্য, চাকরির অযোগ্যতা ও শিক্ষার মান নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে, সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষার্থীরা নিয়োগ, উচ্চশিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে বঞ্চনার শিকার। ২০২৪ সালের শেষদিক থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি রাজনেতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা বহু চেষ্টা করেও নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। মঞ্চে উপবিষ্ট দু:জন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যে কোন মিছিল, মিটিং করলে কোন আপত্তি নাই। যদি অশান্ত হন, আগুন সন্ত্রাস করেন, জনগণের অশান্তি হয় এমন কোন কাজ করলে তা সহ্য করা হবে না। জনগনের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, রমজানুল মোবারককে সামনে রেখে যেসব লোকেরা কালো ধান্ধায় আছেন, তাদেরকে আমরা সতর্ক করতে চাই আমরা কোন রকমের মজুদদারীকে সহ্য করবো না। রমজানে যারা দ্রব্য মূল্য নিয়ে যেসকল বন্ধুরা খেলাধূলা করবেন তাদেরকে খেলাধূলা না করার অনুরোধ করবো। খেলাধূলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। আমি আজকে বলে দিয়েছি একজন মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে, কোন জরিমানার ব্যাপার স্যাপার নাই, সরাসরি কারাগারে পাঠানোর জন্য আমি অনুরোধ করেছি। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিন সচেষ্ট আছেন আমরাও তার সাথে আছি। সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিন আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার প্রতিটা আমি পালন করবো ইনশাল্লাহ। আগেও আমিও চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ছিলাম আজও আছি। মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, আপনাদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে, আমি তাদের ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাংসদ সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ মঈন উদ্দিন মঈন, মন্ত্রীর সহধর্মিণী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনানুষ্ঠানশেষে ব্যান্ডদল নগর বাউলের জেমস সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে হাজারো দর্শককে মুগ্ধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিরাচাল নিউটন দাস, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসক ডঃ কাজী সানজিদা হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিরাচাল নিউটন দাস জানান, যারা ভবন তৈরি করবেন তারা অবশ্যই বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরন করে ভবন তৈরি করবেন। সচেতন হলে যে কোন দুর্যোগ অনেকাংশে কমে আসবে।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগের পূর্বভাস প্রস্তুতি বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি” এই প্রতিবাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এই মহড়া। দুর্যোগে ক্ষতিগহ মানুষকে যত তাড়াতাড়ি ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারি এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। জনগন সচেতন হলে যে কোন দুর্যোগ থেকে খুব সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এই মহড়া। পরে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয় অগ্নিকান্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া। এতে জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিয়নের সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে আন্ত:ধর্মীয় উদ্যোগ গ্রহনের অঙ্গীকার করা হয়েছে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত ‘ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ অঙ্গীকার করা হয়। ‘রূপসা’ নামে একটি সংস্থা এ সেমিনারের আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় একটি অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন। সেমিনারে জানানো হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় পুরো জেলাব্যাপি এ ধরণের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, জাতীয় ইমাম পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, মডেল মসজিদের ইমাম মো. জয়নুল আবেদীন, ব্রাহ্মণ সংসদ কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জয়শঙ্কর চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণ সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি খোকন কান্তি আচার্য্য, সহ-সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যাপিস্ট চার্চের প্রাক্তন পাল কর বার্ট বিজন ঘোষ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘কোনো ধর্মেই হানাহানির কথা বলা নেই। বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এমন একটি দেশ গড়ে তুলবো যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সহানুভুতি বিরাজ করে। আমরা সামাজিক অন্যায় মোকাবেলা করতে এবং সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে সহযোগিতার সঙ্গে কাজ করবো যেখানে সকলে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিউটিতে নিয়োজিত হওয়ার প্রাক্কালে অফিসার ও ফোর্সদের এক ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন পিপিএম এর সঞ্চালনায় ব্রিফিং প্যারেডে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান ডিউটিকালে অফিসার ও ফোর্সদের করণীয় বর্জনীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি নিরাপদভাবে দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি অফিসার ও ফোর্সদের সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করেন।