অনলাইন ডেস্ক :
সকালের নাশতায় ওটস খুবই ভালো একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প—বিশেষ করে যদি আপনি পুষ্টিকর, সহজে হজমযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে এমন কিছু খুঁজছেন।
ওটসের উপকারিতা-
১. উচ্চ ফাইবারযুক্ত: বিশেষ করে বেটা-গ্লুকান নামে একটি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. লম্বা সময় ধরে পেট ভরা রাখে: এর কারণে আপনি বারবার ক্ষুধা পাবেন না, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. হার্টের জন্য ভালো: কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. হজমে সহায়ক: ফাইবার থাকায় হজমের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. প্রোটিনের ভালো উৎস: বিশেষ করে যদি আপনি ওটসের সাথে দুধ, বাদাম বা দই যোগ করেন।
কীভাবে খেতে পারেন-
দুধ বা পানিতে সেদ্ধ করে, সঙ্গে মধু, ফল (যেমন: কলা, আপেল, বেরি), বাদাম ইত্যাদি যোগ করে।
ওভারনাইট ওটস: রাতে দুধে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঠান্ডা করে ফল আর বাদাম দিয়ে খেতে পারেন।
সেভরি ওটস: নোনতা ওটস রান্না করে সবজি, ডিম দিয়ে খাওয়া যায়।
সাবধানতা-
ইনস্ট্যান্ট ওটস এড়ানো ভালো, কারণ তাতে অনেক সময় অতিরিক্ত চিনি বা প্রিজারভেটিভ থাকে।
ডায়াবেটিস থাকলে ফলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখা দরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন চলছে বৈশাখ মাস। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসী। এমন গরমে এসির শীতল পরশ অনেকের জন্য স্বস্তির হয়। কিন্তু সব সময় এসি কেনা বা চালানো সম্ভব হয় না। তবে এসি ছাড়াই কিছু কিছু সহজ এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করলেই আপনি গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজ সেই উপায়গুলো-
সঠিকভাবে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করুন: অনেকেই জানেন না সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণনের দিক বদলালেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গ্রীষ্মকালে ফ্যানের ঘূর্ণন যেন ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে হয়, তা নিশ্চিত করুন। এতে ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে চলে আসে এবং ঘরের পরিবেশ অনেকটাই আরামদায়ক হয়।
রাতের ঠাণ্ডা বাতাস কাজে লাগান: দিনের প্রচণ্ড রোদে জানালা বন্ধ রাখুন। কিন্তু রাতে যখন বাইরের তাপমাত্রা কমে আসে, তখন জানালা খুলে দিন। শীতল বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন এবং গরম বাতাস বেরিয়ে যেতে দিন। পরদিন সকাল পর্যন্ত জানালা বন্ধ রাখলে ঘরের ভেতরের ঠাণ্ডা পরিবেশ বেশিক্ষণ টিকে থাকবে।
বরফ আর ভেজা কাপড়ের ব্যবহার: বরফের সাহায্যে ঘর ঠাণ্ডা রাখার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ফ্যানের সামনে বরফের বাটি রাখা। বরফ গলতে গলতে ঠাণ্ডা বাতাস তৈরি করে, যা ফ্যানের মাধ্যমে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। চাইলে জানালায় ভেজা তোয়ালে বা চট ঝুলিয়ে দিয়েও একই ধরনের শীতল প্রভাব পাওয়া যায়।
গাছ দিয়ে ঘর রাখুন ঠান্ডা: ঘরের ভেতরে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের গাছ রাখলে তা প্রাকৃতিকভাবেই তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা, মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছ ঘরের বাতাস শুদ্ধ করে এবং পরিবেশ শীতল রাখতে ভূমিকা রাখে। এগুলোর পরিচর্যা করাও সহজ।
জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগান: জানালা দিয়েই বেশি তাপ ঘরে প্রবেশ করে। তাই জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগালে সূর্যের তাপের প্রবেশ অনেকটাই কমে যায়। এতে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা বেশ নিয়ন্ত্রিত থাকে, আর এসি ছাড়াই তুলনামূলক শীতল পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হয়।
মোটা ও হালকা রঙের পর্দার ব্যবহার: গাঢ় রঙের মোটা পর্দা রোদ আটকাতে কার্যকর হলেও, বেশি গরম জায়গায় হালকা রঙের মোটা পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। কারণ হালকা রঙ সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে দেয়, ফলে ঘর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকে। সুতরাং পর্দা বাছাইয়ের সময় শুধু রং নয়, কাপড়ের গুণও খেয়াল রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন: কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে তা শুধু কাজই করে না, বরং বাড়তি তাপও উৎপন্ন করে। তাই যেসব ডিভাইসের প্রয়োজন নেই, সেগুলো বন্ধ রাখুন। এতে ঘরের গরমভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।
বরফের অতিরিক্ত ব্যবহার: বরফের আরেকটি উপায় হলো বড় পাত্রে বরফ রেখে তা ঘরের মাঝখানে রাখা। পাত্রের উপর দিয়ে ফ্যানের বাতাস চালালে ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে দুপুরের তীব্র গরমে এটি বেশ কার্যকর।
প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দিন দিন গরম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় শুধু এসি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। বরং প্রাকৃতিক ও টেকসই পদ্ধতিতে জীবনযাত্রা সহজ ও স্বস্তিদায়ক করে তুলতেই হবে।
এসি ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের এবং পরিবেশের উভয়ের উপকার করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।
২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে
৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন
৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা
৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা
৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।
নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।
সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)
৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সাতটি পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার দেশে এইচএমপি শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ ঠেকাতে ১২ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
এইচএমপি ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে,যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
এছাড়া অন্যান্য সতর্কতার মধ্যে রয়েছে, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঘন ঘন সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড) ইত্যাদি।
এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
অনলাইন ডেস্ক :
চিরতা ভীষণ তিতা বলে অনেকেই তাতে পাত্তা দেন না। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কেননা এই ভেষজের গুণ অনেক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এই ভেষজ আরো অনেক উপকার করে।
১. আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে প্রায় সবারই সর্দি-কাশি-ঠান্ডা ইত্যাদি লেগে যায়। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সেসব অসুখ দূরে থাকে। কেন চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
২. চিরতা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চিরতা।
৩. শরীরে জমে থাকা সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে চিরতা। লিভার, কিডনিতে জমা দূষিত পদার্থ, বিপাকজাত ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফ্যাট শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।
৪. শীতে যাদের অ্যালার্জি হয়, অ্যালার্জি থেকে যাদের শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়, তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই পানি পান করলে উপকার পাবেন।
৫. ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতার পানি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়।
কীভাবে বানাবেন?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা চামচ চিরতার পাতা দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় পান করুন। চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন চিরতার পানিতে।
অনলাইন ডেস্ক :
কিছু জিনিস আছে, যেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় আশপাশে বা বালিশের কাছে রাখলে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শুধু ঘুমের ওপরই নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সারা দিনের ক্লান্তির পর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো প্রশান্ত ও গভীর ঘুম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এটি লক্ষণীয় যে এতে শুধু ঘুমের ঘণ্টাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমানোর উপায়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কাছে একটু অবাক লাগতে পারে যে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু তার চারপাশের জিনিসগুলো আপনার ঘুম ও স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, হ্যাঁ। আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় এমন কিছু জিনিস আপনার আশেপাশে রাখেন, যেগুলো আপনার ক্ষতি করতে পারে।
কী সেই জিনিস, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা
আজকাল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই এগুলো থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বও সহ্য করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় এই ডিভাইসগুলো আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নীল আলো ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত করে, যা শুধু আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের জিনিস না রাখা
সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে যখন বিছানায় আসেন, তখন সাধারণত কাজ ভুলে যেতে চান এবং একটি ভালো ঘুম পেতে চান। এমন অবস্থায় ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার বিছানার আশেপাশে অফিস বা অন্য কোনো কাজ সংক্রান্ত কোনো জিনিসপত্র রাখা নেই।
আসলে এর পিছনে একটি বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। যখন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো আপনার চারপাশে উপস্থিত থাকে, তখন মনোযোগ কাজের দিকে চলে যায়। এটি মানসিক চাপ ও খারাপ ঘুমের কারণও হয়।
অকেজো জিনিস না রাখা
ভালো ও গভীর ঘুমের জন্য আশপাশের পরিবেশও একই রকম হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানোর আগে ঠিকমতো বিছানা প্রস্তুত করতে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করুন। এ জন্য বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসগুলো ঠিক করুন। বিছানা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন এবং দূরে রাখুন। আশেপাশে নোংরা বাসন, ময়লা কাপড়, ওষুধ, কাগজপত্র বা খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ঘুচিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সময় ভালো লাগবে এবং ঘুমও ভালো হবে।
নরম খেলনা নিয়ে ঘুমাবেন না
শুধু শিশুরা নয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্করাও কখনো কখনো ঘুমানোর সময় তাদের সঙ্গে একটি বড় টেডি বিয়ার বা কিছু নরম খেলনা রাখেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, নরম খেলনাগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি ও আর্দ্রতার কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জমে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে প্রিয় সফট টয় ছাড়া ঘুমাতে না পারলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস