চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সাথে ৩ঘণ্টারও বেশি সময় বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সন্তানদের করা হয় মারধর। ইতিমধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার আসামি দুই ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২১ এপ্রিল সোমবার বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রকাশ্যে এমন নির্যাতনে প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলেও তাতে কাজ হয়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় ওই নারীকে।
ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী মো. হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। তবে টাকার লেনদেন ও বিভিন্ন পারিবাকি বিষয় নিয়ে শারমীনের সঙ্গে প্রায়ই তার ভাসুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিরোধে জড়ায়। সোমবার বিকেলও স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় দুই ভাশুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনসহ পরিবারের লোকজন তাকেসহ সন্তানদের মারধর করে। এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি চান।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের দাবি শারমীনের বেপরোয়া চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় শারমীন তার শ্বশুর মন্তাজ মিয়াকে মারধর করে। এরই জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক পদক্ষিণ শেষে শহরের কাউতলী জেলা ডায়াবেটিস সমিতির হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডঃ মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নোমান মিয়া, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম,সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট হাবিব উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নূরে আলাম সিদ্দিকী।
সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আরজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বক্তব্যে বলেন ভূয়সী প্রশংসা করে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যয়াম করা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিমিতি আনার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের মাস ব্যাপক কলেবরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মো. আনার, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সেলিম রেজা হাবিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকী, গাজি রতন মিয়া, আবু হোরায়রাহ, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, মো. মনির হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে দু’দিনের কর্মসূচি পালন করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী থাকায় বাদ জোহর মসজিদে মসজিদে দোয়া, মন্দির ও গীর্জায় সুবিধানজনক সময়ে প্রার্থনা, বাদ আসর সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে মিলাদ ও কেককাটা। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সমাবেশ।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ও দুপুরে অনুষ্ঠিত বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির নেতবৃন্দের বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কমিটির সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তানজিন আহমেদ, তথ্য গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা, অর্থ সম্পাদক মহসিন মিয়া, শ্রম সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, ত্রাণ সম্পাদক শেখ মো. আনার, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক শাহআলম, উপপ্রচার সম্পাদক স্বপন রায়, উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন, কার্যকরী সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, রেহেনা বেগম রানী,সৈয়দ মো. আসলাম, কাচন মিয়া, ফারুকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
এছাড়া সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ রবিবার সকালে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে এ আয়োজনে প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে এ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এ সময় তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না বলেন, ‘এমন একটি দিনে জেলা প্রশাসন আমাদেরকে স্মরণ করায় আমরা খুবই খুশি। কৃতজ্ঞতা জানাই মন্ত্রী মহোদয়কেও। আশা করি সকলের সহযোগিতায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা আরও এগিয়ে যাবে।’
এরপর মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব¡ পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে, রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সকাল থেকেই মেড্ডা থেকে অবস্থান করি নিজ উদ্যোগে। যাতে যানজট না হয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবে। একজন পথচারী বলেন, মনে হচ্ছে দেশটি নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য আমরা খুবই খুশি দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর এই দিনটি পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতেও আরও বেশি ভালো লাগছে।
একজন রিকশা চালক বলেন, দেশটা নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। যাদের কারণে দেশ স্বাধীন হলো তারা আজ আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত: গত ৫ আগস্ট সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে শহরে জনগণের ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।