হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েতে রবিবার ,১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পেশাল মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডে যোগ দেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি, পাশাপাশি স্পেশাল মার্শাল হিসেবে পুরো প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্যারেড উদ্বোধনকালে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বাংলাদেশ সোসাইটি ও এর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি এই পুরো আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এ ছাড়া ছিল হিউম্যানিটি এম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস। প্যারেডে ফ্লোট লাইনআপে ছিল ফুল ট্রাক, পিকআপ ট্রাক ও এক্সোটিক কার। প্যারেডে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকেই পরেন বাঙালি পোশাক শাড়ি আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি। নারীদের অনেকেই সাজেন বাহারি সাজে, মাথায় ছিল ফুল, অনেকে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে পট্টি বাঁধেন, পতাকা হাতে ছিল অনেকেরই। খুবই বড় পতাকা ছিল তিন থেকে চারটি। মাঝারি ও বড় পতাকাও নিয়ে আসেন অনেকেই। প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গান, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রাকে বাজতে থাকে বাংলাদেশের গান, বৈশাখের গান। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জ্যাকসন হাইটসে তৈরি হয় বাংলাদেশের পুরো পরিবেশ।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৮৭ স্ট্রিট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ৬৯ স্ট্রিটের মঞ্চে আয়োজকেরা বক্তৃতা করেন। প্যারেড শেষে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সব জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বাজে তাকদুম তাকদুম বাজে, আজ এলরে এল বৈশাখ। বাংলাদেশ ডে প্যারেড করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা অনেক খুশি। আয়োজকেরাও এ ধরনের অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারায় খুশি ও সন্তুষ্ট।
প্যারেডের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পী নওশীন, রিচি সোলায়মান, এহসান মিলন, নাদিয়া লিখন, জায়েদ খান, প্রতীক হাসান, নোভা, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ প্রবাসের অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। প্যারেডে ৬৫টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়। এ ছাড়া প্যারেডে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের স্টাফদের একাংশ মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশারের নেতৃত্বে অংশ নেন। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানান। ছিল নিউইয়র্ক সিটির অশ্বারোহী বাহিনীর সদস্য, পুলিশের গাড়ি, এনওয়াইপিডির ব্যান্ড দল, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাপা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ফায়ার, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন, নিউইয়র্ক সিটির পোস্ট অফিসে কর্মরত সংগঠনসহ নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্যারেডে আরও অংশ নেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেনিফার রাজকুমার,জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনিটির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ প্যারেডে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন জেলা ও কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন অংশ নেয়। এতে মুলধারার দ্যা ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার মানিক,সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,সদস্য ফাহাদ সোলাইমান ও সদস্য সিমন মানিকসহ অনেকেই অংশ নিয়েছে । অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্যারেডে অংশ নেওয়া মানুষেরা প্যারেড শুরুর মঞ্চে আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে র্যালি শুরু হয়। শেষ হয় দুইটার দিকে। ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ থেকে প্যারেড শুরু হয় আর শেষ হয় ৮৭ স্ট্রিটে। প্রথমে প্যারেড করে সবাই ৮৭ স্ট্রিটে পৌঁছান। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। প্যারেড শুরুর আগে ৬৯ স্ট্রিটকে সমাবেশস্থল ধরা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বাজানো হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গান। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, মেয়র অফিসের প্রধান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গ্র্যান্ড মার্শাল শাহ নেওয়াজ, রানো নেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, আজিমুর রহমান বুরহান, জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ড, ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমদ, মুশরাত শাহীন অনুভা, নুরুল আজিম, শাহ জে চৌধুরী, শাহজাদী পারভিন সারাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সোসাইটির সূত্র জানায়, প্যারেডে অংশ নেয় ৬৫টিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান সেলিম, চিফ অ্যাডভাইজর গিয়াস আহমেদ, কনভেনর মোহাম্মদ আলী, মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এফইএমডি রকি, চিফ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জে মোল্লা সানি, চিফ কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিব, চিফ ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্যারেডের কো-চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কাজী আজম, নুরুল আজিম, হারুন ভুঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, শাহ শহীদুল হক, তরিকুল ইসলাম বাদল, কো-কনভেনর শাকিল মিয়া, শাহ জে. চৌধুরী, তারেক হোসেন খান, নুর আমিন ও আখতার হোসেন।
এদিকে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য আমি আয়োজকদেরকে ধনবাদ জানাচ্ছি। মেয়রকে স্পেশাল মার্শালের উত্তরীয় পরিয়ে দেন গিয়াস আহমেদ।
প্যারেডে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, এস্টোরিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি, প্রবাসী নরসিংদী জেলা অ্যাসোসিয়েশন, পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী মতলব জেলা অ্যাসোসিয়শন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি, সেফ, এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ও প্যারেডকে সফল করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেয়র এরিক অ্যাডামস, মীর বাশারসহ সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৬৫টি সংগঠনের নেতারা এসেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মাদার সংগঠন। এই সংগঠনকে সবার সহায়তা করা উচিত ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার ইলিয়াস দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরোণ্টো একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
প্রিয় এ নেতার স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের ব্রূকলিনে হযরত বেলাল মসজিদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন জে এস ডি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
দলের নেতৃবৃন্দ নাসিমা আক্তার ইলিয়াস এর সার্বিক সুস্থতা কামনায় দেশে এবং প্রবাসে সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখেন।
এছাড়াও নাসিমা আক্তার ইলিয়াসের দূত আরোগ্য কামনা করছেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,রাজনীতিবিদ ও সংগঠক শামসুদ্দিন আহমেদ শামীম, জেএসএফ”র সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, কবি এবিএম সালেহ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান মাহবুব, ওসমান গণি, বিশ্বজিত সাহা, সুহাস বড়ুয়া হাসু,হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, আরিফুর রহমান আরিফ, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, ফিরোজ মাহমুদ, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নুরে আলম জিকু প্রমুখ।
মুমিনুল হক :
কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ফোরাম, অন্টারিও’র সভাপতি মিলাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কানাডা বিএনপির সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি কমিটি (বাংলাদেশ ককাস) এর ভাইস-চেয়ারম্যান সালমা জাহিদ এমপি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ।
বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত, ফরহাদ মিশু নির্বাহী, সরওয়ার হোসেন, দেলওয়ার হোসেন বাচ্ছু, চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম সোহেল, সোহেল আহমেদ, সারওয়ার রাশেদ, কাজী রায়ফুল শামিম, বুলবুল আহমেদ, আবদুল হামিদ চৌধুরী, মাহবুব সজীব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন — এই বিশ্বাসকে ধারণ করেই বিএনপির ৪৭ বছরের পথচলা। শান্তিময় ও মানবিক সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য, আর এই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন ওমর ফারুক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের আয়োজনে লন্ডনে প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও জাতি গঠন শীর্ষক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠি হয়েছে। গত ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন রোডের একটি হলে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন : অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠণ শীর্ষক এক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃটেনের বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নূরানী রূপমা ।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কি নোট স্পিকার হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিলেতের ইমিগ্র্যাশন জাজ সলিসিটর বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের সিভিক মেয়র কাউন্সিলর রহিমা রহমান, সংগঠন এর কো- কনভেনর মসুদ আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক, সাবেক সিভিক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, কাউন্সিলর রিতা ইসলাম, কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী, সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ, কো- কনভেনর জামাল হোসেন, সিনিয়র জয়েন্ট কনভেনর তাজুল ইসলাম, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশী সলিসিটরস এর সভাপতি ব্যারিস্টার আব্দুল গাফফার, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি গুলজার খান, ট্রেজারার আখলাক আহমদ, ব্যারিস্টার মাসুদ আহমদ চৌধুরী ,সাংবাদিক রহমত আলী, সাংবাদিক খালেদ মাসুদ রনি, মানব টিভি সম্পাদক সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, ড. আজিজুল আম্বিয়া ও ড. আজমল চৌধুরী প্রমুখ ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠক আব্দুল মুকিত, পাইলট সাব্বির করিম, বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আব্দুল মুকিত ও আব্দুস সাত্তার ,মিসবাহুজ্জামান সোহেল, সালেহ গজনবী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক তবারক হোসেন, সাংবাদিক সাকির হোসেন, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’র সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ও সাউথ ইস্ট রিজিয়নের জয়েন্ট কনভেনর শিপার রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হেলেন ইসলাম, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সাদিক আহমদ, কদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম রঞ্জু, সৈয়দ সায়েম করিম, আব্দুল বাসিত রফি, আজম আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রেজারার আজম খাঁন, ব্যারিস্টার আব্দুস শহীদ, ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার এনামুল হক, যুব সংগঠক শামসুল ইসলাম সলফী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম, প্রফেসর আব্দুল হাই, আতিক রাহনান, শানূর আলী, বেলাল হোসেন, একাউন্ট্যান্ট ওলিউর রহমান, আবুল কালাম, মোঃ শামসুল ইসলাম, তৌরিস মিয়া, আফসার হোসাইন, সৈয়দা নাজমিন সুলতানা শিখা, শেখ নুরুল ইসলাম .সাংস্কৃতিক কর্মী মাহফুজা তালুকদার ,ডঃ আজিজুল আম্বিয়া , নাজমা হোসাইন, শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, হাফিজ জিলু খান, মোঃ ফজলু মিয়া, সালেহ আহমদ, নূর আহমদ, মোঃ লোকমান হোসেন, সামিউল, আব্দুল সাত্তার, সাকির চৌধুরী, মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ জুনায়েত রিয়াজ, মোঃ বদরুল ইসলাম মোস্তাক, ফয়েজ আহমদ, মোঃ জিয়াউর রহমান, শাহ মুনিম, তুহিন আহমদ, মাইনুর রহমান তুহেল, দেওয়ান সালাম স্বাধীন, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিজিক্সে অধ্যয়ণরত সাইমুর মুজিব রহমান, ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্টে অধ্যয়নরত মুক্তাদির আহমদ, ম্যাথসে অধ্যয়নরত তাহসিন এবং হিস্ট্রি এন্ড ফিলোসপিতে অধ্যয়নরত আমিরুল ইসলাম প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ গঠনে কি নোটের উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও মেইনস্ট্রিম রাজনীতির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফিজ মো: জিলু খাঁন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ সূচিত হতে পারে বলে সেমিনারে অভিমত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের জাতি গঠনে কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই গ্ৰুপে বিভিন্ন সময়ে যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কার্যকর পন্থা বের করা সম্ভব হবে।
কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হয়ে ইফতার ও আলোচনা সভাকে সফল করে তুলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ ও উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর মকিস মনসুর হাইকমিশনার প্রতিনিধি সহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সহ আমাদের সংগঠন এর যারা অর্থ প্রদান করেছেন এবং পোগ্রাম সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠন এর আগামী দিনের পথচলায় সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সেমিনার এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় এক রেষ্টুরেন্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে ও দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক এনামুল হায়দার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসাইন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মুলধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইঁয়া, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, চৌমুহানী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল মান্নান, জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহসিনুর রহমান সবুজ, দলটির যুক্তরাষ্ট্র এর অন্যতম নেতা গাজী আযম বাদল,শরীফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম ফারুক, আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী নাসিমা আক্তার, দলটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম সহ দলের সকল শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট কাল নীরবতা পালনসহ বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে সেদিন পতাকাটি উত্তোলন করেন ঐসময়কার ডাকসু’র ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পর প্রত্যেক সরকারই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে অবহেলা আর অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়নি। তেমনিভাবে ঐতিহাসিক ৩রা মার্চকেও প্রতিটি সরকারই শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনমন্যতার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম।
৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে ঐদিন পল্টন ময়দানে ছাত্র জনতার সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ।
তাই আজকের আলোচনা সভা থেকে জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনের ফসল বতর্মান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক ২ ও ৩ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য এবং অন্যান্য দিবসের সাথে এ দুটো দিবসকেও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।তবেই নতুন প্রজণ্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ইফতার এবং নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।