অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, সবুজ এবং টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে। এটি তাদের জ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণে গঠিত হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বজনীন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে। আজ ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকের তরুণদের, যারা এই গ্রহের উত্তরাধিকারী হবে তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়।
এর আগে কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান কাতারের মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এসময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নাই। ২০১৪ সালে ভোট দিতে পারিনি, ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারিনি। এখন আবার নির্বাচন আসছে, তারা (সরকার) আবার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা শুরু করেছে।
আজ ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। যদি তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হয় তাহলে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। এজন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই।
‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে আছে তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে, সচেতনভাবে সাধারণ মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদের কাজের কোনো সংস্থান নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের নাভিশ্বাস চলছে। অথচ আওয়ামী লীগের সরকারে যারা আছে, তাদের সঙ্গে যারা আছে তারা অন্যায় অর্থ উপার্জন করে, লুটতরাজ করে এদেশ থেকে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করাসহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে তাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বাধিক ১০টি মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করতে পারবেন। ১০টির বেশি সিম থাকলে তা ডি-রেজিস্ট্রার (বাতিল) করতে সময়সীবা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ ৩০ জুলাই বুধবার বিটিআরসি জানায়, এক ব্যক্তির নামে ১০টির অধিক সিম থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে।
*১৬০০১# ডায়াল করে নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিটিআরসি জানেয়েছে।
আগে একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই নিবন্ধন করা যাবে।
বিটিআরসি জানায়, গত মে মাসে আন্তর্জাতিক অনুশীলন এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ নিবন্ধনযোগ্য সিম সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১০টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিটিআরসির সেই সিদ্ধান্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠালে তা অনুমোদন পাওয়া যায়।
এ সময় সংস্থাটি আরো জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত।
আজ ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, সেদিন আমার কেউ ছিল না। যাদের রেখে গিয়েছিলাম এসে পেয়েছি সারি সারি কবর। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ।
‘কাজেই আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছি। আমাদের হারাবার কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। শুধু একটাই কাজ- বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। যেভাবে আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেই বাংলাদেশই আমি গড়ে তুলতে চাই। আমার বাবার স্বপ্নটাই আমি পূরণ করতে চাই।
বিএনপি-জামায়াত থেকে জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো মানুষের মধ্যে যদি মনুষত্ববোধ থাকে তাহলে জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় জীবন্ত মানুষগুলোকে ওই বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে হত্যা করছে। গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই তাদের কাজ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। তার আদর্শ বুকে নিয়ে ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা উন্নয়ন করি, আমরা সৃষ্টি করি, ওরা ভাঙে, ওরা নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, জনগণের কল্যাণ করতে জানে না। কাজেই ওদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছিল সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মাতারবাড়ী এলাকায়। সেখানে এক জনপদের বদলে যাওয়ার সাক্ষী সাগরপাড়ের অগণিত মানুষের দলে দলে যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন আর জনসভা কেন্দ্র করে সকাল থেকে ছিল মানুষেল স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।
উপচেপড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ জনসভা মাঠে মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। নজিরবিহীন গণজমায়েতে পূর্ণ মাতারবাড়ী টাউনশিপ মাঠ। প্রায় তিন দশক পর মাতারবাড়ী আসা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন সব শ্রেণি-পেশা আর বয়সী মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৯৫ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মাতারবাড়ীবাসীকে, তা বাস্তব করেন সরকারপ্রধান হিসেবে।
এর আগে সকালে দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের গ্যাস বহির্বিশ্বের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি, তাই আমাকে পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি একটি চক্র। আমি ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না।
রিরোধীদলকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। তাদের বলবো, ঢাকায় খুবই উন্নতমানের আই ইনস্টিটিউট করা আছে, সেখানে মাত্র ১০ টাকা টিকিট কেটে চক্ষু পরীক্ষা করে নেবেন।
তিনি আরও বলেন, আজ দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গর্বের দিন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। গত ১৫ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেসব বিরোধী দলীয় নেতাদের চোখে পড়ে না, তাদের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি যে আমাদের বিরোধী দল, তারা আমাদের উন্নয়নটা চোখে দেখে না, এগুলো বলার কিছু নাই। চোখ থাকতে যারা অন্ধ হয় তাদের আর কী বলব।
‘তাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি- আমি কিন্তু ঢাকায় খুব আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি, চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তারা সেই আধুনিক আই ইনস্টিটিউটে যেয়ে চোখটা দেখিয়ে আসতে পারেন। মাত্র ১০ টাকার টিকিট লাগে, বেশি লাগে না। আসলে তাদের চোখের দোষ না, মনের দোষ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৪টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দেবপুর উপজেলায় ট্রাকে বাসের ধাক্কা লাগার পর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ভিক্টোরিয়া কলেজের ৭০ জন শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় বাসে আগুনের ধোঁয়া দেখে লাফিয়ে নেমেছে তারা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজে যাত্রা করে সুগন্ধা বাস। বুড়িচং উপজেলার দেবপুর বাজারে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি।
দুর্ঘটনার পর তিন মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন দেবপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাস থেকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামছে ছাত্রীরা। বাসের ইঞ্জিনে আগুনের ধোঁয়া। বাসের সামনের গ্লাস ভাঙা। এসময় উপস্থিত মানুষজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ড্রাইভার আটকে আছে, তাকে বের কর। তোমরা লাফাইও না। বাসে আগুন লাগবে না।’
স্থানীয়রা জানায়, বাস ব্রেক ফেল করে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসের ইঞ্জিনে আগুন ধরে।
এ বিষয়ে সুগন্ধা বাস মালিক মো. সালাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, চালক আটকে গেছে। তার পা কেটে গেছে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কেউ আহত হয়নি।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, বাসটি আমি দেখেছি। বাসের ক্ষতি হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হতাহতের খবর আমরা পাইনি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার বিকেল ২টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকা বেগম জিয়ার সফরসঙ্গী ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার ভোর রাতে কাতারে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন রাষ্ট্রদূত।
কাতারে যাত্রাবিরতির পর বাংলাদেশ সময় ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সেখানে সাড়ে সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমানের সাথে দেখা হবে খালেদা জিয়ার। সফরে চিকিৎসকসহ ১৫ জন খালেদা জিয়ার সঙ্গী হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সিঁথি রহমানও আছেন।