চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া বলেছেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টায় তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কড়া নজরদারীর কারনে এবার রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। মহাসড়কগুলোতে কোন ধরনের যানজট ছিলোনা। মানুষ নির্বিঘ্নে মার্কেটগুলোতে কেনা-কাটা করতে পেরেছে। ঈদ-উল ফিতরের আগেও পরে সদর উপজেলায় কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যদি যে যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তিনি বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে ও অবৈধ দখলবাজদের কবল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাত উদ্ধার করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদেরকে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, কাউতলী ব্রীজের দক্ষিণপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি স্ট্যান্ডটিকে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সীমনা সড়কে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধে ও হ্যালমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে হলে বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকদের সহযোগীতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শহরের ছিনতাই কমেছে, তবে সম্প্রতি শহরের কয়েকটি বাড়িতে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। সকলের সহযোগীতা ছাড়া মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা এনজিও ফোরামের সমন্বয়ক এস.এম. শাহীন, উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান শফিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রনে পর্যাপ্ত ট্রাফিক মোতায়েন, শহরের দক্ষিণ পৈরতলা মোড়, বিরাসার বাসস্ট্যান্ড ও গোর্কণঘাট এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে বাজারগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান জোরদার করার বিষয়ে তাগিদ দেন ও এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেন।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামীসহ, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধিগণ ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বিজেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম,এ, এইচ,মাহবুব আলম।
পরিষদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোঃ শাহাদত খাঁন,বিজশ্বর আবদুল মোনেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজী সেলিম রেজা প্রমুখ। পরে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আপলাইনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক স্লিপার ভেঙে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত এবং স্লিপার পরিবর্তন শেষে দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত ৭টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়। তবে, আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সাড়ে ১০টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চালের দর নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাস্ক ফোর্স বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজারে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদকে সামনে রেখে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই বাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এ অবস্থায় অভিযানে নেমেছে টাস্ক ফোর্স। এ অভিযানে চালের ক্রয়মূল্যের রশিদ না থাকা এবং মজুতের সঠিক তথ্য না দিতে পারায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, ইতোপূর্বে কয়েকটি অবৈধ চালকলে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযানে নেমেছে টাস্কফোর্স। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে অল্প জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মজুত আইনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃ রিফাতুল ইসলাম নামের (১১) বছরের বালক মধ্যপাড়া দারুল ফিকরি ইসলামি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হারিয়ে গেছে। গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। রিফাতুলের তার গায়ের রং-ফর্সা, শারীরিক গঠন : হালকা পাতলা, উচ্চতা : ৪ফুট ৫ ইঞ্চি, হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পড়নে ছিল মিস্টি কালারের পাঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা এবং একটি কোরআন শরীফ ছিল। এ ব্যাপারে রিফাতুলের বাবা মোঃ শিপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে (যার নং-৫৫৪/২৪, তারিখ :২৩/৮/২৪ ইং। কেউ মোঃ রিফাতুল ইসলামের সন্ধান পেলে অনুগ্রহপূর্বক যোগাযোগ করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন তার বাবা মোঃ শিপন মিয়া। যোগাযোগের ঠিকানা : মোঃ শিপন মিয়া, পিতা-মৃত মোঃ আমির হোসেন, সাং-চড়পাড়া, থানা-গৌড়িপুর, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা- মধ্যপাড়া, দিঘীর পাড়, মৃত মোঃ সাইমুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। মোবাইল : ০১৯৭৬-৩৯৯০২৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।