চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত প্রবেশের চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর সীমান্তের কাউহাটি এলাকা থেকে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলো : গৌতম চন্দ্র দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী কবিতা রাণী দাস (৪৫)।
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সস্ত্রীক ভারত গমনের চেষ্টা করছিলেন গৌতম। পরে বিজিবির টহলরত সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, ভারতের আগরতলায় বসবাসরত গৌতম চন্দ্র দাসের শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করায় তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে এক ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মাটির কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২ টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ভেকু জব্দ করেন ও নদীর পাড়ের মাটি কেনার দায়ে পার্শ্ববতী মেসার্স জামান বিকস্ ফিল্ডের কর্মচারী মোঃ সালেক (২৬) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ, বুধন্তী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার বণিক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ঝটিকা অভিযানে পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতের নাম সুভাষ মল্লিক (৪৮) পিতা:-মৃত- সুকুমার মল্লিক, গ্রাম- সাতবর্গ, ইউপি বুধন্তি, থানা:- বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া.
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২৯ মার্চ বিকাল প্রায় ৪ টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ৯ নং সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব দিকে মনতলা – সাতবর্গ রাস্তায় মল্লিক সাউন্ড সিস্টেম দোকানে ইসলামপুর ফাঁড়ির এসআই আক্কাস সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে ৮৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নগদ ১৫৯৫ টাকা এবং ইয়াবা সেবনের এক রুল ফুয়েল পেপার উদ্ধার করে ও সুভাষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে ।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, সুভাষ মল্লিকের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা রয়েছে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী, এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান ওই এলাকা গুলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাতা শামীম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পেটুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শামিম মিয়ার বিয়ে হয়। নাহিদা আক্তার ও শামিম মিয়ার সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর নাহিদা আক্তার তার স্বামী শামিম মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর পর তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে না গেলে শামীম তার বাবা হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাহিদা আক্তার এরই মধ্যে পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে ফের কলহ শুরু হয়। এরই জেরে ৩ নভেম্বর শুক্রবার নাহিদা আবার বাবার বাড়ি চলে আসেন। নাহিদাকে ফিরিয়ে নিতে শামীমের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি আসে। কিন্তু শামীমের সংসারে নাহিদা আক্তার ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরই জেরে ভোরে শামীম শ্বশুর বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তিতাস নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে আটক করে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া গ্রামের তিতাস নদী থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাহ আলম, আজগর আলী, শুক্কুর আলী, খায়রুল কবির, নজরুল ইসলাম, ইয়াছিন মিয়া ও আল আমিন। তারা ড্রেজারের চালক ও শ্রমিক।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, একটি চক্র উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া (ছোট মেরাসানী) গ্রামে তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় উক্ত আইনের ১৫(১) ধারায় আটক ৩ জনকে ৪দিন করে এবং ৪ জনকে ৩দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করে উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির জিম্মায় দেয়া হয়। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন ওই কর্মকর্তা। টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান’র সহায়তায় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিয়ন পদে খণ্ডকালীন কর্মরত অবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয়। পরে তিনি স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাবার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার নিকট শরণাপন্ন হন। তাকে উপজেলার বুল্লা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকতা। একজন নিরাপত্তা প্রহরী আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকীসহ ৪ জন আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সকল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হয়। পরে আইডি কার্ডের সাথে সকল কাগজের তথ্য ভুল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করলে চাকরি দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত সংশোধনের কথা বলে আরো ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে আবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। এরই মধ্যে বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিটন দেব ও সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুক ভুইয়ার মাধ্যমে দুই ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু করেছেন অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ আছে বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমার কথা বলে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।