অনলাইন ডেস্ক :
এখন চলছে বৈশাখ মাস। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসী। এমন গরমে এসির শীতল পরশ অনেকের জন্য স্বস্তির হয়। কিন্তু সব সময় এসি কেনা বা চালানো সম্ভব হয় না। তবে এসি ছাড়াই কিছু কিছু সহজ এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করলেই আপনি গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজ সেই উপায়গুলো-
সঠিকভাবে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করুন: অনেকেই জানেন না সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণনের দিক বদলালেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গ্রীষ্মকালে ফ্যানের ঘূর্ণন যেন ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে হয়, তা নিশ্চিত করুন। এতে ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে চলে আসে এবং ঘরের পরিবেশ অনেকটাই আরামদায়ক হয়।
রাতের ঠাণ্ডা বাতাস কাজে লাগান: দিনের প্রচণ্ড রোদে জানালা বন্ধ রাখুন। কিন্তু রাতে যখন বাইরের তাপমাত্রা কমে আসে, তখন জানালা খুলে দিন। শীতল বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন এবং গরম বাতাস বেরিয়ে যেতে দিন। পরদিন সকাল পর্যন্ত জানালা বন্ধ রাখলে ঘরের ভেতরের ঠাণ্ডা পরিবেশ বেশিক্ষণ টিকে থাকবে।
বরফ আর ভেজা কাপড়ের ব্যবহার: বরফের সাহায্যে ঘর ঠাণ্ডা রাখার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ফ্যানের সামনে বরফের বাটি রাখা। বরফ গলতে গলতে ঠাণ্ডা বাতাস তৈরি করে, যা ফ্যানের মাধ্যমে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। চাইলে জানালায় ভেজা তোয়ালে বা চট ঝুলিয়ে দিয়েও একই ধরনের শীতল প্রভাব পাওয়া যায়।
গাছ দিয়ে ঘর রাখুন ঠান্ডা: ঘরের ভেতরে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের গাছ রাখলে তা প্রাকৃতিকভাবেই তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা, মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছ ঘরের বাতাস শুদ্ধ করে এবং পরিবেশ শীতল রাখতে ভূমিকা রাখে। এগুলোর পরিচর্যা করাও সহজ।
জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগান: জানালা দিয়েই বেশি তাপ ঘরে প্রবেশ করে। তাই জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগালে সূর্যের তাপের প্রবেশ অনেকটাই কমে যায়। এতে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা বেশ নিয়ন্ত্রিত থাকে, আর এসি ছাড়াই তুলনামূলক শীতল পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হয়।
মোটা ও হালকা রঙের পর্দার ব্যবহার: গাঢ় রঙের মোটা পর্দা রোদ আটকাতে কার্যকর হলেও, বেশি গরম জায়গায় হালকা রঙের মোটা পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। কারণ হালকা রঙ সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে দেয়, ফলে ঘর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকে। সুতরাং পর্দা বাছাইয়ের সময় শুধু রং নয়, কাপড়ের গুণও খেয়াল রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন: কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে তা শুধু কাজই করে না, বরং বাড়তি তাপও উৎপন্ন করে। তাই যেসব ডিভাইসের প্রয়োজন নেই, সেগুলো বন্ধ রাখুন। এতে ঘরের গরমভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।
বরফের অতিরিক্ত ব্যবহার: বরফের আরেকটি উপায় হলো বড় পাত্রে বরফ রেখে তা ঘরের মাঝখানে রাখা। পাত্রের উপর দিয়ে ফ্যানের বাতাস চালালে ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে দুপুরের তীব্র গরমে এটি বেশ কার্যকর।
প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দিন দিন গরম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় শুধু এসি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। বরং প্রাকৃতিক ও টেকসই পদ্ধতিতে জীবনযাত্রা সহজ ও স্বস্তিদায়ক করে তুলতেই হবে।
এসি ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের এবং পরিবেশের উভয়ের উপকার করতে পারবেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মানুষের মনকে জয় করার শুভেচ্ছা বার্তা মানেই ফুল। হোক প্রেমিক-প্রেমিকা বা প্রিয়জন। আর সেই ফুলের নামই হচ্ছে গোলাপ। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলের ‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস। এই ফুলের রয়েছে কয়েকটি রং। তবে সম্পর্কের ভেদেই দিতে হবে এই ফুল। তাই জেনে নেয়া যাক কোন গোলাপ কাকে দিবেন।
১. সাদা গোলাপ– ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক।
২. কমলা গোলাপ– পছন্দ জানানোর প্রতীক।
৩. হলুদ গোলাপ– বন্ধুত্বের প্রতীক।
৪. গোলাপি গোলাপ– সেরা বন্ধুত্বের প্রতীক।
৫. লাল গোলাপ– ভালোবাসার প্রতীক।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গোলাপ দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করা হয় দিনটি। এর সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে কানাডায়।
অনলাইন ডেস্ক :
কিছু জিনিস আছে, যেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় আশপাশে বা বালিশের কাছে রাখলে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শুধু ঘুমের ওপরই নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সারা দিনের ক্লান্তির পর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো প্রশান্ত ও গভীর ঘুম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এটি লক্ষণীয় যে এতে শুধু ঘুমের ঘণ্টাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমানোর উপায়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কাছে একটু অবাক লাগতে পারে যে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু তার চারপাশের জিনিসগুলো আপনার ঘুম ও স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, হ্যাঁ। আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় এমন কিছু জিনিস আপনার আশেপাশে রাখেন, যেগুলো আপনার ক্ষতি করতে পারে।
কী সেই জিনিস, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা
আজকাল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই এগুলো থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বও সহ্য করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় এই ডিভাইসগুলো আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নীল আলো ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত করে, যা শুধু আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের জিনিস না রাখা
সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে যখন বিছানায় আসেন, তখন সাধারণত কাজ ভুলে যেতে চান এবং একটি ভালো ঘুম পেতে চান। এমন অবস্থায় ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার বিছানার আশেপাশে অফিস বা অন্য কোনো কাজ সংক্রান্ত কোনো জিনিসপত্র রাখা নেই।
আসলে এর পিছনে একটি বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। যখন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো আপনার চারপাশে উপস্থিত থাকে, তখন মনোযোগ কাজের দিকে চলে যায়। এটি মানসিক চাপ ও খারাপ ঘুমের কারণও হয়।
অকেজো জিনিস না রাখা
ভালো ও গভীর ঘুমের জন্য আশপাশের পরিবেশও একই রকম হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানোর আগে ঠিকমতো বিছানা প্রস্তুত করতে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করুন। এ জন্য বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসগুলো ঠিক করুন। বিছানা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন এবং দূরে রাখুন। আশেপাশে নোংরা বাসন, ময়লা কাপড়, ওষুধ, কাগজপত্র বা খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ঘুচিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সময় ভালো লাগবে এবং ঘুমও ভালো হবে।
নরম খেলনা নিয়ে ঘুমাবেন না
শুধু শিশুরা নয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্করাও কখনো কখনো ঘুমানোর সময় তাদের সঙ্গে একটি বড় টেডি বিয়ার বা কিছু নরম খেলনা রাখেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, নরম খেলনাগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি ও আর্দ্রতার কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জমে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে প্রিয় সফট টয় ছাড়া ঘুমাতে না পারলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
ডায়েট ও জিম আরই ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা করলেও ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানি খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গরম পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং হজম শক্তিতেও দারুণ সাহায্য করে।
অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টিবিদ রাইজ উইথ টিগান জানান জিমে না গিয়ে কোনও কড়া ডায়েট না করেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন? নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি সেই সিক্রেট ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
ওজন কমানোর ৫ টিপস জেনে রাখুন
ক্যালোরি কমানো: নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিগান জানিয়েছেন, তিনি দিনে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা তার নিজের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদার থেকেও কম। সেই জন্যও ডায়েটেও বদল এনেছেন তিনি।
বাড়িতেই শরীরচর্চা: মেদ ঝরাতে একটু ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। তবে তার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি শরীর না দিলে প্রতিদিন করতে হবে না। টিগান জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার ৩০ মিনিটের জন্য কঠিন শরীর চর্চা করেন।
নিজের যত্ন নিন: রোগা হবেন নিজের শরীর, মন সম্পর্কে সচেতন হবেন না, যত্নশীল হবেন না তা কখনও হয় নাকি। টিগান জানান, মানসিক চাপ কমাতে, প্রতিদিন যোগা, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা এবং ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমোনো নিশ্চিত করতেই হবে।
হাঁটা বাড়ান: মেদ ঝরাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে একদিনে অনেকটা হাঁটা যায় না। তাই ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা বাড়ান। প্রথমে ৫০০০ পা তারপর ১০,০০০ পা এইভাবে নিয়মিত একটু করে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
নিজের দিকে মনোনিবেশ করুন: টিগান জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করার পরে আর অন্যরা কী করছেন সেই দিকে নজর দেননি। এমনকি বাকিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন না সেই ভাবনাও ভাবেননি। কেবল নিজের জীবন, নিয়মের দিকেই মন দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ নিজেরাও বাকিরাও তাই করুন, নিজের ওপর ভরসা রাখুন, আর নিয়ম মেনে চলুন, সাফল্য আসবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিদিন এর ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে ইদানীং অনেকেই ভুগছেন পিঠের ব্যথায়। কিন্তু জানেন কি–ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে?
সারা দিন চেয়ারে বসে কাজকর্ম করতে গিয়ে আমাদের শরীরে জেঁকে বসে নানা রোগব্যাধি। পেশিতে টান ধরা, হাত-পায়ের যন্ত্রণা, হাড়ের বিভিন্ন রোগ–এসব তো আছেই; কিন্তু দিনের একটা বড় সময় চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে পিঠেও শুরু হয় ভীষণ যন্ত্রণা।
দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসে কাজ করেন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে। রয়েছে বাড়ির হাজার কাজ। ফলে রাতে যখন বিছানায় গিয়ে বালিশে মাথা ঠেকান, সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে যায় নানা অঙ্গে ব্যথা। বিশেষ করে পিঠের ব্যথা। ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। বিভিন্ন বয়সের মানুষজন এ সমস্যায় এখন নিয়মিত ভুগছেন।
ব্যথা-বেদনা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ‘পেইন কিলার’ বা ব্যথার ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এভাবে নিজের মর্জিমতো ওষুধ ক্রমাগত খেলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার বদলে উপায় থাকলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে একটি মসলা, যা নিয়মিত খেলে কমতে পারে পিঠের ব্যথা।
একটি মসলায় মিলতে পারে এ সমস্যার সমাধান। নিয়ম করে তা খেতে হবে। তাহলেই আর সারা দিন ঘাড় নিচু করে কাজ করলেও কষ্ট হবে না।
কোন মসলায় কমে ব্যথা?
দারুচিনিতে রয়েছে নানা ধরনের উপকারী উপাদান। তাতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক সব রয়েছে। থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। সব কটি উপাদান মিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে তৈরি হওয়া ক্ষত ঠিক করে। কমতে শুরু করে সব ধরনের ব্যথা।
কীভাবে খাবেন?
সাধারণত বাঙালি বহু রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তা নিয়মিত খাওয়া হয়ে ওঠে না। নিয়ম করে দারুচিনি খেতে হলে চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে খানিকটা আরাম মিলবে। রোজ সকালে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে চা খান। ক্রমেই কমতে থাকবে ব্যথার সমস্যা।
অনলাই ডেস্ক :
দিনটা আপনি কখন এবং কিভাবে শুরু করছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সকালে আপনি নাশতা কী খেয়ে শুরু করছেন তা ঠিক করে দেয় সারাদিন আপনি কতটা এনার্জি পাবেন। সে কারণে ভোরে উঠেই আপনি কী খেয়ে দিন শুরু করছেন, বিশেষজ্ঞরা তার ওপর জোর দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ভোর যদি হয় খালি পেটে পানি খেয়ে, তাহলেই তা দুরন্ত শুরু। কিন্তু এর সঙ্গে যদি যোগ করেন কুসুম গরম লেবু–পানি, তবে তা আরও ভালো। বলা হয়, খালি পেটে গরম পানি হজমশক্তি বাড়ায়, জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সঙ্গে নানা স্বাস্থ্যসুবিধা তো আছেই। এর সঙ্গে মাত্র এক চা–চামচ লেবুর রস যোগ করলে এই পানীয় অঙ্ক গুণাবলীতে ভরপুর হয়ে ওঠে। কুসুম গরম লেবু–পানি স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক: হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: বলা হয়, একদিকে কুসুম গরম পানি আমাদের হজমপ্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে লেবুর রস পিত্তরসের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরকে খাদ্য ভাঙতে সাহায্য করে হজম সহজ করে।
ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর রসে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে যকৃৎকে আরও কার্যকর করে তোলে। অন্যদিকে গরম পানিও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীরে জলযোগ করে: সারা রাত অনাহারে থাকার পর সকালে আমাদের শরীর পানিশূন্যতায় ভোগে। এ সময় কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরে পানিযোগ করে আমাদের সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে, যা সারা দিনের রসদ জোগায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: এটা প্রমাণিত যে লেবুর রসে পেকটিন নামের একধরনের আঁশজাতীয় উপাদান থাকে, যা আমাদের ক্ষুধা কমায়। যখন এর সঙ্গে গরম পানি যুক্ত হয়, তখন তা শরীরকে আরও পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়। এভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। ত্বককে করে উজ্জ্বল দীপ্তিময়: লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। এসব শরীরের কোষ ধ্বংসকারী ফ্রি র?্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ত্বকের দাগ দূর করে এবং ত্বককে করে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়। প্রচুর পানি খেলেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়, ত্বকে আসে উজ্জ্বল আভা। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: লেবুর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরকে ঠান্ডা-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দেহকে ক্ষারীয় করে: লেবুর স্বাদ অম্লীয় হলেও এর ক্ষারীয় ধর্ম আছে। এটি শরীরকে ক্ষারীয় করে বিপাকক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। এই পানি পিএইচের মাত্রা ঠিক রেখে অম্লের সমস্যা দূর করে। বাসায় যেভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি বানাবেন: প্রথমে একটি পাত্রে কিছু পানি কুসুম গরম করুন। তা গ্লাসে ঢেলে এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। ভালোভাবে নাড়ুন। ব্যস, এবার খেয়ে ফেলুন!