চলারপথে রিপোর্ট :
যুব ও ক্রীড় মন্ত্রনালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার সদর উপজেলার সিও অফিস পুকুরে (অনুর্ধ্ব-১৪) বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার।
এসময় প্রশিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশ, নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহিম সাগর প্রমুখ।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আলীয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬জন বালক ও বালিকা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভুলেই গিয়েছিলাম বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ও সম্মাণজনক সম্মাণী ভাতার ব্যবস্থা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয়বাংলা আবারো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার ও চেতনার মানুষদের ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করতে হবে।
আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলুর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির নেতা সাইদুজ্জামান আরিফের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজি রতন মিয়া, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশা আয়োজিত জেলা মৎস্য অফিস হলরুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা এর এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ফিসারিজ) সবুজ কুমার চৌধুরী।
আশা’র সিনিয়র জেলা ম্যানেজার মো: আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা টেকনিক্যাল অফিসার (কৃষি) সোহাগ আলম এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, জেলা খামার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল।
উপজেলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: ছায়েদুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আশা’র জেলা রিজিওনাল ম্যানেজার মো: আব্দুল হাকিম, সাংবাদিক খন্দকার আলমগীর হোসেন সহ আরো অনেকেই।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাডিয়া সদর, নবীনগর, কসবা ও আখাউড়া উপজেলার মোট ৩০ জন মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টি,এ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমনের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী,কার্যরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আ ফ ম কাউসার এমরান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা দুই সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা এবং পরষ্পরের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সব শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সহধর্মিনীর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামির আশু রোগ মুক্তি কামনায় সহ সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ভারতে জহরলাল নেহেরু ও ইন্দিরা গান্ধীর নামে আর্ন্তজাতিক শান্তি পুরষ্কার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামেও আর্ন্তজাতিক শান্তি পুরষ্কার করা যেতে পারে এবং সেটি হওয়া উচিত।
কারণ শান্তির জন্য নিবেদিত প্রাণ একটি মানুষ জীবন দিলেন শান্তির বেদীমূলে। জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি মানুষের কল্যানে, সেই মানুষটির নামে শান্তি পুরষ্কার করা যেতেই পারে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আর্ন্তজাতিক শান্তি পদক ঘোষনা করার কথা ব্যক্ত করেছেন। এতে আমি অনেক খুশী।
তিনি বলেন, এই দিবস পালন করে কিছু হবেনা, আমরা যদি মুজিব আর্দশে দীক্ষিত না হই। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ সবাইকে ধারণ করার জন্য আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ২১ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে একটি শোভাযাত্রা পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বিক্রয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল দেয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ৪৯৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।
রবিবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কালভৈরবসহ ৩টি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, এজন্য জোরালো ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও বলেন, টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ডিলার ব্যতীত খোলা বাজারে ক্রয় বিক্রয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডিলার মোঃ আলী মিয়া প্রমুখ।