অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও পাঁচটি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল আজ। যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
এরপর মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুয়ে। মিরাজের ৫ উইকেট আর তাইজুলের ৩ উইকেটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে পাঠানো তো দূরের কথা, থামে ১১১ রানে। এতে বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। এতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
আজ বুধবার ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন মিরাজ।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে আরেকটি ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আজ ২৮ আগস্ট বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয়, গ্রুপপর্বে হারের প্রতিশোধ এবং প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, এ যেন ‘এক ঢিলে তিন পাখি মারলো’ বাংলার যুবারা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে গোল পায়নি স্বাগতিক নেপাল। বিপরীতে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে গোল নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরও দুই গোল করে। শেষ দিকে এসে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি। এরপর বাংলাদেশ আরও এক গোল পায়। তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মিরাজুল ইসলামের জোড়ায় বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে। মিরাজুল দুটি ছাড়াও রাব্বি হোসেনের গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এছাড়া চতুর্থ গোলটি এসেছে পিয়াস আহমেদ নোভার লক্ষ্যভেদে। এ নিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশের দুটি শিরোপা এলো। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে সিলেটে ট্রফি জিতেছিল সাদউদ্দিনরা। আর বুধবার কাঠমান্ডুতে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া কাঠমান্ডুর মাঠ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত।
১৯৯৯ সাফ ফুটবল (এস এ গেমস), ২০২২ সালে মেয়েদের সাফের শিরোপা এসেছিল। মাঝে নারীদের বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা ঘরে ওঠে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই প্রতিপাদ্যের মধ্যে দিয়ে আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় আন্ত: উপজেলা অ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সামছুর রহমান।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফুটবলার মহিম চৌধুরী, ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটন, আতাউর রহমান ইয়াকুব প্রমুখ।
গ্রামীণ খেলার প্রতিযোগিতা এর ইভেন্ট সমূহের মধ্যে ছিল বালক এবং বালিকা অনুর্ধ্ব-১৬ এর ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, মোরগ লড়াই এবং ৪০০ মিটার রিলে দৌড়। বালক এবং বালিকাদের উম্মুক্ত ইভেন্ট ছিলেন ১০০ এবং ৪০০ মিটার দৌড়, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ। এসময় কজেলসহ প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসব ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করেন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, ভাল মনের মানুষ, ভাল খেলোয়াড় হতে হলে লেখাপাড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। আমরা নিজেকে বদলাতে পারলে দেশ, পৃথিবী অবশ্যই বদলে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাহমিনা আক্তার বলেছেন, আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি। কাবাডি খেলাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বেশি বেশি প্রতিযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, খেলাধূলা মানুষকে প্রাণবন্ত করে এবং মানসিক বিকাশের সহায়তা করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গকে সমৃদ্ধি করতে হলে খেলাধূলায় প্রতিযোগি হতে হবে।
আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের পৃষপোষ্টকতায় টেংকেরপাড় লোকনাথ দিঘীর ময়দানে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে আন্ত: উপজেলা যুব কাবাডি অনুর্ধ্ব-১৮ (বালক বালিকা) কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমির আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, ক্রীড়াবিদ বাকের মোশাররফ, মোঃ আজিম, আতাউর রহমান ইয়াকুব, মোঃ আজাদ, সাংবাদিক আবুল হাসনা রাফি প্রমুখ। কাবাডি প্রতিযোগিতায় জেলার ৯টি উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ৭টি বালক এবং ৩ বালিকা দল অংশ গ্রহণ করেন। বালিকাদের মধ্যে সরাইলকে হারিয়ে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বালকদের মধ্যে সদর উপজেলাকে হারিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় ক্রীড়ামোদি দর্শক উপস্থিতি ছিলেন ব্যাপক।
অনলাইন ডেস্ক :
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। অর্থাৎ সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই টাইগারদের। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, এবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না লিটন দাসের দল। মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সকলটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। চার বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস (১)। এতে করে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুইজনের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়।
এ দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এছাড়া, ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এতে কোনো রকমে একশ রান তুলে অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এ ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি আর কারো নেই। মিরপুরে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। ৪ বলে ৬ রান করেন সায়িম। পরের ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানান সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয় ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় তারা।
মিরপুরের আজকের উইকেটে যেন ফিরে এসেছিলেন পুরোনো মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার আর কাটার পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানিদের। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। এ ছাড়া তাসকিন পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তানজিম সাকিব ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৯.৩ ওভারে ১১০/১০
বাংলাদেশ : ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।