চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অভিযানে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার চশমা জব্দ করেছে। আজ ৩০ এপ্রিল বুধবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর একটি টহল দল নামক স্থানে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে এই চশমাগুলো জব্দ করে।
বিকালে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নোয়াহাটী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় এসব চশমা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত মালামালের মোট সিজার মূল্য ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ টাকা। জব্দকৃত চশমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৩,৩৩৬ পিস ভারতীয় বেবি চশমা, ১,৫৭৫ পিস ডানম্যাক লাক্সারি চশমা, ১,৬৯১ পিস জিরো বয়েজ চশমা, ৯৬০ পিস লন্ডন চশমা, ৮৪০ পিস কিং চশমা।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান রোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়। ভবিষ্যতেও মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাল ভরাট করার অভিযোগে মোবারক নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, খাল ভরাট করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মোবারককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে খালটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। তা না হলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে শহরের শেখ হাসিনা সড়কে তিতাস সেতু থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ সহ দৌড়বিদরা অংশ গ্রহণ করেন।
আয়োজক ও অংশ গ্রহণকারিরা জানান, সুস্থ দেহ এবং সবল মনের জীবন গড়তে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে আরো বৃহৎ প্রতিযোগীতার কথা জানান আয়োজক সহ সংশ্লিষ্টরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জৈষ্ঠের প্রচন্ড দাবদাহে ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই শুরু হয় ম্যরাথন।
শহরের শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতু থেকে দৌড় শুরু করেন প্রতিযোগীরা। পরে মনিপুর সেতু ঘুরে আবারো তিতাস সেতুতে এসে ১০ কিলোমিটার দৌড় শেষ করেন অংশ গ্রহণকারিরা। সুস্থ, দেহ সবল মনের জন্যে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া শাহআলম পাটোয়ারি জানান, আমি সরকারী কলেজের ছাত্র। আজ এই প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে আমি অনেকটাই খুশি। আমি মনে করি প্রত্যেকের জীবন সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন আমরা সবাই প্রতিদিন দৌড়াই।
অপর প্রতিযোগী আমির হোসেন জানান, আমি পাঁচ কিলোমিটার প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেছি বেশ ভাল লেগেছে। এমন আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক অলি আহাদ রতন জানান, ” আমরা সুস্থ দেহ সবল মনের জন্য এবং মাদক থেকে দূরে রাখার জন্যে এবং সুস্থ দেহ সবল মনের জন্যেই এই আয়োজন। আমরা আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করব।
দৌড় প্রতিযোগীতাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা প্রফেসর দিলারা আক্তার, জানান, আমরা বেশ কয়েকবার এমন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। মূলত যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন কবর। গতবার ৪ টি দেশের দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেছিলো। আমরা আশা করি এবার আরো বেশি দেশের মানুষ আমাদের আয়োজনে অংশ নিবে।
ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় মোট দুটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বয়সী ১৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার পুরস্কার তুলে দেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শ্রমিক দলের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সভাপতি মো: দারু মিয়ার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক খোকন। বিশেষ বক্তা ছিলেন শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী ও জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: বাহার চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, শ্রমিকদের অধিকার এবং লাইসেন্স নিয়ে বিগত সরকারের আমলে যে অপকর্ম হয়েছে, যে বঞ্চনার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, তা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরা এই অন্যায় থেকে এই সেক্টরকে মুক্ত করবো। প্রত্যেক রিক্সা চালক লাইসেন্স পাবেন। কোন সিন্ডিকেট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, অবৈধ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তারা বারবার অবৈধ নির্বাচন করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এজন্য তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়েছে। আমরা বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো এই অবস্থা চাই না। যে কাজ করে আওয়ামী লীগ বিদায় হয়েছে, আমরা বিএনপি সেই কাজ করবো না। রিকসার লাইসেন্স রিক্সাওয়ালারাই পাবে, এটা আমরা নিশ্চিত করবো। গরীব মানুষদের জন্য আমরা কাজ করবো। উল্লেখ্য, দুপুর থেকেই মিছিল সহকারে শ্রমিক দলের বিভিন্ন সেক্টরের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে মিছিল সহকারে জনসভায় যোগদান করেন। জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারী পুরুষের জর্দা গুল সিগারেট প্রভৃতি তামাকের ব্যবহার সার্বিক জনস্বাস্থ্য ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিশ্বব্যাপি তামাক নিয়ন্ত্রণের দাবী দিনকে দিন জোরালো হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর এবং সাশ্রয়ী উপায় হলো এগুলোর মূল্য ও সব ধরণের কর বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া।
এহেন অবস্থায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে সারাদেশের মতো আজ ১ মে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তামাক বিরোধী জোটের সদস্য এবং এনজিও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কমরেড নজরুল ইসলাম, মোঃ মুকুল ইসলাম, মোঃ শফিকুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রাহিম, মোঃ নুরুল্লাহ, সরোয়ার্দী মৃধা, এস.এম. জুনায়েদুল ইসলাম, এস.এম. মুজাহিদুল ইসলাম, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, মোঃ মাসুম মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষকগণ কর্তৃক আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য, কর-সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির জন্য দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পেশ করেছেন তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে প্রায় ১৩০০ বন্দীর মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকে এই খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবারের মধ্যে ছিল পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির ফ্রাই ও মাংস, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, সালাদ ও তরমুজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কারা পরিদর্শক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, কারা পরিদর্শক অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলামসহ কারাগারে অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কারাগারে বন্দীদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ছাড়াও নারী-শিশু ছিল। মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উনার পক্ষ থেকে আমরা এসব বিতরণ করেছি।