চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় উঠানে ধান শুকানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচাতো ভাইকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গ্রেফতার শাওন ফকির (২৫) কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে লিটন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার উত্তরা থেকে শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নিজ দলের অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে এখন আবোল তাবোল বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ৮০ জন প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন তার রাজনীতির অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকেন, তখন তারা আবোল তাবোল বলতে থাকে। ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপি এখন আবোল তাবোল বলছে।
হঠাৎ পাহাড় অশান্ত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে জেনে মন্তব্য করবেন। এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। নারীরা এগিয়ে না যেতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে না। তিনি প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নারীদেরকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ৮০ জন নারীর উদ্যোক্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপহরনের দুইদিন পর টেম্পু বেপারী (২৬) নামে এক যুবককে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তিপন বাবদ নেয়া নগদ ১ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত টেস্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মোঃ আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও তিনি ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া (৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন (৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৬)।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুক্তিপন নেয়া নগদ এক লাখ টাকাসহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তিন অপহরণকারী কসবার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কসবাসহ বিভিন্ন থানায় ৮/১০টি করে মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় অভিযান চালিয়ে মো. রুবেল মিয়া (৩৫) নামে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রুবেল নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গরুয়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে রুবেল ব্যবসায?িক দ্বন্দ্বের জেরে রিপন নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন রুবেল (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি নম্বর ৪৩৬৬/এ)।
গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে ৬ আগস্ট জেল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান রুবেল। এ ঘটনায় মামলা কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কারাগার থেকে পালিয়ে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন রুবেল। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের চৌকস দল আসামি রুবেলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
স্ত্রী ও শ্যালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামিউল কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জামতলী এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক সামিউলকে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।