অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর ২ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারপাড় সীমান্তের ৮২৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছ থেকে রিমন ও সাজেদুল ইসলাম নামের ওই দুইজনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। রিমন পাটগ্রামের মোস্তাক হোসেনের ছেলে এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাজেদুল বগুড়া শহরের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সম্পর্কে রিমনের মামা।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মূল খুঁটির ১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে, কাঁটাতারের বেড়ার বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে রিমন ও সাজেদুল টিকটকের ভিডিও তৈরি করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিবি দ্রুত বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে। ফলস্বরূপ, উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনা সম্ভব হয়।
ফেরত আসার পর রিমন ও সাজেদুল জানান, দেশে পৌঁছানোর পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা বিজিবিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারও বিজিবির এই তড়িৎ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজিবি ভারতীয় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে, বিএসএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তাদের হেফাজতে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে রাতেই ফেরত দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক ‘বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি, সততা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আজ ১৯ মে সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা, রচনা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। লটারীর মাধ্যমে বিতর্কের বিষয় ও পক্ষ/ বিপক্ষ নির্ধারণ করা হয়। বিতর্কে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে বিভিন্ন শ্রেণির ২৫ জন শিক্ষার্থী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা’ বিষয়ক রচনা প্রতিযেগিতায় প্রথম হয়েছে অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় হোসনে আরা আফজাল উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আইয়ুব খান। বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ ও সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান।
প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজয়ীরা। প্রধান অতিথি বলেন, বিতর্ক শুনে বুঝতে পেরেছি সরাইলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এই শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক প্রতিভা রয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিরোধ করে এরাই পারবে সরাইলকে এগিয়ে নিতে। এই জনপদের মানুষ খুবই সহজ সরল ও ভালো। প্রত্যেকটি স্তরের লোকজন আমাকে সকল কাজে সহযোগিতা করছেন। আমি এখানে অনেক সাবলিল ভাবে কাজ করছি। সরাইলকে এগিয়ে নিতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া বলেছেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টায় তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কড়া নজরদারীর কারনে এবার রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। মহাসড়কগুলোতে কোন ধরনের যানজট ছিলোনা। মানুষ নির্বিঘ্নে মার্কেটগুলোতে কেনা-কাটা করতে পেরেছে। ঈদ-উল ফিতরের আগেও পরে সদর উপজেলায় কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যদি যে যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তিনি বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে ও অবৈধ দখলবাজদের কবল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাত উদ্ধার করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদেরকে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, কাউতলী ব্রীজের দক্ষিণপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি স্ট্যান্ডটিকে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সীমনা সড়কে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধে ও হ্যালমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দালালমুক্ত করতে হলে বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকদের সহযোগীতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শহরের ছিনতাই কমেছে, তবে সম্প্রতি শহরের কয়েকটি বাড়িতে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। সকলের সহযোগীতা ছাড়া মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা এনজিও ফোরামের সমন্বয়ক এস.এম. শাহীন, উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান শফিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রনে পর্যাপ্ত ট্রাফিক মোতায়েন, শহরের দক্ষিণ পৈরতলা মোড়, বিরাসার বাসস্ট্যান্ড ও গোর্কণঘাট এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে বাজারগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান জোরদার করার বিষয়ে তাগিদ দেন ও এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেন।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামীসহ, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধিগণ ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগ মীমাংসা করতে শনিবার রাত ১০টায় শিশুটির বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন গ্রামের কয়েকজন মাতবর।
বৈঠকে উভয় পক্ষের সদস্যদের দ্বারা গঠিত জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৃদ্ধের পক্ষে ২ হাজার টাকা সালিশের সভাপতির কাছে জমা দিয়ে রায় কার্যকরও করা হয়েছিল। কিন্তু রাত ২টার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি টিম সালিশ বৈঠকস্থলে পৌঁছলে সালিসদাররা পালিয়ে যান। সেখান থেকে শিশুটির মুখে ধর্ষণের বর্ণনা শুনে বৃদ্ধ আবাদ উল্যাহকে আটক করা হয়।
গতকাল রবিবার দুপুরে নির্যাতিত শিশুটির মা বাদী হয়ে আবাদ উল্যাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালমাই থানায় মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিত শিশুটি স্থানীয় একটি মহিলা মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভুশ্চি গ্রামের হিরন মিয়ার পরিত্যক্ত রান্না ঘরে শিশুটিকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বৃদ্ধ আবাদ উল্যাহ।
১০ দিনের ব্যবধানে একইভাবে শিশুটিকে তিনি তিনবার ধর্ষণ করেন। গত ৭ মার্চ দুপুরে বাড়ির অন্য শিশুদের মাধ্যমে জানতে পেরে তার মা জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি ধর্ষণের বর্ণনা দেয়।
সালিশ বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ও ভুশ্চি গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান মিন্টু বলেন, গ্রামের গণ্যমান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে সালিশ বৈঠক হয়েছে। শিশুটির ঔষধ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা রায় করেছিল সালিশের বিচারকরা। বৃদ্ধের পক্ষে সর্দারের কাছে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে রায়ও কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার দিবাগত রাত ২টায় সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে গেলে সালিশ বৈঠক সমাপ্ত হয়ে যায়।
ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক রেদোয়ান হোসেন বলেন, লালমাই আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম যাওয়ার পর খবর পেয়ে আমরা শিশুটির বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবারের কথা শুনে আমরা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আমরা যাওয়ার আগে বাড়ির উঠানে সালিশ বৈঠক চলছিল বলে শুনেছি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ভিকটিমকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুন্দরগঞ্জে বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক খুচরা সার ব্যাবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পিনুর মোড় থেকে এ সার উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মৃত আবু হোসেনের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দ হওয়া সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘর মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যব্স্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যতটুকু জানি এ সারগুলো ডিলার ননি গোপাল সরকার এবং মৃত প্রদীপ সরকারের। তাদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজারে এবং আরেকটি গোডাউন রামজীবন ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কিভাবে এলো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা বাফার গোডাউনের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন।
জানা যায়, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাক যোগে বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধারকৃত সারগুলো চড়া দামে কালো বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপন বলেন, প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দকৃত সার একসাথে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার তার ম্যানেজারকে দিয়েছি। সারগুলো এখানে কি ভাবে এলো বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবে।
ডিলার মৃত প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ম্যানেজার জয়ন্ত বলেন, অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিলো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুদকৃত ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় আছে। পরর্বতীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট:
ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক ফায়ার ফাইটার মো. সজিবুল ইসলাম (২৩)। এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৪ মে রবিবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায়।
সজিবুল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন তিনি। নিহত সজিবুলের পাঁচদিন বয়সী সন্তান রয়েছে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে কুমিল্লাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল চালক সজিবুল নামে একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে।