চলারপথে রিপোর্ট :
৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষে বাঞ্ছারামপুর যুব রেড ক্রিসেন্ট টিম আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“আশা জাগানিয়া মানবতা” শ্লোগানে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাঞ্ছারামপুর আধুনিক অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর যুব রেডক্রিসেন্টের দলনেতা ইমন হাসান ও সঞ্চালনায় ছিলেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো. নাসির আহমেদ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিভাগীয় প্রধান মো. রাসেল মিয়া, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক আমিন উদ্দিন, এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এরশাদুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিদনী বেগম, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সংগঠক মো. ফয়সাল, মোহাম্মদ আলী, আফসারুল, নাঈম, আরিফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, মো. সবুজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সিয়াম ও রমিজ নামে দুইজন টেটাঁবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মধ্য পাড়ার পোড়া বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্যান্য আহতরা হলেন- আরিফ হোসেন, আক্তার হোসেন, মতিন মিয়া, সুবর্না বেগম, দেলোয়ার হোসেন। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ফরদাবাদ মধ্যপাড়া পোড়া বাড়ির হানিফ মিয়ার কাছ থেকে পুকুর পাড়ে দুই শতক জমি ক্রয় করেন মতিন মিয়া। এ নিয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে রমিজদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে পুকুর পাড়ের আম গাছ থেকে মতিন মিয়া ও তার ভাতিজা আরিফ আম পাড়ার সময় রমিজের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই রমিজ বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিয়াম ও রমিজ টেঁটাবিদ্ধ হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৩ বছর ধরে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ২০১১ সালে সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্যক্রম চালু করা হয়।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক বেলা করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাওয়ায় একদিকে যেমন তাদের পুষ্টির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে বাড়ছে উপস্থিতির হারও।
গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সাধারণত অনুপস্থিত থাকে না।
স্কুলে ক্লাস বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। সকাল ১১টার দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি, দুপুর ১২টায় তৃতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ২টার দিকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হয়।
এদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ছিল এক প্যাকেট করে পুষ্টিকর বিস্কুট।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মাহিন জানায়, তাদের বাড়ি থেকে কোনো খাবার আনতে হয় না। বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত যে খাবার দেওয়া হয়, তা খেয়েই ক্ষুধা মিটে যায়।
চতুর্থ শ্রেণির মরিয়ম আক্তার জানায়, টিফিনের সময় বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ডিম, রুটি, কলা, বিস্কুট, সিঙ্গারা ও ফল। টিফিনের সময় খাবার দেওয়া হয় বলে বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতে হয় না। স্কুল ছুটি হলে তারপর বাড়ি যাই।
মাহিন ও মরিয়মের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও জানায়, স্কুলে পাওয়া খাবার দিয়েই তাদের ক্ষুধা মিটে যায়, টিফিনের সময় খাওয়ার জন্য বাড়ি যেতে হয় না। টিফিন নিয়ে মায়ের চিন্তাও থাকে না।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, গ্রামীণ পর্যায়ে এমন একটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত টিফিন দেওয়ায় তারা অনেক খুশি। বাচ্চাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ায় একদিকে যেমন তাদের শারীরিক উপকার হচ্ছে, তেমনি বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিনই খাবার দেয়। তাই এখন বাচ্চাদের ক্ষুধা লাগলো কি না সে চিন্তা করতে হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনই টিফিন দিয়ে আসছে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি লেখাপড়ার মানও ভালো হচ্ছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়াও অনেক কমে যাচ্ছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মাইমুন কবির বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিফিন দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে দুদিন ডিম ও সিঙ্গারা, দুদিন কলা ও রুটি এবং একদিন বিস্কুট ও ফল দেওয়া হয়। আমাদের দেওয়া প্রতিটি খাবারই মানসম্মত। আমাদের টিফিন দেওয়ার কারণে অভিভাবকরা অনেকটাই স্বস্তিতে থাকেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেড়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে প্রেম করে বিয়ে করে পারিবারিক কলজের জেরে এক সাথে কেড়ির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সিয়াম (১৯) ও তার স্ত্রী শাহিনুর (১৯)।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এরআগে, সোমবার রাতে উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সিয়াম বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ও শাহিনুর একই এলাকার সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহিনুরের আপন খালার স্বামীর নাম সুজন মিয়া। আর সুজন মিয়ার ছোট ভাইয়ের নাম সিয়াম। সিয়াম ও শাহীনুর সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। পরে সিয়ামের সাথে শাহিনুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উছে। গত ৬/৭ মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সিয়াম তার স্ত্রী শাহিনুর ও মাকে নিয়ে বাসা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। এনিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কলহ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে সোমবার রাতে সিয়াম ও শাহিনুর চালে দেওয়ার কেড়ি পোকার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অসুস্থ্য অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে শাহিনুর মৃত্যুবরণ করেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ হাসপাতালে সিয়াম মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সিয়ামের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রঞন করেছে এবং শাহিনুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ রাহাত উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ ১১ আগষ্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হালিম, প্রাক্তন ছাত্র শাকিব হাসান, অন্তর জালালী, সানী আহমেদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ জুম্মন আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষক রাহাত উদ্দিন একজন আদর্শ শিক্ষক ও সমাজসেবক ছিলেন।
তিনি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানের মত করে দেখতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের বিপদে আপদে সবার আগে এগিয়ে আসতেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও অত্র ইউনিয়নবাসী একজন অভিভাবক হারালো। আগামীতে কোন শিক্ষক, সুশীল সমাজ কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে যেকোন ধরনের আক্রমণ রূপসদীবাসী শক্ত হাতে দমন করবে। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নিহত ওই শিক্ষকের মরদেহ গত ৮ আগস্ট কুমিল্লা হোমনা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যায়।