অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢালাও হারে মামলা দিয়ে মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসবের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেন সারজিস।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস এসব অন্যায় অপকর্ম থেকে দলটির নেতাকর্মীদের বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
সেই সাথে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় নাম দেওয়ার পর নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যায়-আপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে।’
সারজিস আরো লিখেছেন, ‘অপরদিকে টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।’
এসবের পেছনে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি।’
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে ভাগ বাটোয়ারায় জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ এনে সারজিস বলেন, ‘অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতই সঙ্গ দিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাগ বাটোয়ারা করে কাজ চলছে।’
পোস্টের শেষাংশে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সারজিস বলেন, ‘সময় থাকতে এসব অন্যায় অপকর্ম, মামলা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।’ সূত্র : যায়যায়দিন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে গত ৬ মাসে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। এমপিওভুক্ত শূন্য পদে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৩০ জুন রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ খাতে ব্যয় বরাদ্দের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার তিনটি মন্ত্রণালয় ছাড়াও ১৯টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার জন্য ব্যয় হয়। সেগুলোর অর্থ এই হিসাবে আসেনি। শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ, সেটা যথাযথ।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে ২১ হাজার ৭৩২টি ভবন সরাসরি বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করতে পেরেছি। এ অধিদফতরের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
সংসদ সদস্যদের (এমপি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়া প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত যেসব কলেজ হয়েছে, সেখানে এমপিদের গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত থেকে একটি রায় এসেছিল। সে কারণে এমপিদের সভাপতি করা হচ্ছে না। আমরা ঐ আদেশের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এটা আদালত থেকে নিষ্পত্তি করা হবে। আমরা এ বিষয়ে লিভ আবেদন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।
এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাইকা সদর দপ্তরে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি মডেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আবাসন খাত ও নগর উন্নয়নে জাপানের এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচি জাইকার সদর দপ্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে স্বাগত জানান। তিনি নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশে জাইকার চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাত্র ১২ বছর বয়সে চট্টগ্রামে খালাতো ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে ফিরে পেল তার পরিবার।
আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের নোয়াবাড়ির রফিক উল্লার ছেলে। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে খালাতো ভাই মোহরার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় ১২ বছর বয়সের আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। তখন থেকেই শিশুসন্তানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এর পর থেকে ছেলের সন্ধানে বাবা-মা এমন কোনো চেষ্টা বাকি রাখেননি।
সম্প্রতি আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে দেখেন তার চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদ। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে তার বাড়িতে পরিবারকে জানায় বিষয়টি। এর পর তার বাবা রফিক উল্লা ও মা আয়েশা খাতুন চট্টগ্রামে পৌঁছে চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদের সহযোগিতায় আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
আবদুল্লাহ আল মামুনের মা-বাবা বলেন, আমাদের সন্তানকে পেয়ে আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। এখন আর তাকে কোথাও হারিয়ে যেতে দেব না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমজেদ শেখ (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৭ জুলাই সেমাবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার মানিকদহ্ ইউনিয়নের বিলভারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত আমজেদ বিলভারা গ্রামের ইব্রাহীম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
জানা গেছে, আমজেদ শেখ বিলভারা গ্রামের সাত্তার মুন্সির বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যান। এ সময় বৈদ্যুতিক তারের উপর পরে থাকা বাঁশ কাটতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহটি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।