মো: রবিন, আশুগঞ্জ থেকে :
নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে আশুগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ মে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ সাদেকুর রহমান।
এছাড়া আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে নবগঠিত জেলা কমিটিতে ঠাই পাওয়া আশুগঞ্জের নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। আমরা সকল নেতৃবৃন্দ আগামীদিন জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে কাজ করবো। দলকে সু-সংগঠিত করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল করিম নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার আলমনগর সড়কে অটোরিক্সা উল্টে গিয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে বিকেল আড়াইটার দিকে নরসিংদী এলাকায় তিনি মারা যান। নিহতের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন।
নিহতের ছেলে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয় জানান, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে একটি অটোরিক্সা যোগে আশুগঞ্জ বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় আলমনগর রোডে আরেকটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে তাকে বহন করা অটোরিক্সাটি উল্টে যায়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে নরসিংদী পৌঁছলে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ২৯ মে বুধবার ভোট চলাকালে প্রকাশ্যে সিল দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলা, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে আশুগঞ্জে চারজন ও বাঞ্ছারামপুরে দু’জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভোট চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিষেধ করা সত্ত্বেও মোবাইল ফোন সাথে রাখার দায়ে পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) আটক করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার আন্দিদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে এসে গোপন কক্ষে ব্যালটের ছবি তোলার দায়ে তামিম সরকারকে (২৪) আটক করা হয়। পরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে, একই উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. জহুরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকরামুল হক নাহিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে আরও একদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া একই উপজেলার বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে নিজের সিল দেওয়া ব্যালটের ছবি তোলায় আমির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. আলামিন মিয়া (৩৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. কবির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নিহত কবির পেশায় একজন প্লাম্বার মিস্ত্রি ছিলেন। সকালে কবির যাত্রাপুর থেকে রেলপথ ধরে আশুগঞ্জে যাওয়ার পথে এই ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখতে না পাওয়ায় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোন ট্রেনের নিচে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ ২৩ জুলাই রবিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এজন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা এলএসডি গোডাউনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। স্থানীয় এস আলম অটো রাইস মিলের নিকট থেকে ৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ, ওসি এলএসডি শিমুল দে ও উপজেলা অটোমেজর ও হাসকিং মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ এবং কৃষক ও মিল মালিকদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। বিগত ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে আমন ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কৃষক ও মিল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন শেষ না হওয়ায় যথাসময়ে উদ্বোধন সম্ভব হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ জানান, এবছর আশুগঞ্জে ২২ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন আতপ চাল ও ২৫৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ২৪৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট মিলারদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা, আতপ চাল ৪৬ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। তবে আশুগঞ্জ এলএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) শিমুল দে জানান, গোদামে সংকুলানের ব্যবস্থা না থাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে আশুগঞ্জ গোদামে ৯ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ২ হাজার ৪৩২ মেট্রিক আতপ চাল সংগ্রহের বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বাকী চাল জেলার অন্যান্য গোদামের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।