অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলের চলমান নৃশংস হামলায় গাজা উপত্যকায় আরো প্রায় ৫৬জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু উত্তর গাজায় মধ্যরাতের পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন। দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালের ওপর চালানো পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।
আলজাজিরার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় শুরু হয় এই নতুন দফার হামলা।
আলজাজিরা আরো জানায়, দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল—ইউরোপীয় ও নাসের—লক্ষ করে চালানো বোমা হামলায় অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও ছিলেন, যিনি চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের বরাতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হামলায় কেবল উত্তর গাজায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন।
প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর প্রায় দুই মাস অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও, হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত আরও ২ হাজার ৭৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার মাধ্যমে ইসরাইল চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়েছেন। পাশাপাশি, অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অধিকাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দখলদার ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ভিডিও প্রকাশ করেছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে। আর হামলায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিতে একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
হিজবুল্লাহ আরো জানিয়েছে, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে ইসরাইলিদের গোয়েন্দা নজরদারির সরঞ্জামাদি ছিল। এছাড়া ওই স্থান থেকে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত।
ইসরাইলের সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালাতে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে লাগানো ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, এটি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ছোড়া হচ্ছে। যে ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহ এর আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
নতুন করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের ওই ঘাঁটির ভেতর সরাসরি আঘাত হানতে দেখা যায়। এবারই প্রথম হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো হামলার এমন ভিডিও প্রকাশ করল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এর পরের দিন থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে বিক্ষিপ্ত হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। যা এখন পর্যন্ত চলছে।
লড়াইয়ের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে পূর্ণ যুদ্ধে জড়াবে। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের ব্যস্ত রাখতে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটির অনুমোদন দেন। এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
ইসরাইলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে গত বছরের জুনে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর ইসরাইলিদের মালদ্বীপ ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জাপান সরকার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। আজ ২৮ এপ্রিল সোমবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, এলপিজি বিতরণ, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি, পাশাপাশি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য জীবিকা নির্বাহ এবং কক্সবাজারে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুরক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা আশা প্রকাশ করেছেন, জাপান সরকারের সহায়তায় এ প্রকল্প রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কক্সবাজার ক্যাম্পে আমার প্রথম সফরের ঠিক পরেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি আশা করি এই বিস্তৃত পরিকল্পনাটি কক্সবাজার এবং ভাসানচর উভয় স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের সুরক্ষা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। জাপান এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং আইওএম’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় এ উপহার দেওয়া হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার নিঝুম পুরুষোত্তম পাটেল মোট পাঁচ প্যাকেট মিষ্টি বিজিবির আখাউড়া (আইসিপি) ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেনের হাতে তুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় বিভিন্ন আয়োজনে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি